ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ Logo ঢাবি ভিসির সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় Logo আসন পুনর্বিন্যাস বাতিলের দাবিতে উত্তাল মোংলা Logo উত্তরা ইপিজেডে পরিস্থিতি পুরো শান্ত চলছে স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা বাম চক্রান্তে ফের অশান্তির শংকা Logo ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু Logo সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে কারাগারে থাকা সাবেক ডিসি সুলতানাকে হাইকোর্টের জামিন Logo মৌসুমী-ঋতুপর্ণাকে নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন ফেরদৌস Logo দৌলতদিয়ার ২টি ফেরি ঘাটে কচ্ছপের গতিতে যানবাহন পারাপার, ৭নং ফেরি ঘাট বন্ধ: ভোগান্তি চরমে Logo উৎসব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ, ফলের অপেক্ষা Logo কাঠমান্ডু থেকে হেলিকপ্টারে কোথায় যাচ্ছেন ওলি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মী মন্জুর মোর্শেদ মুবিন(২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

সোমবার (২১ জুলাই,২০২৫) সকালে মঠবাড়িয়া পৌর কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা, পৌর বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক কে,এম হুমায়ুন কবির, পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ফরাজী, মৎস্যজীবী দলের নেতা তারিকুল ইসলাম মধু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ। নিহত ছাত্রদল কর্মী মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী মহারাজের পুত্র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। মানববন্ধনে বক্তারা মুবিনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।
গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরসভার নিউমার্কেট প্রিন্স হোটেল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা বকশির ঘটিচোড়া গ্রামের ‘খোকন মোক্তারের পুত্র’ রফিকুল ইসলাম রনি (৩১)’এর নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং মুবিন ও তার বন্ধু ‘পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবিরের পুত্র’ তামিমের উপর চাপাতি ও এসএস পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মুবিনের মাথায় ও তামিমের পেটে গুরুতর জখম হয়। এরপর ১৭ জুলাই দুপুরে মুবিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তামিম বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রনি সহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মুবিনের বড় ভাই মিনহাজুল আবেদিন মুহিত। মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী রনি পূর্বেও মঠবাড়িয়ার আলোচিত লিংটন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মানববন্ধনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, পূর্বেই আমি এইসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম। থানা আগেই ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজ আমার ভাগ্নে হত্যার শিকার হতো না। অবিলম্বে তিনি রনি সহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য মঠবাড়ীয়া থানাকে অনুরোধ। আসামী গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেকোনো অসহযোগিতার বিরুদ্ধে আমরা পরবর্তীতে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচ দিতে বাধ্য হব।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মী মন্জুর মোর্শেদ মুবিন(২৩) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

আপডেট সময় ০৫:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

সোমবার (২১ জুলাই,২০২৫) সকালে মঠবাড়িয়া পৌর কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা, পৌর বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক কে,এম হুমায়ুন কবির, পৌর বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন ফরাজী, মৎস্যজীবী দলের নেতা তারিকুল ইসলাম মধু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ। নিহত ছাত্রদল কর্মী মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী মহারাজের পুত্র ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। মানববন্ধনে বক্তারা মুবিনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।
গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পৌরসভার নিউমার্কেট প্রিন্স হোটেল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা বকশির ঘটিচোড়া গ্রামের ‘খোকন মোক্তারের পুত্র’ রফিকুল ইসলাম রনি (৩১)’এর নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং মুবিন ও তার বন্ধু ‘পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবিরের পুত্র’ তামিমের উপর চাপাতি ও এসএস পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মুবিনের মাথায় ও তামিমের পেটে গুরুতর জখম হয়। এরপর ১৭ জুলাই দুপুরে মুবিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তামিম বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রনি সহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মুবিনের বড় ভাই মিনহাজুল আবেদিন মুহিত। মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী রনি পূর্বেও মঠবাড়িয়ার আলোচিত লিংটন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মানববন্ধনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, পূর্বেই আমি এইসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম। থানা আগেই ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজ আমার ভাগ্নে হত্যার শিকার হতো না। অবিলম্বে তিনি রনি সহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য মঠবাড়ীয়া থানাকে অনুরোধ। আসামী গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেকোনো অসহযোগিতার বিরুদ্ধে আমরা পরবর্তীতে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচ দিতে বাধ্য হব।


প্রিন্ট