বারবার হত্যার চেষ্টা ॥ বিএনপি-জামায়াতের মদদ
- আপডেট টাইম : ০৬:২২:৩৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১
- / ২৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
- ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলার বার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী
- জাতির পিতার পথ ধরেই দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশের ওপর নারকীয় ভয়াল গ্রেনেড হামলার জন্য আবারও তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সহযোগিতা না থাকলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো ঘটনা ঘটতে পারত না। আজ যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, প্রকাশ্য দিবালোকে একটি দলের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করা- এটা কোন্ ধরনের গণতন্ত্র ছিল?
পিতা বঙ্গবন্ধুর মতোই দেশের মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করার কথা উল্লেখ করে ওই গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুজাল ছিন্ন করে প্রাণে বেঁচে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তো আমার বাবার (বঙ্গবন্ধু) পথ ধরেই এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি। বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। গ্রেনেড-বোমা-বুলেট দিয়ে বারবার আমাকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। বারবার আমার সামনে মৃত্যু এসে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ্ একটা কাজ দেয়, সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাঁচিয়ে রাখে। আল্লাহর রহমতে নেতাকর্মীরা আমাকে বারবার বাঁচিয়েছেন।
শনিবার ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলার সপ্তদশ বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভয়াল এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারসহ ওই সময়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার যুক্ত থাকা এবং ঘাতকদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হামলার দিন রাতেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চারজনকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার মধ্যে কারারক্ষী তাজউদ্দিনও ছিল। সেই সঙ্গে শোনা যায়, কর্নেল রশীদ আর ডালিম (বঙ্গবন্ধুর খুনী) সেই সময় ঢাকায় এসেছিল এবং তারা খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার তত্ত্বাবধানেই ছিল। কারণ গোয়েন্দা সংস্থা, ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশ অফিসার সবাই এরমধ্যে জড়িত ছিল। তখনকার সরকার এদের রক্ষা করতে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। যখন জানল যে গ্রেনেড হামলায় আমি মরি নাই, বেঁচে আছি। তখন তারা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।