ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায় Logo হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা Logo আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার Logo কালিয়াকৈরে প্রতারণা করে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা: প্রতারক থেকে জমি রক্ষা করতে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের মালিকদের

হলুদ সাংবাদিক শাহীন সিকদারের চাঁদাবাজির অভিযোগে তোলপাড়

কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার “বিশেষ সংবাদদাতা” পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় শাহীন সিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভুয়া সংবাদ প্রকাশ ও ব্ল্যাকমেইলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ রানা এবং স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই সিকদারের ছেলে শাহীন সিকদার নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করে কথিতভাবে “সংবাদপত্রের প্রতিনিধি” পরিচয়ে একটি ব্ল্যাকমেইলিং চক্র পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি দিঘীনালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিউজ তৈরি করে শাহীন সিকদার তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।কাজী হাবিব উল্লাহ রানা বলেন,

“শাহীন সিকদার সরাসরি আমাকে ফোন করে টাকা দাবি করেছে। বলেছে, টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক নিউজ প্রকাশ করবে। আমার কাছে কল রেকর্ডসহ সব প্রমাণ রয়েছে, এবং আমি শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।”

এ ঘটনায় দিঘীনালা উপজেলা বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়— শাহীন সিকদার শুধু কাজী হাবিব উল্লাহ রানা নয়, বিএনপির আরও বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মীর কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করেছে। কেউ টাকা না দিলে তাদের নাম-ছবি বদলে একই নিউজ বিভিন্ন ভুয়া অনলাইন পোর্টালে ছড়িয়ে দিয়েছে। দল এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।

শাহীন সিকদারের এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,

“আমাদের এলাকায় শাহীন সিকদারকে সবাই ধান্দাবাজ হিসেবে চেনে। সে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকে এবং তার সঙ্গে একটি গ্রুপ কাজ করে, যারা ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজিতে জড়িত।”

আরেকজন জানান,
“আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সে প্রভাব খাটিয়ে অনেককে হয়রানি করেছে। পরে নতুন সরকার আসার পর নিজেকে সাংবাদিক সাজিয়ে মাঠে নামে।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, শাহীন সিকদারের মতো তথাকথিত সাংবাদিকদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন,

“যারা সংবাদপেশাকে ঢাল বানিয়ে অপরাধমূলক কাজ করে, তারা শুধু মানুষকেই নয়, পুরো সাংবাদিক সমাজকেই কলঙ্কিত করছে।”

সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিক নেতারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন— সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে যারা প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। একই সঙ্গে সংবাদপেশায় নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এই বিষয়ে শাহীন সিকদারের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

হলুদ সাংবাদিক শাহীন সিকদারের চাঁদাবাজির অভিযোগে তোলপাড়

আপডেট সময় ১২:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার “বিশেষ সংবাদদাতা” পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় শাহীন সিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভুয়া সংবাদ প্রকাশ ও ব্ল্যাকমেইলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ রানা এবং স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব ভান্ডারিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই সিকদারের ছেলে শাহীন সিকদার নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করে কথিতভাবে “সংবাদপত্রের প্রতিনিধি” পরিচয়ে একটি ব্ল্যাকমেইলিং চক্র পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি দিঘীনালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিউজ তৈরি করে শাহীন সিকদার তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।কাজী হাবিব উল্লাহ রানা বলেন,

“শাহীন সিকদার সরাসরি আমাকে ফোন করে টাকা দাবি করেছে। বলেছে, টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক নিউজ প্রকাশ করবে। আমার কাছে কল রেকর্ডসহ সব প্রমাণ রয়েছে, এবং আমি শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।”

এ ঘটনায় দিঘীনালা উপজেলা বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়— শাহীন সিকদার শুধু কাজী হাবিব উল্লাহ রানা নয়, বিএনপির আরও বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মীর কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করেছে। কেউ টাকা না দিলে তাদের নাম-ছবি বদলে একই নিউজ বিভিন্ন ভুয়া অনলাইন পোর্টালে ছড়িয়ে দিয়েছে। দল এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।

শাহীন সিকদারের এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,

“আমাদের এলাকায় শাহীন সিকদারকে সবাই ধান্দাবাজ হিসেবে চেনে। সে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকে এবং তার সঙ্গে একটি গ্রুপ কাজ করে, যারা ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজিতে জড়িত।”

আরেকজন জানান,
“আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সে প্রভাব খাটিয়ে অনেককে হয়রানি করেছে। পরে নতুন সরকার আসার পর নিজেকে সাংবাদিক সাজিয়ে মাঠে নামে।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, শাহীন সিকদারের মতো তথাকথিত সাংবাদিকদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন,

“যারা সংবাদপেশাকে ঢাল বানিয়ে অপরাধমূলক কাজ করে, তারা শুধু মানুষকেই নয়, পুরো সাংবাদিক সমাজকেই কলঙ্কিত করছে।”

সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিক নেতারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন— সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে যারা প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। একই সঙ্গে সংবাদপেশায় নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এই বিষয়ে শাহীন সিকদারের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট