দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মায় ডুবো চর দেখা দেওয়ায় ৭ নম্বর ফেরি ঘাটটি বন্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ৭টি ফেরি ঘাটের মধ্যে মাত্র ২টি ফেরি ঘাট দিয়ে কচ্ছপ গতিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পরিবহন চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭ টি ফেরি ঘাটের মধ্যে মাত্র ২ টি ফেরি ঘাট সচল রয়েছে। পদ্মায় ডুবো চর দেখা দেওয়ায় ৭ নং ফেরি ঘাটে ফেরি পন্টুনের সাথে চাপাতে না পারায় ঘাটটি বন্ধ করে রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এতে করে ঘাটে দেখা দেয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। পদ্মা নদীতে স্রোত থাকায় আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে ফেরি পারাপার হতে। যার ফলে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নদী পারাপার হতে আসা যানবাহনের চালক যাত্রীদের।
ফাল্গুনী পরিবহনের চালক রাজু আহমেদ জানান, মাত্র দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যার কারণে ঘাটে এসে সিরিয়ালে বসে থাকতে হয়। ২টি ঘাট সচল আছে এর সাথে আরো ২টি ঘাট সচল থাকলে মোট ৪ টি ঘাট সচল থাকলে আমাদের ঘাটে এসে সিরিয়ালে বসে থাকতে হতো না। আমরা ঘাটে এসে যানবাহন নিয়ে দ্রুত ফেরিতে উঠে যেতাম। এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। তারপরও নদীতে প্রচুর স্রোত থাকায় ফেরি চলাচলের আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।
ঘাটের ব্যবসায়ী ইলিয়াস ও কেরামত জানান, ফেরির পন্টুনের পাশে পদ্মা নদীতে ডুবো চর দেখা দেওয়ায় ফেরি নদীতে ঠেকে যায়। যার কারণে পন্টুনের সাথে ফেরি চাপাতে পারে না। তার পরেও নদীতে রয়েছে প্রচুর স্রোত। ৩ টি ফেরি ঘাট চালু ছিল। তার মধ্যে ৭ নম্বর ফেরি ঘাটটি আজ ২০ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে। মাত্র ২টি ঘাট চালু রয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ সালাউদ্দিন জানান, নদীতে নাব্যতা সংকট ও স্রোতের কারণে ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে ফেরি চাপাতে না পারায় ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ৩ ও ৪ নম্বর ফেরি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিতে নদী পারাপারে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।
বর্তমানে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১২ টি ফেরি চলাচল করছে।
প্রিন্ট