ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত ভূমি অফিসে ৮ বছর ধরে ‘ভুয়া পরিচয়ে’ সরকারি চাকরির অভিযোগ টাঙ্গাইলে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত এসআই নিয়োগের ফল প্রকাশ, সুপারিশকৃতদের রোল নম্বর দেওয়া হলো নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত ২ উপদেষ্টার সহকারীদের দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের যৌথ মত বিনিময় সভা সম্পন্ন গাজীপুরে মাহমুদুর রহমানসহ পত্রিকার সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত আমার দেশের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে নাসিরনগরে মানববন্ধন আমার দেশের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে নাসিরনগরে মানববন্ধন

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ০ ৫০০০.০ বার পাঠক

২৭ এপ্রিল, রবিবার, বিকাল ৫টায় রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক পেং জিউবিন-এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যথাক্রমে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন।

বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন:

“চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক পেং জিউবিন গত তিনদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছেন। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, সরকারের প্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। আজকে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করলেন। আমাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

গত ডিসেম্বর মাসে চীনা সরকারের আমন্ত্রণে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছিল। এখানে উপস্থিত সকলেই সেই ডেলিগেশনের সদস্য ছিলেন। সেটি ছিল সরকারি পর্যায়ের সফর। আজকের মিটিংটি ছিল দলীয় পর্যায়ে — পার্টি টু পার্টি।

চীন এখন বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান শক্তি, বিশেষ করে আমাদের অঞ্চলেও। এখানকার অর্থনীতি, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে চীনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনক্লুসিভ, ইসলামী এবং উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমাদের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী আমরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। সে আলোকে আজকের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা অনেক খোলামেলা আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে মতবিনিময় করেছি।”

ডা. তাহের আরও বলেন, “আমরা প্রথমেই আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে দেয়া আমন্ত্রণ এবং ইতোমধ্যে সম্পাদিত কিছু চুক্তি ও প্রদত্ত আশ্বাসের জন্য চীন প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

চীন বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী এবং আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি, বাংলাদেশে আরও ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য। কারণ বাংলাদেশ একটি উদীয়মান দেশ এবং বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

আমরা তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং গভীর সমুদ্রবন্দরে (ডিপ সি পোর্ট) বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি প্রসারে চীনের বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।

এ ছাড়া আমরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি যাতে এই অঞ্চলে কেউ কারো প্রতি বৈরী মনোভাব প্রদর্শন না করে এবং নিরাপত্তার ভারসাম্য বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকভাবে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেয়ার জন্যও আমরা অনুরোধ করেছি।

এসব বিষয়ে তারা আমাদের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নিজেদের সরকারকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকার কার্যত একই সত্তা। তাই আমরা আশা করি, সরকার টু সরকার, দল টু সরকার, জনগণ টু জনগণ এবং দল টু দলের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

তারা জামায়াতে ইসলামীকে তাদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরাও জানিয়েছি, অচিরেই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা তাদের আতিথেয়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।

আমি মনে করি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। কারণ অতীতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সরকারের সাথে আমাদের এত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল না। এখন ব্যাপকভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে।”

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন: “আমরা বিশেষভাবে রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গ তুলেছি। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১-১২ লাখ রোহিঙ্গা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা বলেছি, খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয় সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে পুনর্বাসন।

এ জন্য আমরা আরাকান অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন আরাকান স্টেট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। চীন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, কারণ মিয়ানমারের সাথে তাদের সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।

তারা আমাদের এই প্রস্তাব নিজেদের সরকারের কাছে তুলে ধরবে এবং প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”

নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন:

“তারা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের সময় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা জানিয়েছি, আমাদের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী নির্বাচন ডিসেম্বরে অথবা প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ হলে জুনেও হতে পারে।

তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তারা একই নীতিতে অটুট।

তাদের উদ্দেশ্য কেবল নীতিগত ও কর্মসূচির ভিত্তিতে সহযোগিতা করা, হস্তক্ষেপ নয়।”

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

২৭ এপ্রিল, রবিবার, বিকাল ৫টায় রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক পেং জিউবিন-এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যথাক্রমে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন।

বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন:

“চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক পেং জিউবিন গত তিনদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছেন। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, সরকারের প্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। আজকে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করলেন। আমাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

গত ডিসেম্বর মাসে চীনা সরকারের আমন্ত্রণে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছিল। এখানে উপস্থিত সকলেই সেই ডেলিগেশনের সদস্য ছিলেন। সেটি ছিল সরকারি পর্যায়ের সফর। আজকের মিটিংটি ছিল দলীয় পর্যায়ে — পার্টি টু পার্টি।

চীন এখন বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান শক্তি, বিশেষ করে আমাদের অঞ্চলেও। এখানকার অর্থনীতি, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে চীনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনক্লুসিভ, ইসলামী এবং উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমাদের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী আমরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। সে আলোকে আজকের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা অনেক খোলামেলা আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে মতবিনিময় করেছি।”

ডা. তাহের আরও বলেন, “আমরা প্রথমেই আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে দেয়া আমন্ত্রণ এবং ইতোমধ্যে সম্পাদিত কিছু চুক্তি ও প্রদত্ত আশ্বাসের জন্য চীন প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

চীন বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী এবং আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি, বাংলাদেশে আরও ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য। কারণ বাংলাদেশ একটি উদীয়মান দেশ এবং বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

আমরা তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং গভীর সমুদ্রবন্দরে (ডিপ সি পোর্ট) বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি প্রসারে চীনের বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।

এ ছাড়া আমরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি যাতে এই অঞ্চলে কেউ কারো প্রতি বৈরী মনোভাব প্রদর্শন না করে এবং নিরাপত্তার ভারসাম্য বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকভাবে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেয়ার জন্যও আমরা অনুরোধ করেছি।

এসব বিষয়ে তারা আমাদের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নিজেদের সরকারকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকার কার্যত একই সত্তা। তাই আমরা আশা করি, সরকার টু সরকার, দল টু সরকার, জনগণ টু জনগণ এবং দল টু দলের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

তারা জামায়াতে ইসলামীকে তাদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরাও জানিয়েছি, অচিরেই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা তাদের আতিথেয়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।

আমি মনে করি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। কারণ অতীতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সরকারের সাথে আমাদের এত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল না। এখন ব্যাপকভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে।”

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন: “আমরা বিশেষভাবে রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গ তুলেছি। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১-১২ লাখ রোহিঙ্গা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা বলেছি, খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয় সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে পুনর্বাসন।

এ জন্য আমরা আরাকান অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন আরাকান স্টেট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। চীন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, কারণ মিয়ানমারের সাথে তাদের সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।

তারা আমাদের এই প্রস্তাব নিজেদের সরকারের কাছে তুলে ধরবে এবং প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”

নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন:

“তারা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের সময় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা জানিয়েছি, আমাদের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী নির্বাচন ডিসেম্বরে অথবা প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ হলে জুনেও হতে পারে।

তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তারা একই নীতিতে অটুট।

তাদের উদ্দেশ্য কেবল নীতিগত ও কর্মসূচির ভিত্তিতে সহযোগিতা করা, হস্তক্ষেপ নয়।”