ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফুলবাড়ীতে বিজিবির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo ৪ ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ বাতিল Logo রিকশায় চড়ে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনয়ন দাখিল করলেন মির্জা ফখরুল Logo ফের শাহবাগ অবরোধ ইনকিলাব মঞ্চের Logo বাঞ্ছারামপুরে শেষ মুহূর্তে নাটকীয় পরিবর্তন: জামায়েতের মনোনয়ন পেলেন মহসিন Logo বিএনপি ছেড়ে জামায়াত জোটে যাওয়ার কারণ জানালেন কর্নেল অলি Logo মাগুরা-২ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo একদিনের ব্যবধানে আবারো বাড়লো স্বর্ণের দাম Logo সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বৃহত্তর ঐক্যের জায়গা থেকে জামায়াতের সঙ্গে জোট Logo গণমানুষের আস্থা ও ভরসার বাতিঘর জননেতা জোনায়েদ সাকি

দূর্নীতির মহারাজা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর পানি উন্নয়ন বোর্ডে বহাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৭:২৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৬ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

★ মুহুরী সেচ প্রকল্পের সাবষ্টেশন করতে খরচ সর্বোচ্চ ২৮ থেকে ৩০ কোটি টাকার মতো। তিনি খরচ বাড়িয়ে ৪৪ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া নিজ স্বার্থে উক্ত সাবষ্টেশনের কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ রাফিউস সাজ্জাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি মুহুরী সেচ প্রকল্পের পিডি থাকাকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী পন্থী ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছেন। এসব ব্যাপারে ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন উজ্জ্বল মুখ খুললে তার উপর লেলিয়ে দেন গুন্ডাবাহিনী। শেষ পর্যন্ত মহাপরিচালক বরাবর ঠিকাদার উজ্জ্বল সাজ্জাদের বিচার চেয়ে অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেন, আমি শাহাদাৎ হোসেন উজ্জ্বল, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইরা কনস্ট্রাকশন। গত আনুমানিক ৬ বছর আগে আপনার প্রতিষ্ঠানের মুহুরী সেচ প্রকল্পের ৪৪ কোটি টাকার সাবষ্টেশন এর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বিধি মোতাবেক উক্ত দরপত্রে আমার প্রতিষ্ঠান ইরা কনস্ট্রাকশন অংশ গ্রহণ করিয়া সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পায়। কিন্তু ততকালীন বিদায়ী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগের দোসর মুহুরী সেচ প্রকল্পের পরিচালক রাফিউস সাজ্জাদ
আমার কাজটি বাতিল করে পুনরায় আবারও দরপত্র আহবান করে সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে তাঁর পছন্দের আওয়ামী পন্থী ঠিকাদার এনার্জি প্যাককে কাজটি পাইয়ে দিয়েছিলেন। বিনিময়ে তিনি এনার্জি প্যাক থেকে নিকো মানি হিসেবে ৩% টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেন যার স্বাক্ষী প্রমাণ আমার কাছে রহিয়াছে। এছাড়া একই প্রকল্পের ২৩২ কোটি টাকার পাইপ লাইনের কাজ জার্মানির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান PEEFE কে ২% নিকো মানি হিসেবে ঘুষ নিয়ে কাজটি পাইয়ে দিয়েছিলেন যাহার স্বাক্ষ্য প্রমাণও আমার কাছে রহিয়াছে। এছাড়া মুহুরী সেচ প্রকল্পের এ ধরণের সাবষ্টেশন করতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ২৮ থেকে ৩০ কোটি টাকার মতো। কিন্তু তিনি প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে ৪৪ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি নিজ স্বার্থে উক্ত সাবষ্টেশনের কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দেন যাহা পুকুর চুরির শামিল। তিনি এভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তাঁহার চাকুরী জীবনের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুহুরী সেচ প্রকল্পসহ প্রতিটি জায়গায় চাকুরীকালীন সময়ে অনিয়ম, দূর্ণীতির ও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে শত কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি, জমি-জমা ও সম্পদ করেছেন। স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের নামে করেছেন কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। এছাড়া তাঁহার নিজ বাড়ি কুমিল্লাতেও রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
এই সব বিষয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে বিএনপি পন্থী ঠিকাদার বলে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী-যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। দুঃখের বিষয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা রাফিউস সাজ্জাদ বর্তমানে রং বদল করে এখনও তাহার অপকর্ম আগের মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে অভিযোগটি আপনার দপ্তরে জমা দেয়ার পর রাফিউস সাজ্জাদ তার গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমার লিখিত অভিযোগটি জোরপূর্বক প্রত্যাহার পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে তাহা প্রত্যাহার করিতে বাধ্য করে। এছাড়া সাদা কাগজে আরও একটি স্বাক্ষর ও আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে বাধ্য করে। বিষয়টিতে আমি ভয় পেয়ে যাই ও বেশ কয়েকমাস চুপচাপ থাকি। তবে আমার আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলে সাজ্জাদের মতো আওয়ামী দোসর ও দেশের অর্থ লুটপাটকারীদের বিচারের মুখোমুখি করিতে আবারও অভিযোগটি দাখিল করিলাম। অভিযোগের ব্যাপারে রাফিউস সাজ্জাদের ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন না ধরায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি পরিচয় দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ীতে বিজিবির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

দূর্নীতির মহারাজা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর পানি উন্নয়ন বোর্ডে বহাল

আপডেট সময় ০৭:২৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

★ মুহুরী সেচ প্রকল্পের সাবষ্টেশন করতে খরচ সর্বোচ্চ ২৮ থেকে ৩০ কোটি টাকার মতো। তিনি খরচ বাড়িয়ে ৪৪ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া নিজ স্বার্থে উক্ত সাবষ্টেশনের কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ রাফিউস সাজ্জাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি মুহুরী সেচ প্রকল্পের পিডি থাকাকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী পন্থী ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছেন। এসব ব্যাপারে ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন উজ্জ্বল মুখ খুললে তার উপর লেলিয়ে দেন গুন্ডাবাহিনী। শেষ পর্যন্ত মহাপরিচালক বরাবর ঠিকাদার উজ্জ্বল সাজ্জাদের বিচার চেয়ে অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেন, আমি শাহাদাৎ হোসেন উজ্জ্বল, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইরা কনস্ট্রাকশন। গত আনুমানিক ৬ বছর আগে আপনার প্রতিষ্ঠানের মুহুরী সেচ প্রকল্পের ৪৪ কোটি টাকার সাবষ্টেশন এর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বিধি মোতাবেক উক্ত দরপত্রে আমার প্রতিষ্ঠান ইরা কনস্ট্রাকশন অংশ গ্রহণ করিয়া সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পায়। কিন্তু ততকালীন বিদায়ী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগের দোসর মুহুরী সেচ প্রকল্পের পরিচালক রাফিউস সাজ্জাদ
আমার কাজটি বাতিল করে পুনরায় আবারও দরপত্র আহবান করে সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে তাঁর পছন্দের আওয়ামী পন্থী ঠিকাদার এনার্জি প্যাককে কাজটি পাইয়ে দিয়েছিলেন। বিনিময়ে তিনি এনার্জি প্যাক থেকে নিকো মানি হিসেবে ৩% টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেন যার স্বাক্ষী প্রমাণ আমার কাছে রহিয়াছে। এছাড়া একই প্রকল্পের ২৩২ কোটি টাকার পাইপ লাইনের কাজ জার্মানির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান PEEFE কে ২% নিকো মানি হিসেবে ঘুষ নিয়ে কাজটি পাইয়ে দিয়েছিলেন যাহার স্বাক্ষ্য প্রমাণও আমার কাছে রহিয়াছে। এছাড়া মুহুরী সেচ প্রকল্পের এ ধরণের সাবষ্টেশন করতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ২৮ থেকে ৩০ কোটি টাকার মতো। কিন্তু তিনি প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে ৪৪ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি নিজ স্বার্থে উক্ত সাবষ্টেশনের কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দেন যাহা পুকুর চুরির শামিল। তিনি এভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তাঁহার চাকুরী জীবনের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুহুরী সেচ প্রকল্পসহ প্রতিটি জায়গায় চাকুরীকালীন সময়ে অনিয়ম, দূর্ণীতির ও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে শত কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি, জমি-জমা ও সম্পদ করেছেন। স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের নামে করেছেন কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। এছাড়া তাঁহার নিজ বাড়ি কুমিল্লাতেও রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
এই সব বিষয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে বিএনপি পন্থী ঠিকাদার বলে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী-যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। দুঃখের বিষয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা রাফিউস সাজ্জাদ বর্তমানে রং বদল করে এখনও তাহার অপকর্ম আগের মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে অভিযোগটি আপনার দপ্তরে জমা দেয়ার পর রাফিউস সাজ্জাদ তার গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমার লিখিত অভিযোগটি জোরপূর্বক প্রত্যাহার পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে তাহা প্রত্যাহার করিতে বাধ্য করে। এছাড়া সাদা কাগজে আরও একটি স্বাক্ষর ও আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে বাধ্য করে। বিষয়টিতে আমি ভয় পেয়ে যাই ও বেশ কয়েকমাস চুপচাপ থাকি। তবে আমার আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলে সাজ্জাদের মতো আওয়ামী দোসর ও দেশের অর্থ লুটপাটকারীদের বিচারের মুখোমুখি করিতে আবারও অভিযোগটি দাখিল করিলাম। অভিযোগের ব্যাপারে রাফিউস সাজ্জাদের ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন না ধরায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি পরিচয় দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।


প্রিন্ট