ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৫ বছর পূর্বে টাকা নিয়ে দলিল দিতে টালবাহানা সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সির

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:২০:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  • / ২৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরমাটি দিয়ে নিজের ডোবার জায়গা ভরাট করে টাকা না দিতে পেড়ে জায়গা দলিল করে দেয়ার কথা বলে ৫ বছর ধরে টালবাহানা করছে সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার নিজ গ্রাম চূওড়িয়ায় বসত বাড়ির জায়গার পাশের ডোবা ভরাট করার জন্য মাটি ক্রয় করেন তারই প্রতিবেশী শাসছুল হক মাষ্টারের ছেলে সফিকুল ইসলাম কাছ থেকে। উক্ত মাটি ভরাটের টাকা পরিশোধ করতে তিনি সফিকুলের ১৪১ শতাংশ জমির পাশে থাকা শিকানিকা মৌজার ৭৯ নং বি এস দাগের ১৭শতাংশ জায়গা বিগত ৫ বছর পূর্বে ফুল মিয়া মেম্বার,জাকির মেম্বার,মোর্শে মিয়া সামনে তার ভাই জহির বিদেশ থেকে এসে দলিল করে দিবে বলে জানায়। কিন্তু তার ভাই বিদেশ থেকে আসার পরও উক্ত জায়গা দলিল করে না দিয়ে উল্টো টালবাহানা শুরু করেন তিনি।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম জানান, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার ডোবা ভরাট করার ৫ লক্ষ টাকা বাবদ আমার ১৪১ শতাংশ জমির পাশে থাকা ১৭ শতাংশ জায়গা উনার ভাই জহির বিদেশ থেকে এসে আমাকে দলিল করে দিবে বলে আজ ৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও দলিল করে দিচ্ছে না,উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।আমি এবিষয়ে অনেক বিচার শালিস করেছি ফুল মিয়া মেম্বার, জাকির মেম্বার, মোর্শেদ কে নিয়ে বরাবরই দলিল করে দিবে পরে পরক্ষণে আর দিচ্ছি না।আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এবিষয়ে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ফুল মিয়া জানান, বিগত ৫ বছর পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার নিজের জায়গা ভরাট বাবদ সফিকুল কে ১৭ শতাংশ জায়গা দলিল করে দিবে বলে আমার সামনে মৌখিক চুক্তি করেছে, কিন্তু আজও দলিল করে দেয়নি কেন বলে মুঠোফোনে মানিক মাষ্টার কে জিজ্ঞাসা করেন এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানে জন্য অনুরোধ করেন।

জায়গা দলিল করার বিষয়ে টাকা পয়সা লেনদেন সময় উপস্থিত থাকা সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সদস্য জাকির হোসেন জানান, এনামুল হক মুন্সি ৫ বছর পূর্বে আমার সামনে সফিকুলের কাছ থেকে ১৭ শতাংশ জায়গায় মূল্য বুঁজে পেয়েছে,আমি নিজের হাতে সকল হিসাব নিকাশ করেছি। উনার ভাই বিদেশ থেকে এসে দলিল করে দিবে বলে আজও দলিল করে দেয়নি।

অপর প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী কাজেল্লা গ্রামের দোকানদার মোর্শেদ মিয়া একই কথা জানান।

টাকা নিয়ে জায়গা দলিল করে না দেয়ার বিষয়ে জানতে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সির বাড়ির সামনে গেলে জানা যায় তিনি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা রয়েছে। কিছুক্ষণ পর তিনি নিজেই মুঠোফোনে ফোন করে বক্তব্য দেয়ার পরিবর্তে গণমাধ্যম কর্মীদের মামলার হুমকি দিয়ে জানান, আমি এনাম চেয়ারম্যান পাগল ছাগলের কথায় সংবাদ প্রকাশ করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হবে।আপনারা আগে পত্রিকায় লেখেন পরে আমি বক্তব্য দিব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৫ বছর পূর্বে টাকা নিয়ে দলিল দিতে টালবাহানা সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সির

আপডেট টাইম : ০২:২০:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরমাটি দিয়ে নিজের ডোবার জায়গা ভরাট করে টাকা না দিতে পেড়ে জায়গা দলিল করে দেয়ার কথা বলে ৫ বছর ধরে টালবাহানা করছে সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার নিজ গ্রাম চূওড়িয়ায় বসত বাড়ির জায়গার পাশের ডোবা ভরাট করার জন্য মাটি ক্রয় করেন তারই প্রতিবেশী শাসছুল হক মাষ্টারের ছেলে সফিকুল ইসলাম কাছ থেকে। উক্ত মাটি ভরাটের টাকা পরিশোধ করতে তিনি সফিকুলের ১৪১ শতাংশ জমির পাশে থাকা শিকানিকা মৌজার ৭৯ নং বি এস দাগের ১৭শতাংশ জায়গা বিগত ৫ বছর পূর্বে ফুল মিয়া মেম্বার,জাকির মেম্বার,মোর্শে মিয়া সামনে তার ভাই জহির বিদেশ থেকে এসে দলিল করে দিবে বলে জানায়। কিন্তু তার ভাই বিদেশ থেকে আসার পরও উক্ত জায়গা দলিল করে না দিয়ে উল্টো টালবাহানা শুরু করেন তিনি।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম জানান, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার ডোবা ভরাট করার ৫ লক্ষ টাকা বাবদ আমার ১৪১ শতাংশ জমির পাশে থাকা ১৭ শতাংশ জায়গা উনার ভাই জহির বিদেশ থেকে এসে আমাকে দলিল করে দিবে বলে আজ ৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও দলিল করে দিচ্ছে না,উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।আমি এবিষয়ে অনেক বিচার শালিস করেছি ফুল মিয়া মেম্বার, জাকির মেম্বার, মোর্শেদ কে নিয়ে বরাবরই দলিল করে দিবে পরে পরক্ষণে আর দিচ্ছি না।আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এবিষয়ে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ফুল মিয়া জানান, বিগত ৫ বছর পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার নিজের জায়গা ভরাট বাবদ সফিকুল কে ১৭ শতাংশ জায়গা দলিল করে দিবে বলে আমার সামনে মৌখিক চুক্তি করেছে, কিন্তু আজও দলিল করে দেয়নি কেন বলে মুঠোফোনে মানিক মাষ্টার কে জিজ্ঞাসা করেন এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানে জন্য অনুরোধ করেন।

জায়গা দলিল করার বিষয়ে টাকা পয়সা লেনদেন সময় উপস্থিত থাকা সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সদস্য জাকির হোসেন জানান, এনামুল হক মুন্সি ৫ বছর পূর্বে আমার সামনে সফিকুলের কাছ থেকে ১৭ শতাংশ জায়গায় মূল্য বুঁজে পেয়েছে,আমি নিজের হাতে সকল হিসাব নিকাশ করেছি। উনার ভাই বিদেশ থেকে এসে দলিল করে দিবে বলে আজও দলিল করে দেয়নি।

অপর প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী কাজেল্লা গ্রামের দোকানদার মোর্শেদ মিয়া একই কথা জানান।

টাকা নিয়ে জায়গা দলিল করে না দেয়ার বিষয়ে জানতে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সির বাড়ির সামনে গেলে জানা যায় তিনি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা রয়েছে। কিছুক্ষণ পর তিনি নিজেই মুঠোফোনে ফোন করে বক্তব্য দেয়ার পরিবর্তে গণমাধ্যম কর্মীদের মামলার হুমকি দিয়ে জানান, আমি এনাম চেয়ারম্যান পাগল ছাগলের কথায় সংবাদ প্রকাশ করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হবে।আপনারা আগে পত্রিকায় লেখেন পরে আমি বক্তব্য দিব।