গতকাল-২৪/১১/২০২২ইং সকাল থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসেছেন যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে।দলে দলে এসেছেন যশোরের সাধারণ মানুষ।দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জনসভা। এর আগেই মাঠ ভরে গেছে।পুরো শহরে লোকে লোকারণ্য হয়েছে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে শহরের প্রতিটি প্রান্তে।আওয়ামী লীগের এই বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন-দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ঐতিহাসিক  ভেন্যুসহ পুরো শহরকেই সমাবেশস্থলে পরিণত করতে কয়েক দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন দলটির নেতারা।তাঁরা বলছেন- এই জনসভায় স্মরণকালের জনসমাগম ঘটেছে।শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনা হয়েছে যশোর জুড়ে।২০১৭ সালের পর যশোরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসভায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।তাঁর কথা শুনতে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলো যশোরবাসী।আওয়ামী লীগ নেতারা জানান-৫০ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোরের যে স্থানে জনসমুদ্রে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেই ভাষণ দেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।করোনাকালের তিন বছর পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় প্রথমবারের মতো সশরীরে অংশ নেন তিনি।এই সমাবেশ থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক বার্তা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।অন্যান্য নির্বাচনের আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে শুরু হতো প্রচারণা, কিন্তু এবার যশোর থেকে সূচনা হয়েছে নির্বাচনি তৎপরতা।স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন-এই জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।সাত দিন ধরে এই কর্মযজ্ঞ চালিয়েছি।প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে যশোরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।জনসভা ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে জনস্রোত নেমেছিল।

যশোর শহর ও জনসভাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সর্বত্র উৎসবের আমেজ।নতুন রূপে সাজানো হয়েছে পুরো শহর, সংস্কার হয়েছে রাস্তা-ঘাট।বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, দেয়াল লিখন, আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ ব্যাপক সাজসজ্জার করা হয়েছিল।চলছিল মাইকিংসহ প্রচার-প্রচারণাও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়েছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ‘জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের মাঠ প্রশস্ত করার পাশাপাশি সমাবেশে আগত লোকজনের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।পাশাপাশি বড় পর্দায় সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।