ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি Logo চেইন চুরির সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo ভোটের গাড়ির যাত্রা শুরুর উদ্বোধনে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে ভয় থাকবে না, থাকবে নির্ভীক মত প্রকাশ Logo যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo এবার এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি Logo একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, প্রশাসন ‘নির্লিপ্ত’ কেন? Logo নাহিদ হাসনাতসহ গানম্যান পেলেন যারা Logo বারকোনা একতা ক্রীড়া সংঘ এর উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত Logo হাদিকে গুলি করে হত্যা: ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Logo হাদি হত্যা: ফয়সালদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকা লেনদেন

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৮৭ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরকার যদি সরে আসে, তবে এটি লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ বলেই প্রতীয়মান হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকাল ১০টায় এনসিপির প্রতিনিধি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে; বৈঠকটি দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে।

আখতার হোসেন বলেন, “আরপিওতে আনা সংশোধনীগুলো আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। কিন্তু বিএনপি তাদের পূর্ব অবস্থান থেকে সরে এসে এখন এই সংশোধনী বাতিলের দাবি তুলছে, যা আইনগত প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনী আটকে দেওয়ার মানসিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে মনে হয়, সরকার বিশেষ কোনো উপদেষ্টা বা দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—যা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে আখতার বলেন, “গণভোটের আগে সরকারকে অবশ্যই ‘সংবিধান আদেশ’-এর বিষয়বস্তু ও কার্যকারিতা পরিষ্কার করতে হবে। শুধু গণভোটের মাধ্যমে সংস্কারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যদি সরকার কোনো দলের চাপে সংশোধনী প্রস্তাব থেকে সরে আসে, তাহলে এটি স্পষ্ট হবে যে সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে এগোচ্ছে। এটি দেশের জন্য কোনোভাবেই সুস্থ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া হতে পারে না।”

এনসিপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

অন্যদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আপডেট সময় ০৭:১৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরকার যদি সরে আসে, তবে এটি লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ বলেই প্রতীয়মান হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকাল ১০টায় এনসিপির প্রতিনিধি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে; বৈঠকটি দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে।

আখতার হোসেন বলেন, “আরপিওতে আনা সংশোধনীগুলো আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। কিন্তু বিএনপি তাদের পূর্ব অবস্থান থেকে সরে এসে এখন এই সংশোধনী বাতিলের দাবি তুলছে, যা আইনগত প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনী আটকে দেওয়ার মানসিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে মনে হয়, সরকার বিশেষ কোনো উপদেষ্টা বা দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—যা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে আখতার বলেন, “গণভোটের আগে সরকারকে অবশ্যই ‘সংবিধান আদেশ’-এর বিষয়বস্তু ও কার্যকারিতা পরিষ্কার করতে হবে। শুধু গণভোটের মাধ্যমে সংস্কারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যদি সরকার কোনো দলের চাপে সংশোধনী প্রস্তাব থেকে সরে আসে, তাহলে এটি স্পষ্ট হবে যে সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে এগোচ্ছে। এটি দেশের জন্য কোনোভাবেই সুস্থ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া হতে পারে না।”

এনসিপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

অন্যদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।


প্রিন্ট