ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

পটুয়াখালী জেলায় সিসি ক্যামেরা কেনার নামে আ.লীগ নেতার গণচাঁদাবাজির অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
  • / ৩০৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধ।।

পটুয়াখালীর বাউফলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের নামে সহস্রাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গণচাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে ইতোমধ্যে শতাধিক সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত তিন দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কালিশুরীর ব্যবসায়ী কালাম খান, বজলু সিকদার, জসীম খান ও সাহাবুদ্দিন মৃধা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিশুরী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, চেয়ারম্যানের কথা বলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের নামে টাকা আদায় করা হয়েছে।

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন মৃধা বলেন, আজ আমরা কালিশুরী বাজারের দক্ষিণপট্টির তিন শতাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। বাজারের সবার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে মোট তিনটি গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের গ্রুপের টাকা আমরা জমা দিয়েছি। এদিকে মার্চেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কালিশুরী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পটুয়াখালী জেলায় সিসি ক্যামেরা কেনার নামে আ.লীগ নেতার গণচাঁদাবাজির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধ।।

পটুয়াখালীর বাউফলে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের নামে সহস্রাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গণচাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে ইতোমধ্যে শতাধিক সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত তিন দিনে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কালিশুরীর ব্যবসায়ী কালাম খান, বজলু সিকদার, জসীম খান ও সাহাবুদ্দিন মৃধা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিশুরী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, চেয়ারম্যানের কথা বলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের নামে টাকা আদায় করা হয়েছে।

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন মৃধা বলেন, আজ আমরা কালিশুরী বাজারের দক্ষিণপট্টির তিন শতাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। বাজারের সবার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে মোট তিনটি গ্রুপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের গ্রুপের টাকা আমরা জমা দিয়েছি। এদিকে মার্চেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কালিশুরী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন জামাল সিকদার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।