টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও দূর্নীতির টাঙ্গাইল জেলার চ্যাম্পিয়ন ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ভুয়াপুর-ধনবাড়ী আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৈশ ভোটের সাবেক এমপি তানভির হাসান ওরফে ছোট মনিদের আর্শীবাদপৃষ্ট এবং টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের পোষ্য সাংবাদিক মহব্বত হোসেন খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির সাইনবোর্ডধারী সাংবাদিক সাজতে মরিয়া হয়ে উঠছে।
বিগত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে অধিকাংশ বেসরকারি চ্যানেল ও গণমাধ্যমকর্মীরা আওয়ামীলীগের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতেন। আর যারাই আওয়ামী বিরোধী কিংবা দূর্নীতি-অরাজকতার তথ্য তুলে ধরতেন, তাদের বেলায় জোটেছে মামলা-হামলা আর কারাগারে কষ্টে দিন যাপন।
এরকম কোনো নজির বা কারাবরণ কিংবা হামলার শিকার হননি বর্তমানে নিজেকে বিএনপি মনা সাংবাদিক সাজার দাবীদার টাঙ্গাইল এর এনটিভির স্টাফ করেসপনডেন্ট মহব্বত হোসেন।
বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের সাংবাদিক মহব্বত হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনি ও ছোট মনির পারিবারিকভাবে সম্পর্কে জড়িত থাকতে।
একাধিক আলোকচিত্র, একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে, মহব্বত হোসেন, বড় মনি, ছোট মনি তাঁদের বাসার খাসকামরাতেও আড্ডা দিতে।
সখ্যতার সুত্রপাত ঘটার পর থেকে টাঙ্গাইলের অপরাজনীতির বড় মনির-ছোট মনিরের পোষ্য কলমযোদ্ধা ছিলেন মহব্বত হোসেন।
অপ-সাংবাদিকতার পাশাপাশি মহব্বত হোসেন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অবৈধ বালুর ঘাট থেকে টাকা উপার্জনের রমরমা বাণিজ্য শুরু হয়। বলা যায়, মনিদের
কাছে মহব্বত ছিল বিশ্বস্ত নাম।
এছাড়া, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের খাসকামরায় গিয়ে মহব্বত হোসেন স্বপরিবারে ক্যামেরাবন্দীও হয়েছেন। এই প্রয়াত সভাপতির কানভারী করতে ও নেতার আর্শীবাদ পেতে তার যোগাযোগ অব্যাহত থাকতো।
সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড বহণ করে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আর্শীবাদ পেয়ে জিরো থেকে হিরু সাজতে ব্যস্ত থাকতেন মহব্বত হোসেন।
এনটিভির স্টাফ করেসপনডেন্ট ও জাতীয় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মহব্বত হোসেন তার পিতার বসতভিটায় প্রারম্ভিকে বাসযোগ্য যে ঘরটি ছিল, তা আজ অট্রালিকায় পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী আর্শীবাদে তার ব্যয়বহুল খরচ, সন্তানদের পড়াশোনার ব্যাপক ব্যয় তার সাংবাদিকতা পেশার সামান্য বেতনে চালানো অসম্ভব। তার মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারও রয়েছে।
বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, মহব্বত হোসেন এর রয়েছে অপ-সাংবাদিকতার একটি সিন্ডিকেট, যার মাধ্যমে টাঙ্গাইলের প্রায় অফিস-আদালতের দপ্তরগুলোতে চলে তার নীরব চাঁদাবাজি।
নামে-বেনামে পত্রিকাগুলোতে তার রয়েছে সিন্ডিকেট বাণিজ্য, নিউজ বাণিজ্য।
টাঙ্গাইলের বিলুপ্তপ্রায় দু’একজন নেতার সমন্বয়ে মহব্বত হোসেন চট করে খোলস পাল্টিয়ে এখন বিএনপির লেজুড় ভিত্তিক হয়ে ফের দূর্নীতি-অরাজকতা করতে নানা নীলনকশা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠছে।
ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত।
নাম না প্রকাশের শর্তে টাঙ্গাইল শহর বিএনপির এক নেতা জানান, আওয়ামী লীগের নৈশভোটের এমপি ছোট মনি ও তার ভাই বড় মনি মানেই মহব্বত হোসেন।
এখন মহব্বত হোসেন রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেকে বিএনপির সাংবাদিক সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তার গুণীধর সেজে দেশে ও প্রবাসে থাকা বিভিন্ন সিজনালি নেতার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে চলছে তার প্রভাকান্ড বাণিজ্য। মহব্বত হোসেন সম্পর্কে সবাই জানে। সেও আওয়ামী লীগের দুসর।
টাঙ্গাইলের একজন প্রবীণ সাংবাদিক নেতা জানান,
আমরা টাঙ্গাইলের সাংবাদিক সমাজ সর্বদা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম দল-মত-নির্বিশেষে জনকল্যাণমুখী কাজে ও লেখনীতে। কারও ব্যক্তিগত দিক নিয়ে বিশেষ করে সাংবাদিকদের মাঝে বাক-বিতন্ডা ও অপপ্রচারে নয়।
তিনি আরো জানান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সকল ভোটারদের ভোটে বিগতদিনে সাংবাদিক নেতা নির্বাচিত হয়েছে, অদ্যাবধি তাই হচ্ছে।
তবে মহব্বত হোসেন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার চেয়ে আরো ভালো বলতে পারবে টাঙ্গাইলের সচেতন মানুষজনেরা।
অপরদিকে, টাঙ্গাইলের সাংবাদিক সমাজ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম না প্রকাশের শর্তে একজন আইনজীবী জানান, সাংবাদিকতা মানে দেশপ্রেমিকের কাজ। কিন্তু এখন তা কম পরিলক্ষিত হয়। এখানে টাঙ্গাইলে ইতিপূর্বে ও এখন আগে ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত এখন বিএনপির সমর্থন পেতে ব্যস্ত সাংবাদিক মহব্বত হোসেন। তাহলে নৈতিকতা তো আর রইল না। রইল স্বার্থপরতা আর পিঠ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে খোলস পাল্টিয়ে নেয়া।
তবে ইতিপূর্বে টাঙ্গাইলের সাংবাদিক মহব্বত হোসেন এর কাছে আওয়ামী লীগের নেতা ছোট মনির ও বড় মনিরের সাথে সখ্যতা কেন? এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বেজায় দাম্ভিকতার স্বরে বলেন, আওয়ামী লীগের এমপি ছোট মনি ও তার ভাই আমার খুব ঘনিষ্ঠ।
প্রিন্ট