নির্বাচনি প্রচারণায় হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: যুগান্তর
আমাকে বাঁচাতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধীরা ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়াবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বারুর গ্রামে নির্বাচনি পদযাত্রাকালে উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেবিদ্বারে জামায়াত বিএনপির যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতি করেছেন, ১৬ থেকে ১৭ বছর বাসায় ঘুমাইতে পারেন নাই। মামলা খেয়েছেন, জেলে গিয়েছেন ওই পরিবারগুলো আমার পাশে থাকবে, আমাকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, আমাদের যে হুমকি ধমকি দিতেছে- আমাদের বাঁচানোর জন্য দেবিদ্বারের নারীরাই যথেষ্ট, তারপরে আসবে আমাকে যারা পছন্দ করেন, তারপর আসবে আমার বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা হুমকি-ধমকির রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। মনে রাখবেন যারা ভয় দেখায় তাদের গদি লইরা যাইতেছে। মানুষ তখনই ভয় দেখায়, যখন নিজে ভয় পায়, ভয় না পাইলে ভয় দেখায় না। ভয় দেখিয়ে বুলেট দিয়ে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না, ভয় দেখিয়ে সংসারও হয় না। ভালোবাসা পেতে হলে ভালোবাসা দিতে হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাকে মেরে ফেলবে বলতেছে না? আমাকে বলছে, ঢাকায় থাকতে, সিকিউরিটি নিয়ে থাকতে, কিন্তু আমি কোথায় আসছি গ্রামের বাড়িতে। মরিও যদি আমার মা-চাচিদের সঙ্গে থাকব। আমি বিশ্বাস করি, আমার চাচি জ্যাঠিরা সঙ্গে থাকলে কেউ মারতে পারবে না। আমি যদি আপনাদের বাড়িতে থাকি তাহলে কেউ মারতে পারবে? আপনারা দা কুড়াল নিয়ে বের হবেন না?
তিনি বলেন, আমরা জীবন দিতে রাজি (গ্রামের সাধারণ মানুষ)। আসল কথা হচ্ছে, আমরা তো ঢাকায় গেলে পারতাম। আমাদের ভয় দেখানো হইছে, আমরা যেন ঢাকা থেকে না বের হই।
নির্বাচনি পদযাত্রায় হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন দেবিদ্বার উপজেলা এনসিপির সদস্য সাইফুল ইসলাম শামিম, মোসলে উদ্দিন, আমির হোসেন, কুমিল্লা জেলা জাতীয় যুবশক্তির সদস্য নাসির উদ্দীন, দেবিদ্বার উপজেলা জাতীয় ছাত্রশক্তির সদস্য রাফসান, হৃদয়, মেহেদী হাসান, সবুজসহ জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
প্রিন্ট
কুমিল্লা জেলা সংবাদদাতা 




















