ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আশুলিয়ায় যানজট, মাদক ও সন্ত্রাস নিরসনে সুশীল সমাজের আলোচনা সভা Logo মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন Logo চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু Logo ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো হামাস Logo ভালবাসার বন্ধনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপহরণ মামলা ছেলের বাবা কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন Logo কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ Logo ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন Logo আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-আল্লামা মামুনুল হক। Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার

যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান আলোচনার মধ্যেই বর্বর ইসরাইলি হামলায় তারা নিহত হন। খবর আল জাজিরার।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে এবং রাফাহতে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জন একসঙ্গে নিহত হন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে, শিশুখাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। এদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৪ জন নারী। এ হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ যখন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য নিতে যাচ্ছে, তখন তাদের হত্যা করা একেবারেই অমানবিক।’

আরও পড়ুন

গাজায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারাল ১০ শিশু
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান ইউরোপীয় মুসলিম নেতাদের
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মাসের পর মাস যথেষ্ট সাহায্য না পৌঁছানোর ফলে এখন শিশুরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ’

এছাড়া রাসেল ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান এবং এই হামলার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান।

এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘গাজায় গণহত্যার ধারাবাহিক অংশ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ‘ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে স্কুল, রাস্তাঘাট, শরণার্থী শিবির ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এটি একটি পরিকল্পিত জাতিগত নিধনের অংশ, যা বিশ্বের চোখের সামনে ঘটছে। ’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ায় যানজট, মাদক ও সন্ত্রাস নিরসনে সুশীল সমাজের আলোচনা সভা

যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

আপডেট সময় ১২:১৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান আলোচনার মধ্যেই বর্বর ইসরাইলি হামলায় তারা নিহত হন। খবর আল জাজিরার।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে এবং রাফাহতে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জন একসঙ্গে নিহত হন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে, শিশুখাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। এদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৪ জন নারী। এ হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ যখন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য নিতে যাচ্ছে, তখন তাদের হত্যা করা একেবারেই অমানবিক।’

আরও পড়ুন

গাজায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারাল ১০ শিশু
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান ইউরোপীয় মুসলিম নেতাদের
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মাসের পর মাস যথেষ্ট সাহায্য না পৌঁছানোর ফলে এখন শিশুরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ’

এছাড়া রাসেল ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান এবং এই হামলার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান।

এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘গাজায় গণহত্যার ধারাবাহিক অংশ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ‘ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে স্কুল, রাস্তাঘাট, শরণার্থী শিবির ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এটি একটি পরিকল্পিত জাতিগত নিধনের অংশ, যা বিশ্বের চোখের সামনে ঘটছে। ’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।


প্রিন্ট