নাটোর নলডাঙ্গায় বারনই নদী ও হালতিবিলে দেশীয় পোনা মাছ নিধনের প্রতিযোগিতা
- আপডেট টাইম : ০৪:২৪:২৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
- / ২৬১ ৫০০০.০ বার পাঠক
নাটোর নলডাঙ্গায় বারনই নদী ও হালতিবিলে দেশীয় পোনা মাছ নিধনের প্রতিযোগিতা
ব্যুরো প্রধান
মাসুদ রানা সোহেল
নাটোরের নলডাঙ্গায় ব্রহ্মপুর, মাধনগর, খাজুরা পিপরুলসহ প্রায় সব বাজারে দেখা মিলছে বাইম, টেংরা, শিং, বোয়ালসহ নানা প্রজাতির দেশীয় পোনা মাছ। যার আকার এক ইঞ্চি বা তারও কম। খবর নিয়ে জানা যায়, মাছ গুলো ধরা হয়েছে অবৈধ চায়না বা ঢলুক জাল দিয়ে। নলডাঙ্গা বারনই নদী ও হালতিবিলে সবেমাত্র বর্ষার পানি এসেছে । এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, দেশীয় পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব। আগের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জালের নাম শোনা গেলেও এবার নতুন করে তৈরি হয়েছে চায়না জাল বা ঢলুক জাল। এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা আর চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ফুট দৈর্ঘের ও ক্ষুদ্র পাশ বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির এই জাল।জাল ব্যবহার করা হয় নদীর তলদেশ দিয়ে । কিছু অসাধু জেলারা কৌশলে এই জাল পেতে রাখে নদীর তলদেশ দিয়ে। যেখানে শুধু ক্ষুদ্র মাছের পোনা নয় মাছের ডিম পর্যন্ত আটকা পরে। সাথে রয়েছে খেয়া জাল । তবে দিনের বেলায় এসব জাল চোখে পরে না এলাকাবাসী জানান, দিনের বেলায় নদীর মধ্যে খেয়া জালের শুধু কাঠামো পরে থাকতে দেখা যায় । আর রাত হলেই এই অসাধু জেলারা এই খেয়া জাল দ্বারা শুরু করে মাছ শিকার করা । আর ভোর হতেই জাল লুকিয়ে রেখে শুরু হয় মাছ বিক্রির ধুম।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট মহীউদ্দিন আহমেদ মিন্টু সংশয় প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে প্রতিদিন মাছের পোনা শিকার ও বিক্রি হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে এক সময় দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন । একই সাথে প্রকৃত ও পেশাদার জেলেদের প্রাপ্ত প্রনোদনা নিশ্চতকরনের মাধ্যমে এই নিধন কাজ নিরুসাহিত করা যেতে পারে বলে তিনি আশা করেন ।
একই কথা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা ও নলডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার সমীর কুমার আচার্য্য, তিনি বলেন-বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যেভাবে অবৈধভাবে মাছের পোনা ধরার নামে নিধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তা শুধু দুঃখজনকই নয় বরং আগামীতে দেশীয় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত ও হুমকির মুখে পরবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, এ বিষয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে । মা ও পোনা মাছ নিধন রোধে জনসচেতনতা মুলক প্রচারনা কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে উপজেলার হালতিবিল টাংকি,বাঁশভাগ ও কালিগঞ্জ বেশ কিছু জাল পুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জনসচেতনতা জন্য মাইকিং ও অভিযান অব্যাহত আছে এবং খুব দ্রুত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে ।