খুলনায় আওয়ামী নেতা রাসেলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ।
খুলনা জেলা তেরখাদা উপজেলা পূব কার্টেংগা গ্রামে বসবাস কারী আওয়ামী রাজনৈতিক নেতা রাসেল আহমেদ। তিনি ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের সকল কার্যক্রমে যোগদান ছিলেন৷ তখন থেকেই খুলনা জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাসেলের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। রাজনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সাথে বিভিন্ন তদবির চাঁদাবাজি, আরও অন্যান্য অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন এই রাসেল ও তার সদস্যরা। খুলনা জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত যত কার্যক্রম এর হোতা ছিলেন রাসেল আর কার্যক্রমে ছিল তারই গ্যাং বাহিনীরা। তার কত জন সদস্য রয়েছে তাও অজানা। রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে
টেন্ডার বাজি ও গ্রাম্য বিচার তার গ্যাং বাহিনীরা চালিয়ে আসছিলো পূর্বে থেকে এখনো চলমান। খুলনা জেলার নেতা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, ও এমপির সঙ্গে ছিল তার সরাসরি যোগাযোগ। রাজনৈতিক যেকোনো বিসয় তিনি সামনে না আসলেও তার সদস্যরা পরিচালনা করতেন। এভাবে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিভিন্ন অপকর্মে তথ্য থাকলেও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস হয় উঠে নি এলাকাবাসীর। রাসেল আহমেদ শুধু খুলনা জেলাই নয় তার আয়ত্ত ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে ও তার রাজনৈতিক ভাবে সুসম্পর্ক ছিল। শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে
আওয়ামী রাজনৈতিক নেতা রাসেল আহমেদ এর চিএে এমন তথ্য পাওয়া যায়। রাসেল গত আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন খমতার অপব্যবহার করলেও এখনো নেই তার কোন কমতি। গত ৫ ই আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতন হলেও এই রাসেল এর ধারে পর্যন্ত আসার সুযোগ হয়ে উঠেনি এখনো কারো। এখনো রাসেল আহমেদ এর অত্যাচারের শিকার তেরখাদা এলাকা বাসী। রাসেল প্রকাশে না এলেও তার সদস্যরা অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এত কর্ম করেও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তেরখাদা প্রশাসন জানলেও পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক তাঁরা। রাসেল আহমেদ গত ২০ এপ্রিল খুলনা জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে তিনি ও তার সদস্য অংশগ্রহণ নিলেও পার পেয়ে যায় তাঁরা। ২০ এপ্রিল এর ঘটনায় হরিনটানা থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার করা হলেও নেই এই রাসেল আহমেদ ও তার সদস্যের কোন তথ্য। এবিসয়ে হরিনটানা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার কে তাদের বিসয়ে তথ্য দিলে তিনি এরিয়ে যান এবং এখানেও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক ও বিভিন্ন অজুহাত দেখান হরিনটানা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার । রাসেল আহমেদ রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে চিএ থাকা সত্ত্বে ও তেরখাদা থানা ও খুলনা জেলা প্রশাসন নিরব নেই কোন পদক্ষেপ রাসেলের বিরুদ্ধে। এভাবেই কি আওয়ামী নেতা রাসেল তার অপকর্ম চালিয়ে যাবে আর পুলিশ নিরবতা পালন করবে। পুলিশের নিরবতায় কি আওয়ামী রাজনৈতিক নেতা রাসেল আহমেদ কে অপকর্মে সহযোগিতা করছে আর জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে জানতে চায় সাধারণ জনতা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও খুলনা জেলা পুলিশ সুপার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আওয়ামী রাজনৈতিক কর্মীদের কে প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা সহযোগিতার তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি এবং
এই শিক্ষা মন্ত্রীর সহযোগি রাসেলের বিরুদ্ধে দূত পদক্ষেপ নিবেন এবং তাকে আইনের আওতায় আনতে আপনাদের একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রিন্ট