প্রথম তারাবিতে মসজিদে-মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

- আপডেট টাইম : ০৫:৫০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
- / ২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। আজ থেকেই সারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে তারাবি নামাজ। রমজানকে সামনে রেখে প্রথম তারাবিতেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারা বাংলাদেশের সকল -মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বড়দের পাশাপাশি এ নামাজে এসেছে শিশুরাও।
শনিবার (১ মার্চ) রাতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এশার নামাজ শুরুর আগে থেকেই মুসল্লিরা মসজিদে এসে সারিবদ্ধভাবে বসেছেন। মুসল্লিদের অনেকেই জায়নামাজ আর তসবিহ নিয়ে এসেছেন। অনেকে আবার নামাজের আগে নিজে আতর নিচ্ছেন এবং পরিচিতদের দিচ্ছেন। অপরদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রবেশ মুখে বসেছে অস্থায়ী আতর ও টুপির দোকান।
বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়তে আসা আনিস মিয়া বলেন, আমার বাসা খিলগাঁও। কিন্তু আমি প্রতিবছর প্রথম তারাবি বায়তুল মোকাররমেই আদায় করি। এখানে নামাজ পড়ার শান্তিটাই আলাদা। আমার সঙ্গে দুই ছেলেকেও এবার নিয়ে এসেছি।
সেগুনবাগিচা থেকে তারাবির নামাজ আদায় করতে এসেছেন মুজাহিদুর রহমান বলেন, আমি পুরো রমজান জুড়েই এই মসজিদে সালাত আদায় করি। অনেক মানুষের সঙ্গে একত্রে সালাত আদায় করার মধ্যে অন্যরকম শান্তি আছে।
এদিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশাপাশি রাজধানীর অন্যান্য মসজিদেও তারাবিহ নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ভিড় দেখা গেছে। জায়গা না পেয়ে অনেকেই মসজিদের বাইরেও চটের ওপর তারাবি সালাত আদায় করছেন।
প্রথম তারাবিতে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল
প্রথম তারাবিতে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢলপ্রথম তারাবিতে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল। ছবি: আব্দুল গণি
রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ২ মার্চ রোববার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৬ রমজান (২৭ মার্চ) পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা। এছাড়া মর্যাদাবান এই মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম কদরের রাত। সবশেষ এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে মুসলমানরা উদযাপন করবেন ঈদুল ফিতর।