সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুটি রেঞ্জের বৈষম্য আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মৎস্যজীবী ও পেশাজীবীরা। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার শরনখোলা বাজারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার শত শত জেলে ও মৎস্যজীবীরা অংশ নেয়।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লিটন,৷সম্মানিত মৎস্য ব্যবসায়ী মো: হিরু খান, সেলিম খান, ফরিদ খান৷ হালিম খান,খলিলুর রহমান হাওলাদার, এবং শরন খোলার থানার প্রেসক্লাব সাংবাদিক সদস্য বৃন্দ গন বলেন।সুন্দরবন মায়ের মতন সুন্দরবনকে সুরক্ষার দেওয়ার দায়িত্ব উপকূলবাসীর। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার হাজার হাজার মানুষ বৈধ (অনুমতি) পাশ পারমিট নিয়ে মাছ, কাঁকড়া আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুন্দরবনকে ব্যবহার করে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। বন্যপ্রাণী নিধন করা হয়েছে যাক কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তৎকালীন বনমন্ত্রী ছিলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার হাবিবুন নাহার। তিনি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জকে বৈষম্য করে তোলেন।তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তার এলাকায় চাঁদপাই রেঞ্জের ৪৮ ভাগ ও পার্শ্ববর্তী রেঞ্জ শরনখোলাকে ৮৪ ভাগ অভয়ারণ্য ঘোষণা করে। এর ফলে শরণখোলা রেঞ্জের মৎস্যজীবী ও বনজীবীরা মাছ আহরনে নদী ও খালের জায়গা সংকটে পড়েন। যার ফলে হাজার হাজার জেলেরা মানবতার জীবন যাপন করেন।
জেলের আরো জানান, এই বৈষম্য দূর না করলে অবহেলিত শরণখোলা এলাকার হাজার হাজার জেলে পরিবার জীবীকার সংকটে পড়বে।একই বনে দুই ধরনের সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্রমূলক বলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে বৈষম্য দূর করার জন্য বন মন্ত্রণালয় ও সরকারের কাছে দাবি জানান বক্তারা।
প্রিন্ট