ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মহম্মদপুরের বিএনপির কর্মীসভা Logo মঠবাড়ীয়ায় এ আর মামুন খাঁনের উদ্যোগে ফগার মেশিন দিয়ে ডেঙ্গু মশা নিধন কর্মসূচি Logo মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ব্যবসার আড়ালে ডিজিটাল প্রতারণা, গোয়েন্দার জালে শরীফুল আটক Logo কোনাবাড়ীতে নকল সিগারেট জব্দ,আটক ১ Logo কুয়ালালামপুরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বৈঠকটি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে Logo আজ আমার, কাল তোমার, এটাই পৃথিবীর নিয়ম,খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে গু’লি করে হ’ত্যা করেছে দু’র্বৃ’ত্তরা Logo মঠবাড়ীয়া থানার ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo কানাডায় কপিল শর্মার ‘ক্যাপ্‌স ক্যাফেতে’ গুলিবর্ষণ Logo বেড়েছে সবজির দাম, মরিচের কেজি ৩০০ Logo মব ভায়োলেন্স’ থামানো যাচ্ছে না কেন

যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান আলোচনার মধ্যেই বর্বর ইসরাইলি হামলায় তারা নিহত হন। খবর আল জাজিরার।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে এবং রাফাহতে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জন একসঙ্গে নিহত হন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে, শিশুখাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। এদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৪ জন নারী। এ হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ যখন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য নিতে যাচ্ছে, তখন তাদের হত্যা করা একেবারেই অমানবিক।’

আরও পড়ুন

গাজায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারাল ১০ শিশু
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান ইউরোপীয় মুসলিম নেতাদের
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মাসের পর মাস যথেষ্ট সাহায্য না পৌঁছানোর ফলে এখন শিশুরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ’

এছাড়া রাসেল ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান এবং এই হামলার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান।

এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘গাজায় গণহত্যার ধারাবাহিক অংশ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ‘ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে স্কুল, রাস্তাঘাট, শরণার্থী শিবির ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এটি একটি পরিকল্পিত জাতিগত নিধনের অংশ, যা বিশ্বের চোখের সামনে ঘটছে। ’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহম্মদপুরের বিএনপির কর্মীসভা

যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

আপডেট সময় ১২:১৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান আলোচনার মধ্যেই বর্বর ইসরাইলি হামলায় তারা নিহত হন। খবর আল জাজিরার।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে এবং রাফাহতে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জন একসঙ্গে নিহত হন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে, শিশুখাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। এদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৪ জন নারী। এ হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ যখন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য নিতে যাচ্ছে, তখন তাদের হত্যা করা একেবারেই অমানবিক।’

আরও পড়ুন

গাজায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারাল ১০ শিশু
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান ইউরোপীয় মুসলিম নেতাদের
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মাসের পর মাস যথেষ্ট সাহায্য না পৌঁছানোর ফলে এখন শিশুরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ’

এছাড়া রাসেল ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান এবং এই হামলার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান।

এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘গাজায় গণহত্যার ধারাবাহিক অংশ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ‘ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে স্কুল, রাস্তাঘাট, শরণার্থী শিবির ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এটি একটি পরিকল্পিত জাতিগত নিধনের অংশ, যা বিশ্বের চোখের সামনে ঘটছে। ’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।


প্রিন্ট