ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য চাকুরী হইতে বহিষ্কার Logo আদালতে দেওয়া মতিউরের তথ্য যাচাই করছে গোয়েন্দারা Logo ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২ Logo মাইলস্টোন কলেজ — ৩য় পর্ব) মাইলস্টোন ট্রাজেডির পর গবেষণার মাধ্যমে থেরাপির নতুন দিগন্ত উন্মোচন Logo এক সময় ভাত খুঁজতো ক্যান্টিনে, এখন হাঁস খোঁজে ওয়েস্টিনে: পার্থ Logo রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের লাশ উদ্ধার Logo কোস্ট গার্ডের অভিযানে সাড়ে ১৩ কেজি হরিণের মাংসসহ ৮ হরিণ শিকারী আটক Logo নাসিরনগরে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo ঠাকুরগাঁওয়ে নিষেধাজ্ঞার পরও ডায়গনস্টিক সেন্টারের দৌরাত্ম // মব তৈরী করে চিকিৎসকদের হয়রানির অভিযোগ Logo বন্দরে নীল পোশাকে আঘাত — পাল্টা অভিযানে ধরা পড়লো আরও ৬

মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ, চাপ কমবে চট্টগ্রামে: এনবিআর চেয়ারম্যান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • ৩৬ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

ওমর ফারুক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, “গত তিন মাস আমরা বাজেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এখন মাঠপর্যায়ের বাস্তব চিত্র দেখতে চাই। মোংলা বন্দরের অবকাঠামো, সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা বোঝার পাশাপাশি এখানে কার্যক্রম কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটিই আমাদের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।”

মঙ্গলবার (২২ জুলাই ২০২৫) সকালে মোংলা কাস্টমস হাউসের সুন্দরবন সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজস্ব বিষয়ক বৈঠক করেন এবং মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন। পরে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “মোংলা কাস্টমস হাউসের অপারেশনাল সক্ষমতাকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে চাই। ব্যবসায়ীরা যেন এই সুযোগ নেন। চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারের তুলনায় মোংলা বন্দরের ব্যবহার অনেক কম। অথচ মোংলার ব্যবহার বাড়ালে চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমবে, পোর্ট ডেমারেজ ও খরচ কমবে, এতে জনগণও উপকৃত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা মোংলা বন্দর ব্যবহার করেন, তাদের সমস্যাগুলো শুনেছি। সেগুলোর সমাধানে কাজ করা হবে। পাশাপাশি কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা কেমন, তাও পর্যালোচনা করছি। গাড়ি আমদানিকারকদের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে, আরও হবে। যাতে সহজে সার্ভিস পান ও মোংলা বন্দর বেশি ব্যবহার করেন।”

সফরে এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন— এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, একান্ত সচিব আতাউল গনি ওসমানী এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।

এ সময় মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান বলেন, “মোংলা কাস্টমস হাউসের সরকারি অফিস ও আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানানো হয়েছে। লজিস্টিক সুবিধা বাড়ানো এবং বিদ্যমান সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “মোংলা বন্দরে দ্রুত মালামাল খালাস হয় এবং চট্টগ্রামের তুলনায় পোর্ট ডেমারেজ কম। তাই ব্যবসায়ীদের এসব সুবিধার কথা জানানো হচ্ছে। এনবিআরের পক্ষ থেকে আমদানিকৃত সব গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বন্দর, কাস্টমস এবং ব্যবসায়ীদের সমস্যা সরেজমিনে দেখেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।”

এ সময় খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার, খুলনার কর কমিশনার ও কর অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য চাকুরী হইতে বহিষ্কার

মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ, চাপ কমবে চট্টগ্রামে: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৭:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ওমর ফারুক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, “গত তিন মাস আমরা বাজেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এখন মাঠপর্যায়ের বাস্তব চিত্র দেখতে চাই। মোংলা বন্দরের অবকাঠামো, সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা বোঝার পাশাপাশি এখানে কার্যক্রম কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটিই আমাদের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।”

মঙ্গলবার (২২ জুলাই ২০২৫) সকালে মোংলা কাস্টমস হাউসের সুন্দরবন সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজস্ব বিষয়ক বৈঠক করেন এবং মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন। পরে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “মোংলা কাস্টমস হাউসের অপারেশনাল সক্ষমতাকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে চাই। ব্যবসায়ীরা যেন এই সুযোগ নেন। চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারের তুলনায় মোংলা বন্দরের ব্যবহার অনেক কম। অথচ মোংলার ব্যবহার বাড়ালে চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমবে, পোর্ট ডেমারেজ ও খরচ কমবে, এতে জনগণও উপকৃত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা মোংলা বন্দর ব্যবহার করেন, তাদের সমস্যাগুলো শুনেছি। সেগুলোর সমাধানে কাজ করা হবে। পাশাপাশি কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা কেমন, তাও পর্যালোচনা করছি। গাড়ি আমদানিকারকদের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে, আরও হবে। যাতে সহজে সার্ভিস পান ও মোংলা বন্দর বেশি ব্যবহার করেন।”

সফরে এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন— এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, একান্ত সচিব আতাউল গনি ওসমানী এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।

এ সময় মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান বলেন, “মোংলা কাস্টমস হাউসের সরকারি অফিস ও আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানানো হয়েছে। লজিস্টিক সুবিধা বাড়ানো এবং বিদ্যমান সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “মোংলা বন্দরে দ্রুত মালামাল খালাস হয় এবং চট্টগ্রামের তুলনায় পোর্ট ডেমারেজ কম। তাই ব্যবসায়ীদের এসব সুবিধার কথা জানানো হচ্ছে। এনবিআরের পক্ষ থেকে আমদানিকৃত সব গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বন্দর, কাস্টমস এবং ব্যবসায়ীদের সমস্যা সরেজমিনে দেখেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।”

এ সময় খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার, খুলনার কর কমিশনার ও কর অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট