ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ Logo তৌহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মী মন্জুর মোর্শেদ মুবিন(২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

সোমবার (২১ জুলাই,২০২৫) সকালে মঠবাড়িয়া পৌর কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা, পৌর বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক কে,এম হুমায়ুন কবির, পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ফরাজী, মৎস্যজীবী দলের নেতা তারিকুল ইসলাম মধু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ। নিহত ছাত্রদল কর্মী মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী মহারাজের পুত্র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। মানববন্ধনে বক্তারা মুবিনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।
গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরসভার নিউমার্কেট প্রিন্স হোটেল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা বকশির ঘটিচোড়া গ্রামের ‘খোকন মোক্তারের পুত্র’ রফিকুল ইসলাম রনি (৩১)’এর নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং মুবিন ও তার বন্ধু ‘পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবিরের পুত্র’ তামিমের উপর চাপাতি ও এসএস পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মুবিনের মাথায় ও তামিমের পেটে গুরুতর জখম হয়। এরপর ১৭ জুলাই দুপুরে মুবিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তামিম বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রনি সহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মুবিনের বড় ভাই মিনহাজুল আবেদিন মুহিত। মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী রনি পূর্বেও মঠবাড়িয়ার আলোচিত লিংটন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মানববন্ধনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, পূর্বেই আমি এইসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম। থানা আগেই ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজ আমার ভাগ্নে হত্যার শিকার হতো না। অবিলম্বে তিনি রনি সহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য মঠবাড়ীয়া থানাকে অনুরোধ। আসামী গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেকোনো অসহযোগিতার বিরুদ্ধে আমরা পরবর্তীতে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচ দিতে বাধ্য হব।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মী মন্জুর মোর্শেদ মুবিন(২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

আপডেট সময় ০৫:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

সোমবার (২১ জুলাই,২০২৫) সকালে মঠবাড়িয়া পৌর কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা, পৌর বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক কে,এম হুমায়ুন কবির, পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ফরাজী, মৎস্যজীবী দলের নেতা তারিকুল ইসলাম মধু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ। নিহত ছাত্রদল কর্মী মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী মহারাজের পুত্র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। মানববন্ধনে বক্তারা মুবিনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।
গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরসভার নিউমার্কেট প্রিন্স হোটেল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা বকশির ঘটিচোড়া গ্রামের ‘খোকন মোক্তারের পুত্র’ রফিকুল ইসলাম রনি (৩১)’এর নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং মুবিন ও তার বন্ধু ‘পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবিরের পুত্র’ তামিমের উপর চাপাতি ও এসএস পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মুবিনের মাথায় ও তামিমের পেটে গুরুতর জখম হয়। এরপর ১৭ জুলাই দুপুরে মুবিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তামিম বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রনি সহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মুবিনের বড় ভাই মিনহাজুল আবেদিন মুহিত। মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী রনি পূর্বেও মঠবাড়িয়ার আলোচিত লিংটন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মানববন্ধনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, পূর্বেই আমি এইসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম। থানা আগেই ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজ আমার ভাগ্নে হত্যার শিকার হতো না। অবিলম্বে তিনি রনি সহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য মঠবাড়ীয়া থানাকে অনুরোধ। আসামী গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেকোনো অসহযোগিতার বিরুদ্ধে আমরা পরবর্তীতে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচ দিতে বাধ্য হব।


প্রিন্ট