ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আর কত রক্ত ঝরাবে সাংবাদিকদের আবারো হামলা হলো সাংবাদিক মামুনের উপর আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ তীব্র তাপদাহে গলে গেছে সড়কের পিচ জামালপুরে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটায় কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গাঁ টাঙ্গাইল গোপালপুর পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই এই অনুষ্ঠান নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাপুরে ফ্লাইওভারের সাথে সংযুক্ত নির্মাণাধীন সিঁড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মসজিদে ঢুকে ছুরিকাঘাতের মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার জামালপুরে বিষমুক্ত কুমড়ার চাষ হচ্ছে নবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী সন্তানের মৃত্যু

ভয়ংকর কে-২ : বিশ্বাসঘাতকতার এই দিনে

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • ৫১৪ ০.০০০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালের ১৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট স্পর্শ করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেন। সেই পর্বতজয়ের আনন্দে যখন সবাই ভাসছে, তার পরের বছর ১৯৫৪ সালের ৩১ জুলাই পৃথিবীর দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট কে-২ জয়ের কথা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এবার কিন্তু এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে নয়। ইতালিয়ান পর্বতারোহী আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৬ টায় সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছান।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ০২৯ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের তুলনায় কে-২ মাত্র ২৩৭ মিটার বা ৭৭৮ ফুট ছোট। হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত।

 

এই পর্বতশৃঙ্গে প্রথম ১৯০২ সালে আরোহণের চেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল এবং তাঁরা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব ধার বরাবর ১৮ হাজার ৬শ’ ফুট বা ৫ হাজার ৬৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। অন্য অসফল প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অব আবুরাজ্জির অভিযান এবং তাঁরা প্রায় ২০ হাজার ফুট বা ৬ হাজার ১শ’ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন। এরপর ১৯৩৮ সালে একটি আমেরিকান অভিযাত্রী দল চার্লস হাউস্টনের নেতৃত্বে প্রায় ২৬ হাজার ফুট বা ৭ হাজার ৯২৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন।

 

শেষপর্যন্ত ১৯৫৪ সালে একটি ইতালিয় অভিযাত্রী দল ভূ-তাত্ত্বিক আরদিতো দেসিওর নেতৃত্বে কে-২ জয় করেন আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এই কঠিন পর্বত জয় করে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও পরিচিত আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এর কারণ তাদের এই কে-২ অভিযান দলের সদস্য পাকিস্তানের আমির মেহদী ও ওয়াল্টার বোনাট্টিকে মাঝপথে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে সামিটে যান। হয়তো সেদিন বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই প্রথম কে-২ চূড়ায় পদচিহ্ন আঁকতে পেরেছিলেন তারা।

 

কে-২ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম ও বর্বর হওয়ায় এটি জংলি পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারি পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও কে-২ এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে মৃত্যুর হার একজন। ফলে বোঝাই যায় কে-২ কত ভয়ংকর পর্বত।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

আর কত রক্ত ঝরাবে সাংবাদিকদের আবারো হামলা হলো সাংবাদিক মামুনের উপর

ভয়ংকর কে-২ : বিশ্বাসঘাতকতার এই দিনে

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালের ১৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট স্পর্শ করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেন। সেই পর্বতজয়ের আনন্দে যখন সবাই ভাসছে, তার পরের বছর ১৯৫৪ সালের ৩১ জুলাই পৃথিবীর দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট কে-২ জয়ের কথা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এবার কিন্তু এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে নয়। ইতালিয়ান পর্বতারোহী আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৬ টায় সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছান।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ০২৯ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের তুলনায় কে-২ মাত্র ২৩৭ মিটার বা ৭৭৮ ফুট ছোট। হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত।

 

এই পর্বতশৃঙ্গে প্রথম ১৯০২ সালে আরোহণের চেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল এবং তাঁরা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব ধার বরাবর ১৮ হাজার ৬শ’ ফুট বা ৫ হাজার ৬৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। অন্য অসফল প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অব আবুরাজ্জির অভিযান এবং তাঁরা প্রায় ২০ হাজার ফুট বা ৬ হাজার ১শ’ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন। এরপর ১৯৩৮ সালে একটি আমেরিকান অভিযাত্রী দল চার্লস হাউস্টনের নেতৃত্বে প্রায় ২৬ হাজার ফুট বা ৭ হাজার ৯২৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন।

 

শেষপর্যন্ত ১৯৫৪ সালে একটি ইতালিয় অভিযাত্রী দল ভূ-তাত্ত্বিক আরদিতো দেসিওর নেতৃত্বে কে-২ জয় করেন আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এই কঠিন পর্বত জয় করে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও পরিচিত আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এর কারণ তাদের এই কে-২ অভিযান দলের সদস্য পাকিস্তানের আমির মেহদী ও ওয়াল্টার বোনাট্টিকে মাঝপথে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে সামিটে যান। হয়তো সেদিন বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই প্রথম কে-২ চূড়ায় পদচিহ্ন আঁকতে পেরেছিলেন তারা।

 

কে-২ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম ও বর্বর হওয়ায় এটি জংলি পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারি পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও কে-২ এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে মৃত্যুর হার একজন। ফলে বোঝাই যায় কে-২ কত ভয়ংকর পর্বত।