ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হ’ত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রে’ফ’তা’র Logo আশুলিয়ার বাইপাইলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাঁজাসহ ক্রেতা বিক্রেতা ৪ জন আটক! Logo নাসিরনগরে খাবারে বিষ মিশিয়ে ৩৫০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ Logo পিকেএসএফ ভবন-২ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা, সরকারের নিন্দা Logo প্রশাসনে সমন্বয়হীনতায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা রাজনৈতিক আনুগত্যের ছায়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ-ক্ষোভ আওয়ামী-জামায়াত বিরোধীরা কোণঠাসা Logo আসুন আমরা হরিণ শিকারী এবং হরিণের মাংস ভক্ষক সকলকে একসাথে বয়কট করি Logo জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহার Logo সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া বাজারে সরকারি জায়গায় ইউঃ পরিষদের মাধ্যমে তৈরি করা পাকা টলসেট দখল করে দোকান ঘর বানাচ্ছে মর্মে স্থানীয় জনসাধারণ এর মাধ্যমে অভিযোগ Logo পিরোজপুর (৩) মঠবাড়ীয়া জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কলিমউল্লাহ কট! এবার সাগরেদদের কি হবে?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩৩ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি দুদকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারাগারে হাসিনার একনিষ্ঠ চামচা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। নাটের গুরু কলিমুল্লাহর দুর্নীতির ফিরিস্তি তো আগেই তুলে ধরা হয়েছে ইনকিলাব এর পাঠকদের জন্য। এবার এই দুর্নীতিবাজ হাসিনার দালালের শিষ্য বা সাগরেদদের অবস্থান যেনো তুলে না ধরলেই নয়। কলিমউল্লাহ কট খেলেও তার সাগরেদরা এখনো বহাল তবিয়তে দিব্যি তাদের সরকার বিরোধী প্রচারণা আর আওয়ামী পুনর্বসনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর সীমাহীন দুর্নীতিবাজ অর্থলোপাটকারী দেশদ্রোহী কলিমউল্লাহকে বারবার জাতির সামনে ভালো বানিয়ে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করতে নিজেদের চ্যানেলে টকশোতে আমন্ত্রণ জানাতো কিছু ব্যক্তি। যার মধ্যে অন্যতম দুজন সাংবাদিক। অবশ্য তারা নিজেরাই তো সবসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ব্যস্ত। নিজেরা প্রতিনিয়ত সরকারকে হেয় করা সব কন্টেন্ট বানায় নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে। এর পাশাপাশি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গুনগান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার হয়ে গলা ফাটাতেও দেখা যায় তাদের।

ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে বারবার হেয় করার চেষ্টায় থাকা এই সাংবাদিকদ্বয় খুব সুক্ষ মস্তিস্কে বুদ্ধি পাকিয়ে সব সময় তাদের আলোচনায় ডাকতো নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদের বিরোধীদের। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির ভিলেন আর দেশদ্রোহী এক উগ্রকে নিয়মিত নিজেদের টকশোর সহযাত্রী বানাতেন তারা। যদিও সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই দুই সাংবাদিক ড. ইউনূসের সরকারকে নিয়ে বারবার মিথ্যাচার করলেও তাদের কখনো গ্রেফতার করা হয়নি কিংবা জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়ও আনা হয়নি।

কলিমউল্লাহর মত একজন দেশদ্রোহী যে কি না হাসিনা আমলের দশ ট্রাক ভর্তি অস্ত্র ভারতে চলে যাওয়ার এক কল্পকাহিনী আবিষ্কার করেন যার কোন ভিত্তি আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ভারতীয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীকে বাংলাদেশ দ্বারা মদদ দেয়া হচ্ছে এমন গুরুতর মিথ্যা অভিযোগও তিনি করে বসেন। সে সময় এ নিয়ে বিতর্ক হলেও হাসিনার একনিষ্ঠ দালাল হওয়ার কারণে তাকে কেউ ছোঁয়ার সাহস পায়নি তখন।

শুধু কি এতটুকুই? এই দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড ছাড়াও ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও নানা দেশদ্রোহী বক্তব্য দিয়েছেন কলিমউল্লাহ। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, চট্রগ্রাম, ভারতকে দিয়ে দিচ্ছে এই সরকার। আবার কখনো তার কথা সেন্টমার্টিনও চলে যেতে পারে আমেরিকার কবজায়। এমন উদ্ভট বানোয়াট সব তথ্য ছড়ানো ব্যক্তিকে নিজেদের টকেশোতে ডেকে আরও বেশি করে দেশদ্রোহী আচরণের সুযোগ দিয়েছেন এই সাংবাদিকদ্বয়।

এই সাংবাদিকদের একজনকে আবার প্রতিনিয়ত দেখা যায় বিভিন্ন টকশোতে এসে কর্কশ ভাষায় কথা বলতে আর বর্তমান সরকারের নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে। এর আগে একটি টেলিভিশন টকশোতে এনসিপি নেতা ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হান্নান মাসউদকে এই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা কারা? এই উত্তরে সেসময় হান্নান মাসউদ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছিলেন তার। সেই সাংবাদিক যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের নামে প্রমাণ ছাড়াই প্রোপাগান্ডা ছড়ায় আর সমালোচনা করে, বিশ্বের অন্য কোন দেশ হলে এতক্ষণে তার থাকতে হতো কারাগারে। মিনিমাম জিজ্ঞাসাবাদের পর্যায়ে পড়তেন তিনি। বর্তমান সরকার এই বিষয়ে বেশ ধৈর্যশীলতা দেখিয়েছে এটি বলাই যায়।

আর অপরজন মূলত এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। ড. ইউনূসের সমালোচনা করা তো তার সহজাত প্রবৃত্তি হওয়ারই কথা। যেখানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার চক্ষুশূল আমাদের প্রফেসর। যেখানে এ আবার কোন ক্ষেতের মুলো। ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী বলে কথা। তার মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডার ধরণ এতটাই ভয়াবহ যে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পুরস্কারের বিষয়েও বাজে মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। অধ্যাপক ইউনূসের লন্ডন ভিজিটের সময় বিখ্যাত হারমনি অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। যেটিতে নাম থাকা না থাকা নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে দেখা যায় এই সাংবাদিককে। বর্তমানে কোন টেলিভিশন, পত্রিকা এমনকি অনলাইন নিউজ পোর্টালেও তার কর্মের সুযোগ হয়নি। তার মিথ্যাচারে বর্তমানে চাকুরি হারা হলেও দিব্যি আওয়ামী লীগ আর ফ্যাসিস্ট হাসিনার গুনগান গেয়ে যাচ্ছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।

সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা ভুল ধরিয়ে দেওয়া যদি নাগরিক দায়িত্ব হয়ে থাকে তবে সেটিই করা উচিৎ। কিন্তু বিশ্বের বুকে যার এত এত সুনাম যার পুরস্কার আর অ্যাওয়ার্ড গুনেও শেষ করা যায় না সেই ড. মোহাম্মদ ইউনূস আর তার সরকারের নামে কেন এত এত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা? এ কোন উদ্দেশ্যে? এগুলো জানতে অবশ্যই কলিমউল্লাহর সাগরেদদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা উচিৎ।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হ’ত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রে’ফ’তা’র

কলিমউল্লাহ কট! এবার সাগরেদদের কি হবে?

আপডেট সময় ০৬:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

সম্প্রতি দুদকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারাগারে হাসিনার একনিষ্ঠ চামচা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। নাটের গুরু কলিমুল্লাহর দুর্নীতির ফিরিস্তি তো আগেই তুলে ধরা হয়েছে ইনকিলাব এর পাঠকদের জন্য। এবার এই দুর্নীতিবাজ হাসিনার দালালের শিষ্য বা সাগরেদদের অবস্থান যেনো তুলে না ধরলেই নয়। কলিমউল্লাহ কট খেলেও তার সাগরেদরা এখনো বহাল তবিয়তে দিব্যি তাদের সরকার বিরোধী প্রচারণা আর আওয়ামী পুনর্বসনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর সীমাহীন দুর্নীতিবাজ অর্থলোপাটকারী দেশদ্রোহী কলিমউল্লাহকে বারবার জাতির সামনে ভালো বানিয়ে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করতে নিজেদের চ্যানেলে টকশোতে আমন্ত্রণ জানাতো কিছু ব্যক্তি। যার মধ্যে অন্যতম দুজন সাংবাদিক। অবশ্য তারা নিজেরাই তো সবসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ব্যস্ত। নিজেরা প্রতিনিয়ত সরকারকে হেয় করা সব কন্টেন্ট বানায় নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে। এর পাশাপাশি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গুনগান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার হয়ে গলা ফাটাতেও দেখা যায় তাদের।

ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে বারবার হেয় করার চেষ্টায় থাকা এই সাংবাদিকদ্বয় খুব সুক্ষ মস্তিস্কে বুদ্ধি পাকিয়ে সব সময় তাদের আলোচনায় ডাকতো নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদের বিরোধীদের। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির ভিলেন আর দেশদ্রোহী এক উগ্রকে নিয়মিত নিজেদের টকশোর সহযাত্রী বানাতেন তারা। যদিও সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই দুই সাংবাদিক ড. ইউনূসের সরকারকে নিয়ে বারবার মিথ্যাচার করলেও তাদের কখনো গ্রেফতার করা হয়নি কিংবা জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়ও আনা হয়নি।

কলিমউল্লাহর মত একজন দেশদ্রোহী যে কি না হাসিনা আমলের দশ ট্রাক ভর্তি অস্ত্র ভারতে চলে যাওয়ার এক কল্পকাহিনী আবিষ্কার করেন যার কোন ভিত্তি আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ভারতীয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীকে বাংলাদেশ দ্বারা মদদ দেয়া হচ্ছে এমন গুরুতর মিথ্যা অভিযোগও তিনি করে বসেন। সে সময় এ নিয়ে বিতর্ক হলেও হাসিনার একনিষ্ঠ দালাল হওয়ার কারণে তাকে কেউ ছোঁয়ার সাহস পায়নি তখন।

শুধু কি এতটুকুই? এই দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড ছাড়াও ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও নানা দেশদ্রোহী বক্তব্য দিয়েছেন কলিমউল্লাহ। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, চট্রগ্রাম, ভারতকে দিয়ে দিচ্ছে এই সরকার। আবার কখনো তার কথা সেন্টমার্টিনও চলে যেতে পারে আমেরিকার কবজায়। এমন উদ্ভট বানোয়াট সব তথ্য ছড়ানো ব্যক্তিকে নিজেদের টকেশোতে ডেকে আরও বেশি করে দেশদ্রোহী আচরণের সুযোগ দিয়েছেন এই সাংবাদিকদ্বয়।

এই সাংবাদিকদের একজনকে আবার প্রতিনিয়ত দেখা যায় বিভিন্ন টকশোতে এসে কর্কশ ভাষায় কথা বলতে আর বর্তমান সরকারের নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে। এর আগে একটি টেলিভিশন টকশোতে এনসিপি নেতা ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হান্নান মাসউদকে এই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা কারা? এই উত্তরে সেসময় হান্নান মাসউদ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছিলেন তার। সেই সাংবাদিক যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের নামে প্রমাণ ছাড়াই প্রোপাগান্ডা ছড়ায় আর সমালোচনা করে, বিশ্বের অন্য কোন দেশ হলে এতক্ষণে তার থাকতে হতো কারাগারে। মিনিমাম জিজ্ঞাসাবাদের পর্যায়ে পড়তেন তিনি। বর্তমান সরকার এই বিষয়ে বেশ ধৈর্যশীলতা দেখিয়েছে এটি বলাই যায়।

আর অপরজন মূলত এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। ড. ইউনূসের সমালোচনা করা তো তার সহজাত প্রবৃত্তি হওয়ারই কথা। যেখানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার চক্ষুশূল আমাদের প্রফেসর। যেখানে এ আবার কোন ক্ষেতের মুলো। ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী বলে কথা। তার মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডার ধরণ এতটাই ভয়াবহ যে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পুরস্কারের বিষয়েও বাজে মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। অধ্যাপক ইউনূসের লন্ডন ভিজিটের সময় বিখ্যাত হারমনি অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। যেটিতে নাম থাকা না থাকা নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে দেখা যায় এই সাংবাদিককে। বর্তমানে কোন টেলিভিশন, পত্রিকা এমনকি অনলাইন নিউজ পোর্টালেও তার কর্মের সুযোগ হয়নি। তার মিথ্যাচারে বর্তমানে চাকুরি হারা হলেও দিব্যি আওয়ামী লীগ আর ফ্যাসিস্ট হাসিনার গুনগান গেয়ে যাচ্ছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।

সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা ভুল ধরিয়ে দেওয়া যদি নাগরিক দায়িত্ব হয়ে থাকে তবে সেটিই করা উচিৎ। কিন্তু বিশ্বের বুকে যার এত এত সুনাম যার পুরস্কার আর অ্যাওয়ার্ড গুনেও শেষ করা যায় না সেই ড. মোহাম্মদ ইউনূস আর তার সরকারের নামে কেন এত এত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা? এ কোন উদ্দেশ্যে? এগুলো জানতে অবশ্যই কলিমউল্লাহর সাগরেদদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা উচিৎ।


প্রিন্ট