ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত

চট্টগ্রামের অন্ধকার গলির দানব রাব্বি গ্রেফতার—ডাকাতি ষড়যন্ত্র মামলায় বড় ধাক্কা অপরাধচক্রের

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন আলিশাহ নগর বন্দরটিলা কাঁচাবাজারের অন্ধকার গলি থেকে কুখ্যাত ছিনতাইকারী ও অপহরণচক্রের সক্রিয় সদস্য ইমন রাব্বি (২৫), পিতা: জিয়াউল হক রাব্বি কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বহুদিন ধরে এলাকাজুড়ে ত্রাস ছড়িয়ে ছিনতাই, অপহরণ আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল এই রাব্বি।

ধারা ৩৯৯: ডাকাতির পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি নিলেই এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধারা ৪০২: পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রিত হয়ে ডাকাতির ষড়যন্ত্র করলে এ ধারা প্রযোজ্য।

অর্থাৎ, রাব্বি একক অপরাধী নন—সে ছিল সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের সদস্য। এই ধারার অধীনে গ্রেফতার মানেই—চক্রটির অপরাধ কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে প্রমাণিত।

অভিযানটি পরিচালিত হয় সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম এর সার্বিক নির্দেশনায়। তত্ত্বাবধানে ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাংগীর ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান। নেতৃত্বে ছিলেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সরাসরি মাঠে ছিলেন এসআই মোঃ আরিফ হোসেনসহ এএসআই আব্দুল কাদের সংগীয় ফোর্সসহ। মঙ্গলবার গভীর রাতের অভিযানে রাব্বিকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে—সে একটি সংঘবদ্ধ অপহরণচক্রের সক্রিয় সদস্য। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে আরেক সহযোগী মোঃ জিসান।

ইপিজেড থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন—“গ্রেফতারকৃত আসামীকে মামলা নং-০৫, তারিখ ২৩/০৯/২০২৫, ধারা ৩৯৯/৪০২ অনুযায়ী আসামি ইমন রাব্বিকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। রিমান্ডে নিলে পুরো চক্রের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

দীর্ঘদিন রাব্বির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। স্থানীয়দের ভাষায়—“এই গ্রেফতার পুরো চক্র ধ্বংস করার পথ খুলে দিয়েছে। আমরা চাই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত এভাবে অভিযান চালিয়ে যাক।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রমাণ করেছে
-কুখ্যাত অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আইনের কাছে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হবেই। রাব্বির গ্রেফতার দেখিয়ে দিল—অপরাধের জায়গা চট্টগ্রামে আর নেই।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান

চট্টগ্রামের অন্ধকার গলির দানব রাব্বি গ্রেফতার—ডাকাতি ষড়যন্ত্র মামলায় বড় ধাক্কা অপরাধচক্রের

আপডেট সময় ০১:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন আলিশাহ নগর বন্দরটিলা কাঁচাবাজারের অন্ধকার গলি থেকে কুখ্যাত ছিনতাইকারী ও অপহরণচক্রের সক্রিয় সদস্য ইমন রাব্বি (২৫), পিতা: জিয়াউল হক রাব্বি কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বহুদিন ধরে এলাকাজুড়ে ত্রাস ছড়িয়ে ছিনতাই, অপহরণ আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল এই রাব্বি।

ধারা ৩৯৯: ডাকাতির পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি নিলেই এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধারা ৪০২: পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রিত হয়ে ডাকাতির ষড়যন্ত্র করলে এ ধারা প্রযোজ্য।

অর্থাৎ, রাব্বি একক অপরাধী নন—সে ছিল সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের সদস্য। এই ধারার অধীনে গ্রেফতার মানেই—চক্রটির অপরাধ কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে প্রমাণিত।

অভিযানটি পরিচালিত হয় সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম এর সার্বিক নির্দেশনায়। তত্ত্বাবধানে ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাংগীর ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান। নেতৃত্বে ছিলেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সরাসরি মাঠে ছিলেন এসআই মোঃ আরিফ হোসেনসহ এএসআই আব্দুল কাদের সংগীয় ফোর্সসহ। মঙ্গলবার গভীর রাতের অভিযানে রাব্বিকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে—সে একটি সংঘবদ্ধ অপহরণচক্রের সক্রিয় সদস্য। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে আরেক সহযোগী মোঃ জিসান।

ইপিজেড থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন—“গ্রেফতারকৃত আসামীকে মামলা নং-০৫, তারিখ ২৩/০৯/২০২৫, ধারা ৩৯৯/৪০২ অনুযায়ী আসামি ইমন রাব্বিকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। রিমান্ডে নিলে পুরো চক্রের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

দীর্ঘদিন রাব্বির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। স্থানীয়দের ভাষায়—“এই গ্রেফতার পুরো চক্র ধ্বংস করার পথ খুলে দিয়েছে। আমরা চাই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত এভাবে অভিযান চালিয়ে যাক।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রমাণ করেছে
-কুখ্যাত অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আইনের কাছে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হবেই। রাব্বির গ্রেফতার দেখিয়ে দিল—অপরাধের জায়গা চট্টগ্রামে আর নেই।


প্রিন্ট