ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পশ্চিমারা অনেক আগেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে আদালতের নির্দেশনার কপি হাতে পেলে জামায়াত ও ইশরাক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব নগদে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক, তলব করা হতে পারে আতিক ও জুঁইকে ১১ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস ইতিহাস গড়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলের জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য ‘বড় গেম খেলতে’ দেশে আনা হয় সুব্রত বাইনকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে নেপালের কারাগার থেকে পালানোর গল্প * সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে-গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিবন্ধন ফিরে ‘পেল’ জামায়াত নাসিরনগর উপজেলা ওলামা দলের কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন কমল জ্বালানি তেলের দাম জ্বালানি তেলের দাম দেশের বাজারে আরও এক দফা কমল গুমের সাথে জড়িতদের বিচার ও ৫ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অধিকার এর মানববন্ধন

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪৩৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি।।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ

করোনা পরিক্ষা করতে আসা
রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ছবি তুলতে গিয়ে টাংগাইল জেনারেল হাসপাতালে এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে টিকিট কাউন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখে

সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সরকার ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

ভূঞাপুর উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করতে আসা সজীব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজে যোগদানের জন্য করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের আউটডোরে এলে এক হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্টার ইনচার্জ। এক টাকাও কম হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা হৃদয় মন্ডল বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে এলে আমার কাছে এক হাজার টাকা চান কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল; কম দিতে চাইলে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল। আমার সামনে তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ১০০ টাকার করোনা পরীক্ষার ফি কেন এক হাজার টাকা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রুবেল।

টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। তাকে আরএমওর রুমে যেতে বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ করা হয়নি।

টাঙ্গাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, বিষয়টি জানার পর সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে আসতে টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জকে নির্দেশ দিই। কিন্তু সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। করোনা পরীক্ষার টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি।।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ

করোনা পরিক্ষা করতে আসা
রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ছবি তুলতে গিয়ে টাংগাইল জেনারেল হাসপাতালে এক সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করে টিকিট কাউন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখে

সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সরকার ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

ভূঞাপুর উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করতে আসা সজীব হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কাজে যোগদানের জন্য করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের আউটডোরে এলে এক হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্টার ইনচার্জ। এক টাকাও কম হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা হৃদয় মন্ডল বলেন, করোনা পরীক্ষা করতে এলে আমার কাছে এক হাজার টাকা চান কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল; কম দিতে চাইলে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন কাউন্টার ইনচার্জ রুবেল। আমার সামনে তিনজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ১০০ টাকার করোনা পরীক্ষার ফি কেন এক হাজার টাকা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি রুবেল।

টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। তাকে আরএমওর রুমে যেতে বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ করা হয়নি।

টাঙ্গাইল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, বিষয়টি জানার পর সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে আসতে টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জকে নির্দেশ দিই। কিন্তু সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। করোনা পরীক্ষার টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।