ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পাকিস্তানের আকাশ সীমায় নারীর হামলায় ভারত অধ্যাদেশ বাতিল চায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ৩ দিনের কলম বিরতি লক্ষ্মীপুর আল মুঈন মাদ্রসা থেকে ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার

এবার হবে না বিশ্ব ইজতেমা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজনের চিন্তাভাবনা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৬১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতি বছর জানুয়ারিতে রাজধানীর উপকণ্ঠ তুরাগ নদীর তীরে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। কিন্তু বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা। কবে হবে তা-ও অনিশ্চিত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সরকার ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরুর দিকে ইজতেমা আয়োজনে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাবলিগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন সম্ভব নয়। অবস্থার যখন উন্নতি হবে তখন হয়তো সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে, অন্যান্য দেশ থেকে যাতে লোকজন আসতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তার আগে এই মহাজমায়েত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তাবলিগের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের সাথি তৌহিদুল হক সোহেল ও তাবলিগ জামাতের সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা ইজতেমা করতে চাই। ওলামা শূরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবারের ইজতেমা হবে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ব্যাপারে জিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুমিস বলেন, করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে অন্তত ১৫ দিন প্রয়োজন হবে ইজতেমার মাঠ তৈরি করতে। গরমকাল পড়লে তখন ইজতেমা করা কঠিন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এবার হবে না বিশ্ব ইজতেমা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজনের চিন্তাভাবনা

আপডেট টাইম : ০৮:২৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতি বছর জানুয়ারিতে রাজধানীর উপকণ্ঠ তুরাগ নদীর তীরে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। কিন্তু বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা। কবে হবে তা-ও অনিশ্চিত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সরকার ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরুর দিকে ইজতেমা আয়োজনে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাবলিগের বিভক্ত দুটি গ্রুপ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন সম্ভব নয়। অবস্থার যখন উন্নতি হবে তখন হয়তো সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে, অন্যান্য দেশ থেকে যাতে লোকজন আসতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তার আগে এই মহাজমায়েত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তাবলিগের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের সাথি তৌহিদুল হক সোহেল ও তাবলিগ জামাতের সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা ইজতেমা করতে চাই। ওলামা শূরার পক্ষে আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, এবারের ইজতেমা হবে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ব্যাপারে জিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুমিস বলেন, করোনা মহামারি থাকলে ইজতেমা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে অন্তত ১৫ দিন প্রয়োজন হবে ইজতেমার মাঠ তৈরি করতে। গরমকাল পড়লে তখন ইজতেমা করা কঠিন।