ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেনঃ অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা সৌদিতে ঈদুল আজহা কবে, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ গাজীপুরে সওজ’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত টুঙ্গিপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ দাম কমল জ্বালানি তেলের প্রতি লিটারে ১ টাকা মিরাজ–কীর্তিতে বাংলাদেশের ইনিংস জয়, সিরিজ ড্র ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পর বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট মোংলায় সাংবাদিক পরিবারের সদস্যের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, গুরুতর আহত একজন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে এক বিশাল দাওয়াতী সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা, ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র

নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেনঃ অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ০ ৫০০০.০ বার পাঠক

আগামী ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবসে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা এক বিবৃতিতে বলেন,

“১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বিশ্বের শ্রমিক সমাজ এর অনুপ্রেরণায় অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে শ্রমিকদের অধিকার আজ‌ও পুরোপুরি আদায় হয়নি। শ্রমিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা, কর্মপরিবেশ ও কর্মঘন্টার দাবীতে এখনও তাদের রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়!

দেশের প্রায় অর্ধেক নারী শ্রমিক আছে বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে অর্ধেকের‌ও বেশি নারী। এই নারী শ্রমিকদের অবস্থা আরও করুণ! এখনও নারী শ্রমিকরা ন্যায্য ভাতা পান না।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, নারী পুরুষ উভয়েই ন্যায্য অধিকার পাবে এটাই শ্রমিক দিবসের দাবী। কল-কারখানা ও উৎপাদন সেক্টরগুলোতে মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্ব প্রায় লেগেই থাকে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে দেখা যায় অনেক সময়। অন্যদিকে শ্রমিকরাও অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন যা দুঃখজনক! এ ব্যাপারে মালিক শ্রমিকের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটা আবশ্যক।

তিনি আরো বলেন, মালিক শ্রমিকের দ্বন্দ্বের অবসান ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার
প্রতিষ্ঠার সঠিক সমাধান রয়েছে ইসলামী শ্রমনীতিতে। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পাওনা পরিশোধ করার তাগিদ করেছেন রাসূল (সা.)। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয়ের জন্যই প্রকৃত কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মধ্যে দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

ধন্যবাদান্তে
নাজমুন নাহার নীলু
প্রচার সেক্রেটারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, মহিলা বিভাগ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেনঃ অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা

আপডেট টাইম : ০৩:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

আগামী ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবসে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা এক বিবৃতিতে বলেন,

“১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বিশ্বের শ্রমিক সমাজ এর অনুপ্রেরণায় অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে শ্রমিকদের অধিকার আজ‌ও পুরোপুরি আদায় হয়নি। শ্রমিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা, কর্মপরিবেশ ও কর্মঘন্টার দাবীতে এখনও তাদের রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়!

দেশের প্রায় অর্ধেক নারী শ্রমিক আছে বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে অর্ধেকের‌ও বেশি নারী। এই নারী শ্রমিকদের অবস্থা আরও করুণ! এখনও নারী শ্রমিকরা ন্যায্য ভাতা পান না।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, নারী পুরুষ উভয়েই ন্যায্য অধিকার পাবে এটাই শ্রমিক দিবসের দাবী। কল-কারখানা ও উৎপাদন সেক্টরগুলোতে মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্ব প্রায় লেগেই থাকে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে দেখা যায় অনেক সময়। অন্যদিকে শ্রমিকরাও অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন যা দুঃখজনক! এ ব্যাপারে মালিক শ্রমিকের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটা আবশ্যক।

তিনি আরো বলেন, মালিক শ্রমিকের দ্বন্দ্বের অবসান ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার
প্রতিষ্ঠার সঠিক সমাধান রয়েছে ইসলামী শ্রমনীতিতে। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পাওনা পরিশোধ করার তাগিদ করেছেন রাসূল (সা.)। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয়ের জন্যই প্রকৃত কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মধ্যে দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

ধন্যবাদান্তে
নাজমুন নাহার নীলু
প্রচার সেক্রেটারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, মহিলা বিভাগ।