ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদরপুরে একটি পুকুর থেকে কামদেব দাস নামে উনিশ বছর বয়সী এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ Logo ভৈরবে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র সহ রগ কাটা ফজলু ডাকাত গ্রেফতার Logo উদীচী ছায়ানট ও গণমাধ্যমে হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ এর আয়োজন করেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোস্ঠী মঠবাড়ীয়া শাখা Logo তারেক রহমানের  আসার উপলক্ষে ভৈরবে বিএনপির আনন্দ র‍্যালি Logo দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা Logo বলিউডের ১২ হাজার কোটির বছর: শীর্ষ ১০ সিনেমায় বক্স অফিস রেকর্ড Logo এবার ১৪ ঘণ্টায় এলো ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ডা. তাসনিম জারা Logo কপাল পুড়ল’ রুমিন ফারহানার, জুনায়েদকে সমর্থন বিএনপির Logo একনেকে ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন Logo পাবনার বাজারে বিক্রি হওয়া দুধে মিলল ডিটারজেন্ট

স্বৈরাচার হাসিনা নেতাকর্মীদের পালাতে দেয়নি অথচ আত্মীয়দের পালাতে সহায়তা! নেপথ্যে কী?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৫৫ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

২৪ এর সেই উত্তাল জুলাই কিংবা আগষ্টের প্রথম ৫ দিন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরাজয় ঘন্টা বাজার আগে, একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ পরিবারের সব প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী আর আওয়ামী নেতারা। যাদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ফরিদপুরের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী, শেখ তন্ময় কিংবা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মত প্রভাবশালীরা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর আগেই তার পরিবারের ঘনিষ্টজন ও শেখ পরিবারের সদস্যদের পালানোর ব্যবস্থা করেন। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজে ফোন করেও তাদের ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা করে দেন। অথচ সেই হাসিনাই আবার দলের অন্য নেতা-কর্মীদের দেশ ছাড়তে মানা করেছিলেন সেই সময়।

একদিকে আত্মীয়দের পালাতে সহায়তা অন্যদিকে দলীয় এমপি-মন্ত্রীদেরও পালাতে নিষেধ করা এর নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভয়াবহ কিছু সত্য। সম্প্রতি হাসিনা আর তাপসের ফাঁস হওয়া সেই কলরেকর্ডই বলে দেয় হাসিনার উদ্দেশ্যের গোপনীয় সব বিছানো অন্তর্জালের কথা। তাপস ২৪ এর ৩ আগষ্ট হাসিনা পালানোর ঠিক দুদিন আগে সিঙ্গাপুরে পালানোর সময় ইমিগ্রেশনে বাঁধাগ্রস্থ হলে হাসিনাকে ফোন করে সেই বাঁধার দেওয়াল টপকিয়ে দেশ ছেড়ে নির্লজ্জ বেহায়ার মত পালিয়ে যায়।

তাপসের এক কলরেকর্ড না হয় ফাঁস হয়েছে। কিন্তু, আড়ালের কতশত কলরেকর্ড কত কিছুই তো পরে রয়েছে। এখনো কি কেউ শুনেছেন শেখ পরিবারের কোন সাবেক সংসদ সদস্য কিংবা সাবেক মন্ত্রী কেউ আটক হয়েছেন? বা কারে হদিস মিলেছে দেশে? বাস্তবতা হলো দেশের টাকা হরিলুট করা শেখ পরিবারের এসব ফ্যাসিস্টরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়েছে ২৪ এর ৫ আগষ্টের আগেই। আর সেখানে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা।

বিপরীত চিত্র হাসিনার নিজ দলেরই অন্য সব এমপি মন্ত্রীদের বেলায়। যে তালিকায় রয়েছেন এক সময়ের হাসিনার উপদেষ্টা দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রহমান, সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হক কিংবা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে হাসিনার গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে সহায়তাকারী সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকও। যাদের হাসিনা পালাতে দেয়নি কিংবা পালানোর কথা বলেনও নি। তারা জানতোও না যে হাসিনা শেখ পরিবারের গুষ্টিসহ পালিয়ে যাবে নির্লজ্জ বেহায়ার মত। আর তাদেরকে ফেলে যাবে বিচারের কাঠগড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দ্বৈতচারী আচরণের পিছনে রয়েছে নির্মমতা ও কঠিন বাস্তবতা। স্বজনপ্রীতি করা হাসিনা কোনভাবেই চায়নি তার পরিবারের আত্মীয় কেউ বিপদে পরুক। আর হাসিনার আগে থেকেই ছিলো বাঙ্গালীদের প্রতি অশেষ রাগ। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ৭৫ এর এক সফল সেনাঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার পর নিজ দল আওয়ামী লীগের কেউ তার বাবার জানাজায় অংশ নেয়নি। সেই রাগ থেকেই হাসিনা দেশে ফেরেন প্রতিশোধ নিতে। তাইতো বরাবরই দেশের আমজনতার প্রতি তার কোন মায়া-মহব্বত কিংবা করুণা ছিলো না। এমনটিই মনে করেন, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞমহল।

২৪ এর সেই গণঅভ্যুত্থানেই হাসিনা প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে নৃশংসভাবে হত্যার আদেশ দেন। যা বাঙালীরা দেখেছে স্বচক্ষে। এরপরও গণহত্যাকারী খুনি বেহায়া হাসিনা কখনো জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। উল্টো বারবার হুংকার দিয়েছে ফিরে আসার আবারো ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করার।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদরপুরে একটি পুকুর থেকে কামদেব দাস নামে উনিশ বছর বয়সী এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

স্বৈরাচার হাসিনা নেতাকর্মীদের পালাতে দেয়নি অথচ আত্মীয়দের পালাতে সহায়তা! নেপথ্যে কী?

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

২৪ এর সেই উত্তাল জুলাই কিংবা আগষ্টের প্রথম ৫ দিন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরাজয় ঘন্টা বাজার আগে, একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ পরিবারের সব প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী আর আওয়ামী নেতারা। যাদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ফরিদপুরের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী, শেখ তন্ময় কিংবা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মত প্রভাবশালীরা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর আগেই তার পরিবারের ঘনিষ্টজন ও শেখ পরিবারের সদস্যদের পালানোর ব্যবস্থা করেন। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজে ফোন করেও তাদের ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা করে দেন। অথচ সেই হাসিনাই আবার দলের অন্য নেতা-কর্মীদের দেশ ছাড়তে মানা করেছিলেন সেই সময়।

একদিকে আত্মীয়দের পালাতে সহায়তা অন্যদিকে দলীয় এমপি-মন্ত্রীদেরও পালাতে নিষেধ করা এর নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভয়াবহ কিছু সত্য। সম্প্রতি হাসিনা আর তাপসের ফাঁস হওয়া সেই কলরেকর্ডই বলে দেয় হাসিনার উদ্দেশ্যের গোপনীয় সব বিছানো অন্তর্জালের কথা। তাপস ২৪ এর ৩ আগষ্ট হাসিনা পালানোর ঠিক দুদিন আগে সিঙ্গাপুরে পালানোর সময় ইমিগ্রেশনে বাঁধাগ্রস্থ হলে হাসিনাকে ফোন করে সেই বাঁধার দেওয়াল টপকিয়ে দেশ ছেড়ে নির্লজ্জ বেহায়ার মত পালিয়ে যায়।

তাপসের এক কলরেকর্ড না হয় ফাঁস হয়েছে। কিন্তু, আড়ালের কতশত কলরেকর্ড কত কিছুই তো পরে রয়েছে। এখনো কি কেউ শুনেছেন শেখ পরিবারের কোন সাবেক সংসদ সদস্য কিংবা সাবেক মন্ত্রী কেউ আটক হয়েছেন? বা কারে হদিস মিলেছে দেশে? বাস্তবতা হলো দেশের টাকা হরিলুট করা শেখ পরিবারের এসব ফ্যাসিস্টরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়েছে ২৪ এর ৫ আগষ্টের আগেই। আর সেখানে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা।

বিপরীত চিত্র হাসিনার নিজ দলেরই অন্য সব এমপি মন্ত্রীদের বেলায়। যে তালিকায় রয়েছেন এক সময়ের হাসিনার উপদেষ্টা দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রহমান, সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হক কিংবা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে হাসিনার গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে সহায়তাকারী সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকও। যাদের হাসিনা পালাতে দেয়নি কিংবা পালানোর কথা বলেনও নি। তারা জানতোও না যে হাসিনা শেখ পরিবারের গুষ্টিসহ পালিয়ে যাবে নির্লজ্জ বেহায়ার মত। আর তাদেরকে ফেলে যাবে বিচারের কাঠগড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দ্বৈতচারী আচরণের পিছনে রয়েছে নির্মমতা ও কঠিন বাস্তবতা। স্বজনপ্রীতি করা হাসিনা কোনভাবেই চায়নি তার পরিবারের আত্মীয় কেউ বিপদে পরুক। আর হাসিনার আগে থেকেই ছিলো বাঙ্গালীদের প্রতি অশেষ রাগ। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ৭৫ এর এক সফল সেনাঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার পর নিজ দল আওয়ামী লীগের কেউ তার বাবার জানাজায় অংশ নেয়নি। সেই রাগ থেকেই হাসিনা দেশে ফেরেন প্রতিশোধ নিতে। তাইতো বরাবরই দেশের আমজনতার প্রতি তার কোন মায়া-মহব্বত কিংবা করুণা ছিলো না। এমনটিই মনে করেন, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞমহল।

২৪ এর সেই গণঅভ্যুত্থানেই হাসিনা প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে নৃশংসভাবে হত্যার আদেশ দেন। যা বাঙালীরা দেখেছে স্বচক্ষে। এরপরও গণহত্যাকারী খুনি বেহায়া হাসিনা কখনো জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। উল্টো বারবার হুংকার দিয়েছে ফিরে আসার আবারো ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করার।


প্রিন্ট