ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতবিনিময় ও পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হবে আজমিরীগঞ্জ পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার ১৩ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে ১টি একনলা বন্দুক,১টি দেশীয় রাইফেল ও ৬টি ওয়ান শ্যুটার গানসহ ১টি মাইক্রোবাসে থাকা ০২ জন আসামী গ্রেফতার। মালয়েশিয়া সহ সকল বন্ধ শ্রম বাজার উন্মুক্ত করার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান:বায়রা সদস্যদের হাফেজ্জী চারিটিবল সোসাইটির অর্থায়নে নব মুসলিম ও অসহায় মুসলিম পরিবারদের মাঝে চাউল বিতরণ বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে চিন্তিত মোদি, নতুন পরিকল্পনা ভারতের আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো চিন্ময়কে শাপলা চত্বর গণহত্যা: ৯৩ জন শহিদের খসড়া তালিকা প্রকাশ নাসিরনগর সরকারি কলেজের ছাত্রদলের কমিটি গঠন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন

এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১
  • / ৫৪৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ঈদের আনন্দে যেন আমরা সেই মানুষগুলোকে ভুলে না যাই। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা ঈদের আনন্দটাই ভাগাভাগি করে নিই। আপনার ঘরে অঢেল আনন্দ, অঢেল মাংস; প্রতিবেশীর ঘরে হাহাকার। তাহলে কিন্তু আপনার আনন্দটা পূর্ণ হবে না। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ীও কিন্তু আপনার ঈদ পূর্ণ হবে না।

আগেই বলেছি, বাড়ি ফেরা থেকে মাংস বণ্টন- কোরবানির ঈদের প্রতিটি ধাপই জনবহুল। এই ধাপগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সত্যিই কঠিন। কিন্তু সরকার যাই বলুক, লকডাউন কঠোর থাকুক আর শিথিল; নিজেদের স্বার্থেই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ আমার জীবনটা আমার, সরকারের নয়।

দুইটা মৌলিক বিষয় মেনে চলতেই হবে—সার্বক্ষণিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা এবং যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলা। আরেকটা জরুরি বিষয় হলো, কোরবানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে বর্জ্য পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কী হতে পারে, হাসপাতালগুলোর দিকে তাকালে যে কেউ টের পাবেন। এই যে বললাম, আনন্দটা যেন সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিই।

গত দেড় বছরে প্রায় ১৮ হাজার পরিবার থেকে আনন্দ কেড়ে নিয়েছে করোনা। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে ঈদের আনন্দ সত্যি কঠিন। দুদিনের ব্যবধানে মা-বাবাকে হারিয়েছেন – মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রেজোয়ানুল হক রাজা —

নিউজটোয়েন্টিফোর এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট-

আমরা যত চেষ্টাই করি, এই ঈদে তাদের ঘরে আনন্দ আনা সত্যি কঠিন। এমন বেদনার গল্প অনেক পরিবারে।

এই ঈদে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, বেপরোয়া চলাফেরা করলে এমন বেদনা হানা দিতে পারে যে কারো পরিবারে। কার ঘরে হানা দেবে সেটা নির্ভর করছে আমার-আপনার ওপর। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে, তারা তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকবে; যারা মানবে না, তাদের ঝুঁকি বেশি। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কোন দলে থাকবেন।

আমরা অবশ্যই সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করবো, সবাই মিলে আনন্দ করবো। তবে এমনভাবে করবো, যাতে আরও অনেকগুলো ঈদ আমরা স্বজনের সাথে কাটাতে পারি। এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।

আপডেট টাইম : ০৭:৪৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১

ঈদের আনন্দে যেন আমরা সেই মানুষগুলোকে ভুলে না যাই। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা ঈদের আনন্দটাই ভাগাভাগি করে নিই। আপনার ঘরে অঢেল আনন্দ, অঢেল মাংস; প্রতিবেশীর ঘরে হাহাকার। তাহলে কিন্তু আপনার আনন্দটা পূর্ণ হবে না। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ীও কিন্তু আপনার ঈদ পূর্ণ হবে না।

আগেই বলেছি, বাড়ি ফেরা থেকে মাংস বণ্টন- কোরবানির ঈদের প্রতিটি ধাপই জনবহুল। এই ধাপগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সত্যিই কঠিন। কিন্তু সরকার যাই বলুক, লকডাউন কঠোর থাকুক আর শিথিল; নিজেদের স্বার্থেই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ আমার জীবনটা আমার, সরকারের নয়।

দুইটা মৌলিক বিষয় মেনে চলতেই হবে—সার্বক্ষণিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা এবং যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলা। আরেকটা জরুরি বিষয় হলো, কোরবানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে বর্জ্য পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে কী হতে পারে, হাসপাতালগুলোর দিকে তাকালে যে কেউ টের পাবেন। এই যে বললাম, আনন্দটা যেন সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিই।

গত দেড় বছরে প্রায় ১৮ হাজার পরিবার থেকে আনন্দ কেড়ে নিয়েছে করোনা। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে ঈদের আনন্দ সত্যি কঠিন। দুদিনের ব্যবধানে মা-বাবাকে হারিয়েছেন – মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রেজোয়ানুল হক রাজা —

নিউজটোয়েন্টিফোর এর বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট-

আমরা যত চেষ্টাই করি, এই ঈদে তাদের ঘরে আনন্দ আনা সত্যি কঠিন। এমন বেদনার গল্প অনেক পরিবারে।

এই ঈদে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, বেপরোয়া চলাফেরা করলে এমন বেদনা হানা দিতে পারে যে কারো পরিবারে। কার ঘরে হানা দেবে সেটা নির্ভর করছে আমার-আপনার ওপর। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে, তারা তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকবে; যারা মানবে না, তাদের ঝুঁকি বেশি। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কোন দলে থাকবেন।

আমরা অবশ্যই সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করবো, সবাই মিলে আনন্দ করবো। তবে এমনভাবে করবো, যাতে আরও অনেকগুলো ঈদ আমরা স্বজনের সাথে কাটাতে পারি। এই ঈদ যেন কারো জীবনের শেষ ঈদ না হয়।