ডিসি অফিসে সার্ভেয়ার নাঈমের কমিশন বানিজ্য

- আপডেট টাইম : ০৬:০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
- / ৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
ডিসি অফিস এলএ শাখায় চলছে অবাধে কমিশন বানিজ্য। সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার নাঈমের বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ। নাঈম কিছু দালাল ও প্রভাবশালীর সমন্বয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে এমন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত এমন অভিযোগ করেছেন জাতীয় দৈনিক তথ্যানুসন্ধান এর সহকারী সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি দূর্নীতি দমন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সার্ভেয়ার নাঈমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা, ডিসি অফিসের এল.এ শাখা-৫ এর সার্ভেয়ার মো: নাঈম একজন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর। তিনি ছাত্র জীবনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি প্রথমে আমিন হিসেবে চাকরিতে যোগদান করলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী সচিবের মাধ্যমে সার্ভেয়ার ডিগ্রি ছাড়াই কোনরূপ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সার্ভেয়ার হিসেবে পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চাকরি বিধিমালা লংঘন করে আনুমানিক ৫ বছরের অধিক সময় ধরে একই জায়গায় অর্থাৎ এল.এ শাখায় কর্মরত রয়েছেন। এমনকি তিনি ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর সমন্বয়ে গড়ে তুলেছিলেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ( যেমন- ঢাকা-মাওয়া হয়ে খুলনা এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প) দায়িত্ব পালনকালীন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের জিম্মি করে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানকালে (৫-৬)% ঘুস আদায় করেছেন। এছাড়া কাগজপত্রের ঠুনকো সমস্যা দেখিয়ে (২৫-৩০)% ঘুস আদায় করেছেন। এমনকি তিনি ডোবাকে নাল, নালকে ভিটি দেখিয়ে ক্ষতির পরিমাণ অত্যাধিক বাড়িয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়তির অতিরিক্ত অর্থের ৫০% নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিতেন। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের পতন হলে থমকে যায় তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ড। তবে নাঈম অত্যাধিক চতুর স্বভাবের হওয়ায় রং বদল করে বর্তমান সময়ের প্রভাবশালী বিভিন্ন মহলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়ে একই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব অপকর্মের মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদ। নিজ নামে, স্ত্রীর নামে, এমনকি আত্মীয়স্বজনের গড়ে তুলেছেন জমিজমা, বাড়ি, গাড়ি ও ব্যাংক-ব্যালেন্স। এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সার্ভেয়ার নাঈমের মোবাইলে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।