ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি কোস্ট গার্ডের আয়োজনে নৌপথ ও সুন্দরবনের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা রুলার সরকার না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম অসুবিধায় রয়েছে।। ঠাকুরগাঁওয়ে ভার্চুয়ালি মির্জা ফখরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর সব রাজবন্দি মুক্তি পেলেন, আজহার পেলেন না এবার করা হলো শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি

জাস্টিস ফর বিডিআর সংবাদ সম্মেলন

মোঃ সোহেল রানা
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল পিলখানার হত্যা কান্ডে।

গত ১লা মার্চ ২০২৫ ইং রোজ শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ঢাকা প্রেসক্লাবে বিডিআর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিততে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত ।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকা পিলখানায় নির্মমভাবে বিডিআর সদস্যদের হত্যা করা হয় দেশের অনেক বিডিআর কর্মকর্তাদের। এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত না করেই প্রহসনমূলক বিচার করা হয় ও বহু নিরীহ বিডিআর সদস্য কে মিথ্যা অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত করে কঠোর সাজা দেওয়া হয়। পিলখানা হত্যাকান্ডে তৎকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে এই হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে। যার সাক্ষ্য প্রমান সুশীল সমাজের মতামতের মাধ্যমে স্পষ্ট ও প্রকাশিত বর্তমান। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল ও নিরপরাধদের অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে ফাঁসি ও যাবতজিবন সাজা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থান্বেষী মহল ও ফ্যাসিস্ট সরকার এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত এমনটা অভিযোগ অনেক বিডিআর সদস্য পরিবারের। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে। এই কমিশনের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে ও ফ্যাসিস্ট সরকারের সাজানো বিচারে দোষী সাব্যস্ত নিরপরাধ সদস্যদের দূত মুক্তির দাবি জানান বিডিআর পরিবারের সদস্যরা।
বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে। এই কমিশন কতটা কার্যকর হবে প্রশ্ন থেকে যায়। যদি পূর্বের পূর্বনির্ধারিত রায় বহাল থাকে প্রকৃত খুনিরা অন্ধকারে রয়ে যাবে আর নিরপরাধ সৈনিকরা অন্যায় বিচারের শিকার হতে থাকবে। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে ও নিরপরাধ জওয়ানদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শহীদদের আত্মা ও তাদের পরিবারের জন্য প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন।
১। প্রহসনমূলক রায় বাতিল ও পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত : শেখ হাসিনা সরকারের সাজানো বিচারের রায় বাতিল ও নিরপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা।
২। নতুন তদন্ত কমিশনের শর্ত সংশোধন : কমিশনের কার্যপরিধিকে কোনো গোপন শর্তের আওতায় সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। কমিশন কে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে, এজন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর ঙ নং ধারা বাতিল করতে হবে। প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ১৮,৫১৯ জন বিডিআর সদস্যের পূনর্বহাল : পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮ টি বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠনের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগে চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের কে পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের খতি পুরন ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ – সুবিধার দাবি জানান বিডিআর সদস্য পরিবার। পিলখানা হত্যাকান্ডে শহীদ সকল সেনা কর্মকর্তার আত্মার শান্তি ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমরা বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি।
নিবেদিত জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারবর্গ। সহযোগিতায় বিডিআর কল্যান পরিষদ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জাস্টিস ফর বিডিআর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৮:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল পিলখানার হত্যা কান্ডে।

গত ১লা মার্চ ২০২৫ ইং রোজ শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ঢাকা প্রেসক্লাবে বিডিআর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিততে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত ।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকা পিলখানায় নির্মমভাবে বিডিআর সদস্যদের হত্যা করা হয় দেশের অনেক বিডিআর কর্মকর্তাদের। এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত না করেই প্রহসনমূলক বিচার করা হয় ও বহু নিরীহ বিডিআর সদস্য কে মিথ্যা অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত করে কঠোর সাজা দেওয়া হয়। পিলখানা হত্যাকান্ডে তৎকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে এই হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে। যার সাক্ষ্য প্রমান সুশীল সমাজের মতামতের মাধ্যমে স্পষ্ট ও প্রকাশিত বর্তমান। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল ও নিরপরাধদের অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে ফাঁসি ও যাবতজিবন সাজা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থান্বেষী মহল ও ফ্যাসিস্ট সরকার এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত এমনটা অভিযোগ অনেক বিডিআর সদস্য পরিবারের। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে। এই কমিশনের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে ও ফ্যাসিস্ট সরকারের সাজানো বিচারে দোষী সাব্যস্ত নিরপরাধ সদস্যদের দূত মুক্তির দাবি জানান বিডিআর পরিবারের সদস্যরা।
বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে। এই কমিশন কতটা কার্যকর হবে প্রশ্ন থেকে যায়। যদি পূর্বের পূর্বনির্ধারিত রায় বহাল থাকে প্রকৃত খুনিরা অন্ধকারে রয়ে যাবে আর নিরপরাধ সৈনিকরা অন্যায় বিচারের শিকার হতে থাকবে। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে ও নিরপরাধ জওয়ানদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শহীদদের আত্মা ও তাদের পরিবারের জন্য প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন।
১। প্রহসনমূলক রায় বাতিল ও পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত : শেখ হাসিনা সরকারের সাজানো বিচারের রায় বাতিল ও নিরপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা।
২। নতুন তদন্ত কমিশনের শর্ত সংশোধন : কমিশনের কার্যপরিধিকে কোনো গোপন শর্তের আওতায় সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। কমিশন কে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে, এজন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর ঙ নং ধারা বাতিল করতে হবে। প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ১৮,৫১৯ জন বিডিআর সদস্যের পূনর্বহাল : পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮ টি বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠনের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগে চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের কে পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের খতি পুরন ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ – সুবিধার দাবি জানান বিডিআর সদস্য পরিবার। পিলখানা হত্যাকান্ডে শহীদ সকল সেনা কর্মকর্তার আত্মার শান্তি ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমরা বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি।
নিবেদিত জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারবর্গ। সহযোগিতায় বিডিআর কল্যান পরিষদ।