ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চট্টগ্রামে অবৈধ ৪০ লাখ টাকার কাঠ চালানের রফাদফা ৫ লাখে ওসি ও বক্সের এসআই Logo কারাগার পরিদর্শনকালে তোলা সেই ছবি নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা Logo থানায় ঢুকে পুলিশকে ছুরিকাঘাত করা যুবকের মরদেহ মিললো পুকুরে Logo শেখ হাসিনা আমাদের ওপর একটি ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়ে গেছে: নাহিদ Logo জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে: আমির Logo মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো ১২৩ বাংলাদেশিকে Logo সুস্থতার জন্য সাঁতার Logo নির্বাচনের আগে বিচার দৃশ্যমান হতে হবে: জামায়াত আমির Logo ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সই Logo উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর ভবিষ্যতে রোগ ঝুঁকি: এখনই সচেতন হই, বাঁচাই প্রাণ”!

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মী মন্জুর মোর্শেদ মুবিন(২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

সোমবার (২১ জুলাই,২০২৫) সকালে মঠবাড়িয়া পৌর কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা, পৌর বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক কে,এম হুমায়ুন কবির, পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ফরাজী, মৎস্যজীবী দলের নেতা তারিকুল ইসলাম মধু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ। নিহত ছাত্রদল কর্মী মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী মহারাজের পুত্র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। মানববন্ধনে বক্তারা মুবিনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।
গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরসভার নিউমার্কেট প্রিন্স হোটেল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা বকশির ঘটিচোড়া গ্রামের ‘খোকন মোক্তারের পুত্র’ রফিকুল ইসলাম রনি (৩১)’এর নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং মুবিন ও তার বন্ধু ‘পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবিরের পুত্র’ তামিমের উপর চাপাতি ও এসএস পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মুবিনের মাথায় ও তামিমের পেটে গুরুতর জখম হয়। এরপর ১৭ জুলাই দুপুরে মুবিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তামিম বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রনি সহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মুবিনের বড় ভাই মিনহাজুল আবেদিন মুহিত। মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী রনি পূর্বেও মঠবাড়িয়ার আলোচিত লিংটন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মানববন্ধনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, পূর্বেই আমি এইসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম। থানা আগেই ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজ আমার ভাগ্নে হত্যার শিকার হতো না। অবিলম্বে তিনি রনি সহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য মঠবাড়ীয়া থানাকে অনুরোধ। আসামী গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেকোনো অসহযোগিতার বিরুদ্ধে আমরা পরবর্তীতে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচ দিতে বাধ্য হব।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে অবৈধ ৪০ লাখ টাকার কাঠ চালানের রফাদফা ৫ লাখে ওসি ও বক্সের এসআই

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মী মন্জুর মোর্শেদ মুবিন(২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

আপডেট সময় ০৫:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

সোমবার (২১ জুলাই,২০২৫) সকালে মঠবাড়িয়া পৌর কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা, পৌর বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক কে,এম হুমায়ুন কবির, পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ফরাজী, মৎস্যজীবী দলের নেতা তারিকুল ইসলাম মধু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ। নিহত ছাত্রদল কর্মী মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী মহারাজের পুত্র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। মানববন্ধনে বক্তারা মুবিনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।
গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরসভার নিউমার্কেট প্রিন্স হোটেল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা বকশির ঘটিচোড়া গ্রামের ‘খোকন মোক্তারের পুত্র’ রফিকুল ইসলাম রনি (৩১)’এর নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং মুবিন ও তার বন্ধু ‘পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবিরের পুত্র’ তামিমের উপর চাপাতি ও এসএস পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মুবিনের মাথায় ও তামিমের পেটে গুরুতর জখম হয়। এরপর ১৭ জুলাই দুপুরে মুবিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তামিম বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রনি সহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মুবিনের বড় ভাই মিনহাজুল আবেদিন মুহিত। মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী রনি পূর্বেও মঠবাড়িয়ার আলোচিত লিংটন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মানববন্ধনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, পূর্বেই আমি এইসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম। থানা আগেই ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজ আমার ভাগ্নে হত্যার শিকার হতো না। অবিলম্বে তিনি রনি সহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য মঠবাড়ীয়া থানাকে অনুরোধ। আসামী গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেকোনো অসহযোগিতার বিরুদ্ধে আমরা পরবর্তীতে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচ দিতে বাধ্য হব।


প্রিন্ট