ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

পটুয়াখালী জেলায় সিসি ক্যামেরা কেনার নামে আ.লীগ নেতার গণচাঁদাবাজির অভিযোগ

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধ।।

পটুয়াখালীর বাউফলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের নামে সহস্রাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গণচাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে ইতোমধ্যে শতাধিক সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত তিন দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কালিশুরীর ব্যবসায়ী কালাম খান, বজলু সিকদার, জসীম খান ও সাহাবুদ্দিন মৃধা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিশুরী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, চেয়ারম্যানের কথা বলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের নামে টাকা আদায় করা হয়েছে।

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন মৃধা বলেন, আজ আমরা কালিশুরী বাজারের দক্ষিণপট্টির তিন শতাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। বাজারের সবার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে মোট তিনটি গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের গ্রুপের টাকা আমরা জমা দিয়েছি। এদিকে মার্চেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কালিশুরী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালী জেলায় সিসি ক্যামেরা কেনার নামে আ.লীগ নেতার গণচাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধ।।

পটুয়াখালীর বাউফলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের নামে সহস্রাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গণচাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে ইতোমধ্যে শতাধিক সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত তিন দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কালিশুরীর ব্যবসায়ী কালাম খান, বজলু সিকদার, জসীম খান ও সাহাবুদ্দিন মৃধা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিশুরী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, চেয়ারম্যানের কথা বলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের নামে টাকা আদায় করা হয়েছে।

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন মৃধা বলেন, আজ আমরা কালিশুরী বাজারের দক্ষিণপট্টির তিন শতাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। বাজারের সবার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে মোট তিনটি গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের গ্রুপের টাকা আমরা জমা দিয়েছি। এদিকে মার্চেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কালিশুরী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।