ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নতুন পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে পরিত্যক্ত সুপারির খোলসে পার্বতীপুরে সেচ মৌসুম গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বিপাকে কৃষকরা মোংলায় ফ্যামিলি সাইকেল র‍্যালি নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে রানীশংকৈলে জিপিএ—৫ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের বাধা অর্থিক সংকট কালিয়াকৈরে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হারানো টাকা মালিকের হাতে ফেরত দিয়ে দিষ্টান্ত স্হাপন করলো পুলিশ ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কতৃক মসজিদ পরিস্কার অভিযান

অস্ত্র গেল কোথায়? নাসিরনগরে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

সুমন গোপ নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রাম থেকে সাড়ে ৪ কেজি গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।২০ মার্চ ২০২২ রোজ রবিবার দুপুরে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের খাঁনের (কিয়ামুদ্দিন সাবেক মেম্ভারের)ছেলে মোঃ কামাল খাঁনের অাস্তানা থেকে এ গাঁজা ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

পরে ওই ঘটনায় চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সি কাঞ্চন কুমার সিংহ বাদি হয়ে কান্দি গ্রামের মোঃ মুক্তার হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তফা সারোয়ার কে স্বাক্ষি করে,মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল খাঁনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা নং-২০ তারিখ ২০ মার্চ ২০২২ রুজু করে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে মামলায় সাড়ে ৪ কেজি গাঁজার কথা উল্লেখ করা হলেও উদ্ধার করা কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।এদিকে পুলিশের এজাহারে বলা হয়েছে,মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে তারা গাঁজা উদ্ধার করেছে।কিন্তু ছবিতে উদ্ধার করতে দেখা গেলেও এজাহারে কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

অপরদিকে স্থানীয়রা জানায়,মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ নানা ধরনের মাদক বর্তমান প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ধাবিত করছে।তারা আরো জানায়,অাসামী কামাল খাঁনের মাদক ব্যবসার সাথে এলাকার আরাে বেশ কয়েকজন লোক জড়িত রয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের কিছু কিছু নামধারী নেতাও তাকে সেল্টার দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে মামলার স্বাক্ষী ও ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, কামাল খানের বড় ভাই ভলাকুট কান্দি গ্রামের মুক্তার হোসেন কামাল খাঁনের অবৈধ মাদক ব্যবসায় দীর্ঘদিন বাঁধা ধরে বাধা দিয়ে আসছে।ঘটনার দিনও সে বাধা দিতে চাইলে কামাল খাঁন লাঠি দিয়ে মুক্তার হোসেনের মাথায় অাঘাত করলে মুক্তারের মাথা পেটে যায়।পরে মুক্তারকে মাঠিতে ফেলে শরীরেও অাঘাত করে।পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে কামাল খাঁনের আস্তানা থেকে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

প্রতিবেশীরা কামাল খাঁনের কবল থেকে আহত মুক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে পরিত্যক্ত সুপারির খোলসে

অস্ত্র গেল কোথায়? নাসিরনগরে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৫২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

সুমন গোপ নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রাম থেকে সাড়ে ৪ কেজি গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।২০ মার্চ ২০২২ রোজ রবিবার দুপুরে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের মৃত আলী আহাম্মদের খাঁনের (কিয়ামুদ্দিন সাবেক মেম্ভারের)ছেলে মোঃ কামাল খাঁনের অাস্তানা থেকে এ গাঁজা ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

পরে ওই ঘটনায় চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সি কাঞ্চন কুমার সিংহ বাদি হয়ে কান্দি গ্রামের মোঃ মুক্তার হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তফা সারোয়ার কে স্বাক্ষি করে,মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল খাঁনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা নং-২০ তারিখ ২০ মার্চ ২০২২ রুজু করে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে মামলায় সাড়ে ৪ কেজি গাঁজার কথা উল্লেখ করা হলেও উদ্ধার করা কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।এদিকে পুলিশের এজাহারে বলা হয়েছে,মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে তারা গাঁজা উদ্ধার করেছে।কিন্তু ছবিতে উদ্ধার করতে দেখা গেলেও এজাহারে কোন অস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

অপরদিকে স্থানীয়রা জানায়,মাদক ব্যবসায়ী কামাল খাঁন দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ নানা ধরনের মাদক বর্তমান প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ধাবিত করছে।তারা আরো জানায়,অাসামী কামাল খাঁনের মাদক ব্যবসার সাথে এলাকার আরাে বেশ কয়েকজন লোক জড়িত রয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের কিছু কিছু নামধারী নেতাও তাকে সেল্টার দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে মামলার স্বাক্ষী ও ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, কামাল খানের বড় ভাই ভলাকুট কান্দি গ্রামের মুক্তার হোসেন কামাল খাঁনের অবৈধ মাদক ব্যবসায় দীর্ঘদিন বাঁধা ধরে বাধা দিয়ে আসছে।ঘটনার দিনও সে বাধা দিতে চাইলে কামাল খাঁন লাঠি দিয়ে মুক্তার হোসেনের মাথায় অাঘাত করলে মুক্তারের মাথা পেটে যায়।পরে মুক্তারকে মাঠিতে ফেলে শরীরেও অাঘাত করে।পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে কামাল খাঁনের আস্তানা থেকে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

প্রতিবেশীরা কামাল খাঁনের কবল থেকে আহত মুক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন।