ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিক দিবস জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার

এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।

ঈদের আনন্দে যেন আমরা সেই মানুষগুলোকে ভুলে না যাই। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা ঈদের আনন্দটাই ভাগাভাগি করে নিই। আপনার ঘরে অঢেল আনন্দ, অঢেল মাংস; প্রতিবেশীর ঘরে হাহাকার। তাহলে কিন্তু আপনার আনন্দটা পূর্ণ হবে না। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ীও কিন্তু আপনার ঈদ পূর্ণ হবে না।

আগেই বলেছি, বাড়ি ফেরা থেকে মাংস বণ্টন- কোরবানির ঈদের প্রতিটি ধাপই জনবহুল। এই ধাপগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সত্যিই কঠিন। কিন্তু সরকার যাই বলুক, লকডাউন কঠোর থাকুক আর শিথিল; নিজেদের স্বার্থেই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ আমার জীবনটা আমার, সরকারের নয়।

দুইটা মৌলিক বিষয় মেনে চলতেই হবে—সার্বক্ষণিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা এবং যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলা। আরেকটা জরুরি বিষয় হলো, কোরবানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে বর্জ্য পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কী হতে পারে, হাসপাতালগুলোর দিকে তাকালে যে কেউ টের পাবেন। এই যে বললাম, আনন্দটা যেন সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিই।

গত দেড় বছরে প্রায় ১৮ হাজার পরিবার থেকে আনন্দ কেড়ে নিয়েছে করোনা। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে ঈদের আনন্দ সত্যি কঠিন। দুদিনের ব্যবধানে মা-বাবাকে হারিয়েছেন – মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রেজোয়ানুল হক রাজা —

নিউজটোয়েন্টিফোর এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট-

আমরা যত চেষ্টাই করি, এই ঈদে তাদের ঘরে আনন্দ আনা সত্যি কঠিন। এমন বেদনার গল্প অনেক পরিবারে।

এই ঈদে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, বেপরোয়া চলাফেরা করলে এমন বেদনা হানা দিতে পারে যে কারো পরিবারে। কার ঘরে হানা দেবে সেটা নির্ভর করছে আমার-আপনার ওপর। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে, তারা তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকবে; যারা মানবে না, তাদের ঝুঁকি বেশি। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কোন দলে থাকবেন।

আমরা অবশ্যই সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করবো, সবাই মিলে আনন্দ করবো। তবে এমনভাবে করবো, যাতে আরও অনেকগুলো ঈদ আমরা স্বজনের সাথে কাটাতে পারি। এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা

এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।

আপডেট টাইম : ০৭:৪৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১

ঈদের আনন্দে যেন আমরা সেই মানুষগুলোকে ভুলে না যাই। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা ঈদের আনন্দটাই ভাগাভাগি করে নিই। আপনার ঘরে অঢেল আনন্দ, অঢেল মাংস; প্রতিবেশীর ঘরে হাহাকার। তাহলে কিন্তু আপনার আনন্দটা পূর্ণ হবে না। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ীও কিন্তু আপনার ঈদ পূর্ণ হবে না।

আগেই বলেছি, বাড়ি ফেরা থেকে মাংস বণ্টন- কোরবানির ঈদের প্রতিটি ধাপই জনবহুল। এই ধাপগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সত্যিই কঠিন। কিন্তু সরকার যাই বলুক, লকডাউন কঠোর থাকুক আর শিথিল; নিজেদের স্বার্থেই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ আমার জীবনটা আমার, সরকারের নয়।

দুইটা মৌলিক বিষয় মেনে চলতেই হবে—সার্বক্ষণিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা এবং যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলা। আরেকটা জরুরি বিষয় হলো, কোরবানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে বর্জ্য পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কী হতে পারে, হাসপাতালগুলোর দিকে তাকালে যে কেউ টের পাবেন। এই যে বললাম, আনন্দটা যেন সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিই।

গত দেড় বছরে প্রায় ১৮ হাজার পরিবার থেকে আনন্দ কেড়ে নিয়েছে করোনা। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে ঈদের আনন্দ সত্যি কঠিন। দুদিনের ব্যবধানে মা-বাবাকে হারিয়েছেন – মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রেজোয়ানুল হক রাজা —

নিউজটোয়েন্টিফোর এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট-

আমরা যত চেষ্টাই করি, এই ঈদে তাদের ঘরে আনন্দ আনা সত্যি কঠিন। এমন বেদনার গল্প অনেক পরিবারে।

এই ঈদে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, বেপরোয়া চলাফেরা করলে এমন বেদনা হানা দিতে পারে যে কারো পরিবারে। কার ঘরে হানা দেবে সেটা নির্ভর করছে আমার-আপনার ওপর। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে, তারা তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকবে; যারা মানবে না, তাদের ঝুঁকি বেশি। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কোন দলে থাকবেন।

আমরা অবশ্যই সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করবো, সবাই মিলে আনন্দ করবো। তবে এমনভাবে করবো, যাতে আরও অনেকগুলো ঈদ আমরা স্বজনের সাথে কাটাতে পারি। এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।