ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর নিয়ে যা বলল বিএনপি Logo নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার আগ পর্যন্ত আমরা থামবো না: সাদিক কায়েম Logo দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর ‘ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে’ Logo শিল্পা–রাজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা, পুলিশের লুকআউট নোটিশ Logo নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি সাড়ে ৩ হাজার Logo আমরা ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি: ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo কিশোরগঞ্জ জেলা ভৈরবে উপজেলার শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার Logo ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন সরকার Logo অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও Logo কক্সবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা, স্কেভেটর ভাঙচুর-সড়ক অবরোধ

অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। বর্তমানে আলু ও কাঁচা পেঁপে ছাড়া বাজারে হাতেগোনা কয়েকটি সবজির দামই ১০০ টাকার নিচে। সেই সঙ্গে মাছ-মুরগিতেও নেই স্বস্তি। বেগুন, সিম, বরবটি থেকে শুরু করে টমেটো; সবই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কয়েদিন ধরে বলা হচ্ছিল, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাড়ছে দাম। কিন্তু কয়েকদিন টানা বৃষ্টি নেই। তারপরও কমছে না সবজির দামের উত্তাপ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এককেজি গোল বেগুনের জন্য এখন গুণতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর লম্বা বেগুন কিনতে লাগছে ১০০ টাকা। ক্রেতার অন্যতম বেশি চাহিদার সবজি ঝিঙা। এই সবজির কেজি এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

রাজধানীর পলাশী বাজারে লাউ, বরবটির দামও আকাশ চুম্বি। ৮০ টাকায় মিলছে একেকটি লাউ। আর বরবটির কেজি ১০০। টমেটোর গায়ে হাত দেয়া কঠিন। কেজিপ্রতি ভারতীয় টমেটোর মূল্য ১৫০ টাকা। উস্তার কেজি ১০০ আর সিম কিনতে লাগছে ১৮০ টাকা।

কাঁচামরিচের দাম এখনো অসহণীয়। এককেজির দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ভারত থেকে আসছে পেঁয়াজ। কিন্তু দামে তার কোন প্রভাব নেই। মিশ্রজাতের দেশি পেঁয়াজের কেজি এখনো ৮০ টাকা।

মাছের দামও অস্বস্তিকর। চাষের মাছের দাম কিছুটা কম হলেও দেশি নদীর মাছের গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।

চাষের চিংড়ির কেজি ১ হাজার টাকার বেশি। দেশি বোয়াল কিনতেও লাগছে হাজার টাকা। টেংড়া ৬০০ থেকে ৯০০ আর কাজলী মাছের জন্য গুণতে হচ্ছে ১০০০ টাকা। চাষের কই ও পাবদার কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ মাছের দাম আগের মতোই চড়া। বলা হচ্ছে সরবরাহ কমের প্রভাব পড়েছে বাজারে। এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। পাঙাসও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।

বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য মাছের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭৫ টাকায়। কক মুরগি ৩১০, মোরগ ৩৩০। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগি কিনতে কেজিপ্রতি খরচ করতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

ভোক্তা দিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে ভোক্তারা নানাভাবে ঠকছেন। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মূলত সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই। বেপারী ফরিয়াদের খপ্পরে পড়ে কিছু কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলোকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ রইল।’


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর নিয়ে যা বলল বিএনপি

অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও

আপডেট সময় ০৩:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। বর্তমানে আলু ও কাঁচা পেঁপে ছাড়া বাজারে হাতেগোনা কয়েকটি সবজির দামই ১০০ টাকার নিচে। সেই সঙ্গে মাছ-মুরগিতেও নেই স্বস্তি। বেগুন, সিম, বরবটি থেকে শুরু করে টমেটো; সবই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কয়েদিন ধরে বলা হচ্ছিল, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাড়ছে দাম। কিন্তু কয়েকদিন টানা বৃষ্টি নেই। তারপরও কমছে না সবজির দামের উত্তাপ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এককেজি গোল বেগুনের জন্য এখন গুণতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর লম্বা বেগুন কিনতে লাগছে ১০০ টাকা। ক্রেতার অন্যতম বেশি চাহিদার সবজি ঝিঙা। এই সবজির কেজি এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

রাজধানীর পলাশী বাজারে লাউ, বরবটির দামও আকাশ চুম্বি। ৮০ টাকায় মিলছে একেকটি লাউ। আর বরবটির কেজি ১০০। টমেটোর গায়ে হাত দেয়া কঠিন। কেজিপ্রতি ভারতীয় টমেটোর মূল্য ১৫০ টাকা। উস্তার কেজি ১০০ আর সিম কিনতে লাগছে ১৮০ টাকা।

কাঁচামরিচের দাম এখনো অসহণীয়। এককেজির দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ভারত থেকে আসছে পেঁয়াজ। কিন্তু দামে তার কোন প্রভাব নেই। মিশ্রজাতের দেশি পেঁয়াজের কেজি এখনো ৮০ টাকা।

মাছের দামও অস্বস্তিকর। চাষের মাছের দাম কিছুটা কম হলেও দেশি নদীর মাছের গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।

চাষের চিংড়ির কেজি ১ হাজার টাকার বেশি। দেশি বোয়াল কিনতেও লাগছে হাজার টাকা। টেংড়া ৬০০ থেকে ৯০০ আর কাজলী মাছের জন্য গুণতে হচ্ছে ১০০০ টাকা। চাষের কই ও পাবদার কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ মাছের দাম আগের মতোই চড়া। বলা হচ্ছে সরবরাহ কমের প্রভাব পড়েছে বাজারে। এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। পাঙাসও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।

বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য মাছের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭৫ টাকায়। কক মুরগি ৩১০, মোরগ ৩৩০। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগি কিনতে কেজিপ্রতি খরচ করতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

ভোক্তা দিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে ভোক্তারা নানাভাবে ঠকছেন। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মূলত সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই। বেপারী ফরিয়াদের খপ্পরে পড়ে কিছু কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলোকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ রইল।’


প্রিন্ট