ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ.মামলা লিতে নারাজ পুলিশ

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৪:৪১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮৯ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

পাবনার চাটমোহরে সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ১৪ দিন আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাটমোহর থানায় মামলা করতে চাইলে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। প্রেমিক মো: নাঈম হোসেন (২৫) পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মহেশখালী গ্রামের মৃত তসলিম হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভোর ৪ টার দিকে চাটমোহর থানাধীন হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগের নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩) কে তুলে নিয়ে নাটোরে যায়। পরের দিন ৬ আগস্ট রাত্রে নৌকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ছাত্রীকে নাটোর জেলার কোন এক ক্লাবে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় লম্পট প্রেমিক। এসময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হইলে জৈনক ক্লাবের মেয়েরা তাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে দেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর ওই ছাত্রীর স্মৃতিশক্তি লোভ পেয়ে যায়। এরপর প্রতিদিন রাতে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয়। এ বিষয়ে ১৭ই আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা চাটমোহর থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং- ১৫৮১। ২২ আগস্ট র‍্যাব -১২ সিরাজগঞ্জ রাত ১০ টার দিকে কড্ডার মোড় থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ২৪ আগস্ট মেয়ে সহ মেয়ের বাবা চাটমোহর থানায় মামলা করতে আসলে চাটমোহর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার মামলা না নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে তাড়াশ থানায় অথবা নাটোর থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী পরিবার উপায় না পেয়ে ওসি মনজুরুল আলমের সাথে দেখা করতে চাইলে তদন্ত ওসি থানা থেকে তাদের বের করে দেন। ভুক্তভোগী পরিবার তাড়াশ থানায় ও নাটোর থানাতে ঘুড়ে আইনের সহায়তা না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

এ বিষয়ে চাটমোর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার বলেন, মেয়েটাকে চাটমোহর থানার এরিয়া থেকে নিয়ে গেলেও ধর্ষণ হয়েছে তাড়াশ ও নাটোর থানার মধ্যে তাই তাদেরকে ওই থানায় যাবার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল চাটমোহর) আরজুমা আকতার বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয় তবে ওই ছাত্রী থানায় এসেছে তাদের সাথে কথা বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ.মামলা লিতে নারাজ পুলিশ

আপডেট সময় ০৪:৪১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

পাবনার চাটমোহরে সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ১৪ দিন আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাটমোহর থানায় মামলা করতে চাইলে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। প্রেমিক মো: নাঈম হোসেন (২৫) পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মহেশখালী গ্রামের মৃত তসলিম হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভোর ৪ টার দিকে চাটমোহর থানাধীন হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগের নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩) কে তুলে নিয়ে নাটোরে যায়। পরের দিন ৬ আগস্ট রাত্রে নৌকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ছাত্রীকে নাটোর জেলার কোন এক ক্লাবে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় লম্পট প্রেমিক। এসময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হইলে জৈনক ক্লাবের মেয়েরা তাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে দেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর ওই ছাত্রীর স্মৃতিশক্তি লোভ পেয়ে যায়। এরপর প্রতিদিন রাতে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয়। এ বিষয়ে ১৭ই আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা চাটমোহর থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং- ১৫৮১। ২২ আগস্ট র‍্যাব -১২ সিরাজগঞ্জ রাত ১০ টার দিকে কড্ডার মোড় থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ২৪ আগস্ট মেয়ে সহ মেয়ের বাবা চাটমোহর থানায় মামলা করতে আসলে চাটমোহর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার মামলা না নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে তাড়াশ থানায় অথবা নাটোর থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী পরিবার উপায় না পেয়ে ওসি মনজুরুল আলমের সাথে দেখা করতে চাইলে তদন্ত ওসি থানা থেকে তাদের বের করে দেন। ভুক্তভোগী পরিবার তাড়াশ থানায় ও নাটোর থানাতে ঘুড়ে আইনের সহায়তা না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

এ বিষয়ে চাটমোর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার বলেন, মেয়েটাকে চাটমোহর থানার এরিয়া থেকে নিয়ে গেলেও ধর্ষণ হয়েছে তাড়াশ ও নাটোর থানার মধ্যে তাই তাদেরকে ওই থানায় যাবার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল চাটমোহর) আরজুমা আকতার বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয় তবে ওই ছাত্রী থানায় এসেছে তাদের সাথে কথা বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট