ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু

ভলকার তুর্ককে বিশ্বের ১৪০ বিশিষ্টজনের চিঠি বাংলাদেশে দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

কোটা সংস্কার আন্দোলন। ফাইল ছবি
দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দমন-পীড়নের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) খোলা চিঠি লিখেছেন বিশ্বের ১৪০জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবী। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্ট দিয়েছেন লেখক অমিতাভ ঘোষ।

এক্সের ওই খোলা চিঠিতে বিশিষ্টজনরা বলেন, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের এমন পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে ভলকার তুর্কের কাছে তারা ওইসব ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছেন; যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঘটানো এবং সংবাদ প্রকাশ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়।

একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের হতাহতের ঘটনায় তারা (চিঠিতে সই করা বিশিষ্টজনেরা) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওই ঘটনা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মৌলিক অধিকারই শুধু খর্ব করেনি; বরং বাংলাদেশ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীন মানুষের জীবনধারণের অধিকারের নিশ্চয়তাকে উপহাস করেছে। তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে অব্যাহত বাধা সৃষ্টি করার কারণে সহিংসতার শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যদের বিষয়ে খুব কম খবরই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশে থাকা সহকর্মীদের কাছ থেকে তারা জেনেছেন, পুলিশের হাতে কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী নিহত ও হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

চিঠিতে বিশিষ্টজনেরা বাছ-বিচারহীন গ্রেপ্তার, শোকজ ছাড়াই আটক, আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া, আহত করা, নির্যাতন-মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘটনা থামাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের এমন পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে ভলকার তুর্কের কাছে তারা ওইসব ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছেন; যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঘটানো এবং সংবাদ প্রকাশ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভলকার তুর্ককে বিশ্বের ১৪০ বিশিষ্টজনের চিঠি বাংলাদেশে দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

আপডেট টাইম : ০৪:৫০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন। ফাইল ছবি
দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দমন-পীড়নের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) খোলা চিঠি লিখেছেন বিশ্বের ১৪০জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবী। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্ট দিয়েছেন লেখক অমিতাভ ঘোষ।

এক্সের ওই খোলা চিঠিতে বিশিষ্টজনরা বলেন, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের এমন পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে ভলকার তুর্কের কাছে তারা ওইসব ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছেন; যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঘটানো এবং সংবাদ প্রকাশ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়।

একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের হতাহতের ঘটনায় তারা (চিঠিতে সই করা বিশিষ্টজনেরা) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওই ঘটনা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মৌলিক অধিকারই শুধু খর্ব করেনি; বরং বাংলাদেশ সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীন মানুষের জীবনধারণের অধিকারের নিশ্চয়তাকে উপহাস করেছে। তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে অব্যাহত বাধা সৃষ্টি করার কারণে সহিংসতার শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যদের বিষয়ে খুব কম খবরই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশে থাকা সহকর্মীদের কাছ থেকে তারা জেনেছেন, পুলিশের হাতে কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী নিহত ও হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

চিঠিতে বিশিষ্টজনেরা বাছ-বিচারহীন গ্রেপ্তার, শোকজ ছাড়াই আটক, আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া, আহত করা, নির্যাতন-মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘটনা থামাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের এমন পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে ভলকার তুর্কের কাছে তারা ওইসব ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছেন; যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঘটানো এবং সংবাদ প্রকাশ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।