ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

স্থানীয় প্রশাসনের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন।

  • আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৪৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
  • / ৩৫২ ৫০০.০০০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভাই না থাকা পাঁচ বোনের একটু সুখে বেঁচে থাকার করুন আহাজারি ?

সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ৬নং নেপা ইউনিয়নের সলেমানপুর মৎস্য অফিস পাড়ার হতদরিদ্র রোমানা খাতুনের পরিবারের উপর চলছে বিরামহীন অমানবিক নির্যাতন। জানা যায় নিজের আপন চাচা মামারা স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এর সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক জায়গা দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে মানহানি ও হয়রানি করছে। সম্প্রতি এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার এর এক সহযোগী দিয়ে ভিকটিমের ছোট বোনকে ধর্ষণের অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করতে গেলে মহেশপুর থানার ওসি  সাইফুল ইসলাম উক্ত থানায় মামলা না নিয়ে কোর্টে অভিযোগ করার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে কোর্টে অভিযোগ করার পর ওয়ার্ড মেম্বার ও আমাদের চাচা মামারা আমাদের ওপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমাদের উপর  দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম আঘাত করে যার ফলে আমরা সবাই হাসপাতলে ভর্তি হই । হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাদের পিতা দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যায়। পিতাহীন দুখিনী মা এবং আমরা পাঁচ বোন এখন আরো বড় অসহায়ত্বের দিনযাপন করছি। ওয়ার্ড মেম্বার এর খায়েশ মত না চলাতে আসে না কোন সরকারি ত্রাণ। এলাকার কোন দানবীর যদি আমাদের প্রতি দানের হাত বাড়িয়ে দিতে চায় মেম্বারের অনৈতিকভাবে মামলা খাওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের সাহায্য করা থেকে বিরত রাখে। আমরা পাঁচ বোন লেখাপড়া করি লেখাপড়ার পাশাপাশি ফসলি জমিতে কাজ করে সংসার যোগান দিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছি।

আমাদের ওপর এত জুলুম অত্যাচার করার পরেও তারা কোনোভাবেই দমন হচ্ছে না । প্রতিনিয়ত তারা আমাদের হুমকি-ধমকির মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অত্যাচার ও হেয় প্রতিপন্ন করছে । এখন তারা চাচ্ছে আমাদের ঘরবাড়ি এলাকা ছেড়ে যেন আমরা অন্যত্র চলে যাই। এই করুণ অবস্থায় আমাদের পাশে দাঁড়ানোর মত কাউকে না পেয়ে আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছে বলে সময়ের কন্ঠকে জানিয়েছে বড় বোন রোমানা খাতুন। রুমনা খাতুন আরো বলেন মহেশপুর থানায় একাধিকবার অভিযোগ করার পরেও  আমরা কোন শান্তির ফল পাইনি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা পাঁচ বোন যেন একটু সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি  অশ্রুভরা নয়নে ক্রন্দনস্বরে সাংবাদিকদের সামনে এই জোর আবেদন জানাই বলে ভেঙ্গে পড়েন রুমানা খাতুন।

এই ব্যাপারে সময়ের কন্ঠের প্রতিবেদক মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ভিকটিম এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি বলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ভাইরাল ছিল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্থানীয় প্রশাসনের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন।

আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৪৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভাই না থাকা পাঁচ বোনের একটু সুখে বেঁচে থাকার করুন আহাজারি ?

সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ৬নং নেপা ইউনিয়নের সলেমানপুর মৎস্য অফিস পাড়ার হতদরিদ্র রোমানা খাতুনের পরিবারের উপর চলছে বিরামহীন অমানবিক নির্যাতন। জানা যায় নিজের আপন চাচা মামারা স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এর সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক জায়গা দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে মানহানি ও হয়রানি করছে। সম্প্রতি এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার এর এক সহযোগী দিয়ে ভিকটিমের ছোট বোনকে ধর্ষণের অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করতে গেলে মহেশপুর থানার ওসি  সাইফুল ইসলাম উক্ত থানায় মামলা না নিয়ে কোর্টে অভিযোগ করার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে কোর্টে অভিযোগ করার পর ওয়ার্ড মেম্বার ও আমাদের চাচা মামারা আমাদের ওপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমাদের উপর  দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম আঘাত করে যার ফলে আমরা সবাই হাসপাতলে ভর্তি হই । হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাদের পিতা দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যায়। পিতাহীন দুখিনী মা এবং আমরা পাঁচ বোন এখন আরো বড় অসহায়ত্বের দিনযাপন করছি। ওয়ার্ড মেম্বার এর খায়েশ মত না চলাতে আসে না কোন সরকারি ত্রাণ। এলাকার কোন দানবীর যদি আমাদের প্রতি দানের হাত বাড়িয়ে দিতে চায় মেম্বারের অনৈতিকভাবে মামলা খাওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের সাহায্য করা থেকে বিরত রাখে। আমরা পাঁচ বোন লেখাপড়া করি লেখাপড়ার পাশাপাশি ফসলি জমিতে কাজ করে সংসার যোগান দিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছি।

আমাদের ওপর এত জুলুম অত্যাচার করার পরেও তারা কোনোভাবেই দমন হচ্ছে না । প্রতিনিয়ত তারা আমাদের হুমকি-ধমকির মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অত্যাচার ও হেয় প্রতিপন্ন করছে । এখন তারা চাচ্ছে আমাদের ঘরবাড়ি এলাকা ছেড়ে যেন আমরা অন্যত্র চলে যাই। এই করুণ অবস্থায় আমাদের পাশে দাঁড়ানোর মত কাউকে না পেয়ে আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছে বলে সময়ের কন্ঠকে জানিয়েছে বড় বোন রোমানা খাতুন। রুমনা খাতুন আরো বলেন মহেশপুর থানায় একাধিকবার অভিযোগ করার পরেও  আমরা কোন শান্তির ফল পাইনি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা পাঁচ বোন যেন একটু সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি  অশ্রুভরা নয়নে ক্রন্দনস্বরে সাংবাদিকদের সামনে এই জোর আবেদন জানাই বলে ভেঙ্গে পড়েন রুমানা খাতুন।

এই ব্যাপারে সময়ের কন্ঠের প্রতিবেদক মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ভিকটিম এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি বলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ভাইরাল ছিল।