ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেনঃ অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা সৌদিতে ঈদুল আজহা কবে, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ গাজীপুরে সওজ’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত টুঙ্গিপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ দাম কমল জ্বালানি তেলের প্রতি লিটারে ১ টাকা মিরাজ–কীর্তিতে বাংলাদেশের ইনিংস জয়, সিরিজ ড্র ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পর বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট মোংলায় সাংবাদিক পরিবারের সদস্যের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, গুরুতর আহত একজন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে এক বিশাল দাওয়াতী সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা, ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র

আজ ৭ জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা দিবস

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • / ৩১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
আজ ৭ই জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের সংগ্রামী একটি দিন।

লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে ১৯৪০ সালে যেমন ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণ ব্রিটিশ শোষকদের এদেশ থেকে তাড়ানোর জন্য ঐক্যমতে এসেছিল, ঠিক তেমনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬’র এদিনে ঘোষিত ৬ দফাকে তখনকার পূর্ববাংলার জনগণ পাকিস্তানিদের বাংলা থেকে তাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছিল।

পরবর্তীতে ৬ দফার প্রতিটি দফা বাংলার ঘরে-ঘরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এ ৬টি দফা সম্পর্কে যখন সম্যক ধারণা অর্জন করলো, তখন এটি বাঙালির মুক্তির সনদে পরিণত হলো।

১৯৬৬ সাল। ৭ জুন ৬ দফা দেওয়ার আগে, ১৩ মে আওয়ামী লীগ আয়োজিত পল্টনের এক জনসভায় ৭ জুনে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে পুরো জুন মাসব্যাপী ৬ দফা প্রচারে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়। ৭ জুন তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল ব্যাভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া গুলিতে প্রাণ হারান। এতে বিক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তেজগাঁওয়ের ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আজাদ এনামের অ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন ইপিআর’র গুলিতে শহীদ হন।

একই দিন নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের কাছে পুলিশের গুলিতে মারা যান ছয়জন শ্রমিক। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়।

হাজার হাজার আন্দোলনকারী গ্রেফতার হন। বহু জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতা গ্রেফতার হওয়াদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শহীদের রক্তে আন্দোলনের নতুন মাত্রা গড়ে ওঠে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের আন্দোলন।

১৯৬৬ থেকে ১৯৭০’র ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিচালিত ৬ দফা আন্দোলই ছিল সে সময়ে দেশের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায় ৬ দফা আন্দোলনে নেতৃত্ব। ৬ দফার পক্ষে জনমত সংগঠিত করার জন্য সারাবাংলায় গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। সে সময় তাকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বারবার গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬’র প্রথম কয়েক মাসে শেখ মুজিব আটবার গ্রেফতার হন।

এ ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা বাঙালির বিপুল বিজয় এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের স্বাধীন মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুতে রূপান্তরিত হন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ ৭ জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা দিবস

আপডেট টাইম : ০৭:৩৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
আজ ৭ই জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের সংগ্রামী একটি দিন।

লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে ১৯৪০ সালে যেমন ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণ ব্রিটিশ শোষকদের এদেশ থেকে তাড়ানোর জন্য ঐক্যমতে এসেছিল, ঠিক তেমনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬’র এদিনে ঘোষিত ৬ দফাকে তখনকার পূর্ববাংলার জনগণ পাকিস্তানিদের বাংলা থেকে তাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছিল।

পরবর্তীতে ৬ দফার প্রতিটি দফা বাংলার ঘরে-ঘরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এ ৬টি দফা সম্পর্কে যখন সম্যক ধারণা অর্জন করলো, তখন এটি বাঙালির মুক্তির সনদে পরিণত হলো।

১৯৬৬ সাল। ৭ জুন ৬ দফা দেওয়ার আগে, ১৩ মে আওয়ামী লীগ আয়োজিত পল্টনের এক জনসভায় ৭ জুনে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে পুরো জুন মাসব্যাপী ৬ দফা প্রচারে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়। ৭ জুন তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল ব্যাভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া গুলিতে প্রাণ হারান। এতে বিক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তেজগাঁওয়ের ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আজাদ এনামের অ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন ইপিআর’র গুলিতে শহীদ হন।

একই দিন নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের কাছে পুলিশের গুলিতে মারা যান ছয়জন শ্রমিক। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়।

হাজার হাজার আন্দোলনকারী গ্রেফতার হন। বহু জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতা গ্রেফতার হওয়াদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শহীদের রক্তে আন্দোলনের নতুন মাত্রা গড়ে ওঠে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের আন্দোলন।

১৯৬৬ থেকে ১৯৭০’র ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিচালিত ৬ দফা আন্দোলই ছিল সে সময়ে দেশের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায় ৬ দফা আন্দোলনে নেতৃত্ব। ৬ দফার পক্ষে জনমত সংগঠিত করার জন্য সারাবাংলায় গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। সে সময় তাকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বারবার গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬’র প্রথম কয়েক মাসে শেখ মুজিব আটবার গ্রেফতার হন।

এ ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা বাঙালির বিপুল বিজয় এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের স্বাধীন মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুতে রূপান্তরিত হন।