ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি Logo চেইন চুরির সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo ভোটের গাড়ির যাত্রা শুরুর উদ্বোধনে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে ভয় থাকবে না, থাকবে নির্ভীক মত প্রকাশ Logo যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo এবার এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি Logo একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, প্রশাসন ‘নির্লিপ্ত’ কেন? Logo নাহিদ হাসনাতসহ গানম্যান পেলেন যারা Logo বারকোনা একতা ক্রীড়া সংঘ এর উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত Logo হাদিকে গুলি করে হত্যা: ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Logo হাদি হত্যা: ফয়সালদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকা লেনদেন

উত্তরা ইপিজেডে পরিস্থিতি পুরো শান্ত চলছে স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা বাম চক্রান্তে ফের অশান্তির শংকা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০৪ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

চলতি মাসের দুই তারিখে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ফটকে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে
একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার পরপরই চতুর্পক্ষীয় বৈঠকে পরিস্থিতি পুর্ন শান্তিময় হয়। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ইপিজেড এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায় ভেতরে স্বাভাবিক কর্মকান্ড চলছে। তবে সতর্কতামুলক পদক্ষেপ হিসেবে ইপিজেডের মুল ফটকে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। লক্ষ্য করা গেছে ভেতরে দেশি-বিদেশি সব কারখানায় নিয়মিত শিফটিং কার্যক্রম চলছে।

তবে ঘটনার এক সপ্তাহ পর গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে বাম ঘরানার চিহ্নিত শ্রমিক নেতা নেত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল নীলফামারীতে এসে নিহত শ্রমিক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পরিবারকে এক কালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি পুরন দেওয়ার দাবি করেন। পাশাপাশি শ্রমিকদের গুলি করে হতাহত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে
জরুরি ভিত্তিতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার কথাও জানিয়েছেন। বিকাল চারটায় নীলফামারি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ক তোফাজ্জল হোসেন, একই সংগঠনের পক্ষে এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, এ্যাডভোকেট শারমিন সুলতানা মৌশুমী, মোশরেফা মিশু প্রমুখ।

এর আগে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নীলফামারীর জেলা ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ, বেপোজা কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করে একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। জেলা পুলিশ সুপার সাক্ষাতের কথা স্বীকার করে বলেন , ওনারা এসেছিলেন। বক্তব্য বলেছেন। আমরা শুনেছি। এসময় শ্রমিক নেতারা নিহত হাবিবের বাসায় এবং আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান বলে জানা যায়।

এদিকে নীলফামারীর পরিস্থিতি যখন শান্ত। আইনশৃংখলা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে তখন কেন এই বাম জোটের তৎপরতা তা নিয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ। উদ্বিগ্নরা বলছেন, নিষ্পত্তিকৃত বিষয় নিয়ে নতুন আন্দোলনের ফল হতে পারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এলাকাছাড়া হবেন। তারা চলে গেলে সৃষ্টি হবে বেকারত্ব। সে দায় নেবে কে ? অনেকেই বলছেন, এসব অশান্তির পেছনে রয়েছে ভারত। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার পর নতুন করে আন্দোলনের হুমকি উদ্বেগজনক বৈকি


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি

উত্তরা ইপিজেডে পরিস্থিতি পুরো শান্ত চলছে স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা বাম চক্রান্তে ফের অশান্তির শংকা

আপডেট সময় ০৭:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি মাসের দুই তারিখে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ফটকে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে
একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার পরপরই চতুর্পক্ষীয় বৈঠকে পরিস্থিতি পুর্ন শান্তিময় হয়। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ইপিজেড এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায় ভেতরে স্বাভাবিক কর্মকান্ড চলছে। তবে সতর্কতামুলক পদক্ষেপ হিসেবে ইপিজেডের মুল ফটকে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। লক্ষ্য করা গেছে ভেতরে দেশি-বিদেশি সব কারখানায় নিয়মিত শিফটিং কার্যক্রম চলছে।

তবে ঘটনার এক সপ্তাহ পর গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে বাম ঘরানার চিহ্নিত শ্রমিক নেতা নেত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল নীলফামারীতে এসে নিহত শ্রমিক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পরিবারকে এক কালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি পুরন দেওয়ার দাবি করেন। পাশাপাশি শ্রমিকদের গুলি করে হতাহত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে
জরুরি ভিত্তিতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার কথাও জানিয়েছেন। বিকাল চারটায় নীলফামারি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ক তোফাজ্জল হোসেন, একই সংগঠনের পক্ষে এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, এ্যাডভোকেট শারমিন সুলতানা মৌশুমী, মোশরেফা মিশু প্রমুখ।

এর আগে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নীলফামারীর জেলা ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ, বেপোজা কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করে একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। জেলা পুলিশ সুপার সাক্ষাতের কথা স্বীকার করে বলেন , ওনারা এসেছিলেন। বক্তব্য বলেছেন। আমরা শুনেছি। এসময় শ্রমিক নেতারা নিহত হাবিবের বাসায় এবং আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান বলে জানা যায়।

এদিকে নীলফামারীর পরিস্থিতি যখন শান্ত। আইনশৃংখলা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে তখন কেন এই বাম জোটের তৎপরতা তা নিয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ। উদ্বিগ্নরা বলছেন, নিষ্পত্তিকৃত বিষয় নিয়ে নতুন আন্দোলনের ফল হতে পারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এলাকাছাড়া হবেন। তারা চলে গেলে সৃষ্টি হবে বেকারত্ব। সে দায় নেবে কে ? অনেকেই বলছেন, এসব অশান্তির পেছনে রয়েছে ভারত। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার পর নতুন করে আন্দোলনের হুমকি উদ্বেগজনক বৈকি


প্রিন্ট