ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

অস্ত্র গেল কোথায়? নাসিরনগরে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / ২২১ ৫০০০.০ বার পাঠক

সুমন গোপ নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রাম থেকে সাড়ে ৪ কেজি গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।২০ মার্চ ২০২২ রোজ রবিবার দুপুরে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের খাঁনের (কিয়ামুদ্দিন সাবেক মেম্ভারের)ছেলে মোঃ কামাল খাঁনের অাস্তানা থেকে এ গাঁজা ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

পরে ওই ঘটনায় চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সি কাঞ্চন কুমার সিংহ বাদি হয়ে কান্দি গ্রামের মোঃ মুক্তার হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তফা সারোয়ার কে স্বাক্ষি করে,মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল খাঁনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা নং-২০ তারিখ ২০ মার্চ ২০২২ রুজু করে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে মামলায় সাড়ে ৪ কেজি গাঁজার কথা উল্লেখ করা হলেও উদ্ধার করা কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।এদিকে পুলিশের এজাহারে বলা হয়েছে,মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে তারা গাঁজা উদ্ধার করেছে।কিন্তু ছবিতে উদ্ধার করতে দেখা গেলেও এজাহারে কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

অপরদিকে স্থানীয়রা জানায়,মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ নানা ধরনের মাদক বর্তমান প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ধাবিত করছে।তারা আরো জানায়,অাসামী কামাল খাঁনের মাদক ব্যবসার সাথে এলাকার আরাে বেশ কয়েকজন লোক জড়িত রয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের কিছু কিছু নামধারী নেতাও তাকে সেল্টার দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে মামলার স্বাক্ষী ও ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, কামাল খানের বড় ভাই ভলাকুট কান্দি গ্রামের মুক্তার হোসেন কামাল খাঁনের অবৈধ মাদক ব্যবসায় দীর্ঘদিন বাঁধা ধরে বাধা দিয়ে আসছে।ঘটনার দিনও সে বাধা দিতে চাইলে কামাল খাঁন লাঠি দিয়ে মুক্তার হোসেনের মাথায় অাঘাত করলে মুক্তারের মাথা পেটে যায়।পরে মুক্তারকে মাঠিতে ফেলে শরীরেও অাঘাত করে।পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে কামাল খাঁনের আস্তানা থেকে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

প্রতিবেশীরা কামাল খাঁনের কবল থেকে আহত মুক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অস্ত্র গেল কোথায়? নাসিরনগরে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

সুমন গোপ নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রাম থেকে সাড়ে ৪ কেজি গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।২০ মার্চ ২০২২ রোজ রবিবার দুপুরে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের খাঁনের (কিয়ামুদ্দিন সাবেক মেম্ভারের)ছেলে মোঃ কামাল খাঁনের অাস্তানা থেকে এ গাঁজা ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

পরে ওই ঘটনায় চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সি কাঞ্চন কুমার সিংহ বাদি হয়ে কান্দি গ্রামের মোঃ মুক্তার হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তফা সারোয়ার কে স্বাক্ষি করে,মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল খাঁনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা নং-২০ তারিখ ২০ মার্চ ২০২২ রুজু করে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে মামলায় সাড়ে ৪ কেজি গাঁজার কথা উল্লেখ করা হলেও উদ্ধার করা কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।এদিকে পুলিশের এজাহারে বলা হয়েছে,মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে তারা গাঁজা উদ্ধার করেছে।কিন্তু ছবিতে উদ্ধার করতে দেখা গেলেও এজাহারে কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

অপরদিকে স্থানীয়রা জানায়,মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ নানা ধরনের মাদক বর্তমান প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ধাবিত করছে।তারা আরো জানায়,অাসামী কামাল খাঁনের মাদক ব্যবসার সাথে এলাকার আরাে বেশ কয়েকজন লোক জড়িত রয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের কিছু কিছু নামধারী নেতাও তাকে সেল্টার দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে মামলার স্বাক্ষী ও ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, কামাল খানের বড় ভাই ভলাকুট কান্দি গ্রামের মুক্তার হোসেন কামাল খাঁনের অবৈধ মাদক ব্যবসায় দীর্ঘদিন বাঁধা ধরে বাধা দিয়ে আসছে।ঘটনার দিনও সে বাধা দিতে চাইলে কামাল খাঁন লাঠি দিয়ে মুক্তার হোসেনের মাথায় অাঘাত করলে মুক্তারের মাথা পেটে যায়।পরে মুক্তারকে মাঠিতে ফেলে শরীরেও অাঘাত করে।পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে কামাল খাঁনের আস্তানা থেকে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

প্রতিবেশীরা কামাল খাঁনের কবল থেকে আহত মুক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন।