ফ্যাসিবাদ – হত্যা – গুম – আয়নাঘরের আত্বরঘর ধানমন্ডি ৩২ এর পক্ষের বিবৃতি দাতা ও জুলাই ২৪ বিপ্লবের সৈনিকদের শাস্তি দাবি কারী অগ্রনী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এর পদত্যাগ ও অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন৷
গত ১/ ৩/ ২০২৫ শে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অগ্রনী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এর বৈষম্যের শিকার অগ্রনী ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী ও গ্রাহকবৃন্দ। আমাদের গর্ব অগ্রনী ব্যাংক পিএলসি আজ কলল্কিত। অগ্রনী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ জুলাই ২৪ বিল্পবের চেতনাকে পদদলিত করেছেন। শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করেছেন।
আওয়ামী লীগের আমল থেকে সকল দপ্তর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে বৈষম্য চালিয়েছিল ফ্যাসিবাদীদের উচ্চ পদের কর্মকর্তারা । শুধু রাজনৈতিক ও মন্ত্রনালয় এর পাশাপাশি অগ্রনী ব্যাংকেও বৈষম্য চালিয়েছে ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বকতিয়ার আহম্মেদ। দেশে ফ্যাসিবাদ এর পতন হলেও অগ্রনী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এর পতন হয়নি এখনো। এই বিশ্বাস ঘাতক কিভাবে এখনো অগ্রনী ব্যাংকের পদে বহাল আছেন। তিনি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্নত্যাগ কে অপমান করেছেন। জানা সূত্রে জুলাই ২৪ বিপ্লবের মহানায়কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন তিনি। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শাসনের দারা নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত মানুষের ভাবাবেগে তিনি চরম আঘাত করেছেন। হত্যা খুন ও আয়নাঘরের আতুড়ঘর এর মাধ্যমে খমতায় ছিল ফ্যাসিবাদী সরকার।

তেমনি তারই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতো অগ্রনী ব্যাংকে অনিয়ম। ফ্যাসিবাদী সরকার এর সময় তার অনেক অনিয়ম ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
তার বৈষম্যের শিকার এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ও তার পদত্যাগ দাবি করেন। আমরা কি এই বিশ্বাস ঘাতক কে মেনে নেবো? না। আমরা কি শহীদদের সাথে বেইমানি করবো? না।
একজন বিশ্বাস ঘাতক এর জন্য কি আমাদের প্রানপ্রিয় প্রতিষ্ঠান জাতির কাছে ধিকৃত হবে? না আমার তা হতে দিবো না।
অগ্রনী ব্যাংকের উচ্চ কর্মকর্তা থেকে প্রথম সারির ব্যক্তিদের নিকট এই চেয়ারম্যান এর পদত্যাগ ও অপসারণ করা হোক। অগ্রনী ব্যাংক এর কর্মকর্তা কর্মচারী বৈষম্য মুক্ত করতে তার পদত্যাগ হওয়া প্রয়োজন এমন টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন ও কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের দাবি গুলো প্রকাশ করেন ।
এই ফ্যাসিস্ট দোসরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। সরকার ও অর্থ মন্ত্রলায়কে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অগ্রনীয়নদের ঐক্য বদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা লড়ব! থামবো না! জুলাই বিপ্লবের চেতনা অমর হোক! অগ্রনীয়নদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকুক।
জনতার শক্তির জয়, স্বৈরাচারের হবে পরাজয়।