মোংলায় সাংবাদিক পরিবারের সদস্যের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, গুরুতর আহত একজন

- আপডেট টাইম : ০১:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক
ওমর ফারুক : বাগেরহাটের মোংলায় চুরি সংক্রান্ত অভিযোগের জেরে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার গুরুতর রক্তাক্ত আহত হয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, সম্প্রতি তার নিজ বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। বিষয়টি তদন্ত করে চোর শনাক্ত করার পর স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে গেলে অভিযুক্ত চোরের ভাইদের কাছে অভিযোগ জানালে তারা উল্টো তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমানজনক আচরণ করে।
পরদিন তার ছোট ভাই মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার এ বিষয়ে জানতে চাইলে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কিশোর গ্যাংয়ের পরিচিত সদস্য মোঃ রিয়ান ও মোঃ সজীব হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল শিকারির মোড় এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ইলিয়াসকে গুরুতরভাবে জখম করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে ডালিমের দোকানের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা ইলিয়াসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো:মোঃ রিয়ান, পিতা: মোঃ মোস্তফা, হাজী বাহার উদ্দিন সড়ক মোঃ সজীব হাওলাদার, পিতা: মিন্টু হাওলাদার, মোরশেদ সড়ক
মোঃ জাহিদ (পিতা অজ্ঞাত), মোঃ সাব্বির, মোঃ জিসানসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জন।
সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য এতো বেড়েছে যে এখন সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরাও নিরাপদ নয়। এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, অথচ প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নেই।”
এ বিষয়ে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানার ওসি বলেন, “অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকাবাসীর দাবি, কিশোর গ্যাং নির্মূলে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে, নইলে মোংলায় শান্তি ও নিরাপত্তা একেবারে বিলীন হয়ে যাবে।