ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

পুলিশকে পিটিয়ে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল স্বজনরা, আহত ৪

বগুড়ার শেরপুরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ ও এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ সদস্যরা। সিরাজুলের স্বজনদের অতর্কিত হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

সোমাবর (২১ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শেরপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এস আই সরাফত, কনস্টেবল নুরনবী, সিরাজুল ইসলাম ও আইনুল ইসলাম। আহতরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়। এতে শেরুয়া দহপাড়ার সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ১০৭ নম্বর আসামি করা হয়। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে সিরাজুলকে গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় আনার পথে তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটন ও ভাতিজাসহ পরিবারের প্রায় ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ আকস্মিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ধস্তাধস্তির মাধ্যমে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটককে গ্রেপ্তার করে।

এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসামিকে নিয়ে আসার সময় তার ২ ছেলে, ভাতিজারা, পরিবারের সদস্য ও ২০/২৫ জন মহিলা হঠাৎ করেই পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশকে মারপিট করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, পুলিশ নাশকতা মামলার ইজাহার নামীয় আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে মারপিট করে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অক্টোবর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়। তখনও একই কায়দায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

পুলিশকে পিটিয়ে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল স্বজনরা, আহত ৪

আপডেট সময় ০১:১৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ ও এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ সদস্যরা। সিরাজুলের স্বজনদের অতর্কিত হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

সোমাবর (২১ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শেরপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এস আই সরাফত, কনস্টেবল নুরনবী, সিরাজুল ইসলাম ও আইনুল ইসলাম। আহতরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়। এতে শেরুয়া দহপাড়ার সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ১০৭ নম্বর আসামি করা হয়। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে সিরাজুলকে গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় আনার পথে তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটন ও ভাতিজাসহ পরিবারের প্রায় ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ আকস্মিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ধস্তাধস্তির মাধ্যমে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটককে গ্রেপ্তার করে।

এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসামিকে নিয়ে আসার সময় তার ২ ছেলে, ভাতিজারা, পরিবারের সদস্য ও ২০/২৫ জন মহিলা হঠাৎ করেই পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশকে মারপিট করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, পুলিশ নাশকতা মামলার ইজাহার নামীয় আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে মারপিট করে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অক্টোবর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়। তখনও একই কায়দায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট