ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘোড়াশালে ভাই ভাই হোটেল ও বেকারিকে জরিমানা জমি দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে, এলাকাবাসীর মানবন্ধন জুতার মালা পরানোয় মায়াকান্না করছেন, গুমের জন্য তো সহানুভূতি শুনলাম না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ইরান, জাতিসংঘে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় বাজেটে নারী ও শিশু বান্ধব বিষয়ক আলোচনা সভা শহীদ কমান্ডারদের জানাজা কখন, জানাল ইরান বিএনপি মব সংস্কৃতির বিপক্ষে: জয়নুল আবদিন ফারুক হাসনাত আবদুল্লাহর অভিযোগ প্রসঙ্গে যা বলছে দুদক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘বিজয় উদযাপনে’ তেহরানে বিশাল র‌্যালী পিলখানা হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে: স্বাধীন তদন্ত কমিশন

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ইরান, জাতিসংঘে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০২:২৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / ৩ ১৫০.০০০ বার পাঠক

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
বোমা ফেলে ইরানের স্থাপনাগুলোর ক্ষতি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ আল মায়াদিন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক স্থাপনায় হওয়া ক্ষতিপূরণ ওয়াশিংটনকে দিতে হবে।

গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন অভিযান শুরু করে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইরান প্রতিশোধ নেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।

২২ জুন ভোরে মার্কিন বোমারু বিমানগুলো তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করে। পরের দিন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক বিমান ঘাঁটি আল উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

এরপর ২৪ জুন ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলও ঘোষণা করে, তারা মার্কিন প্রস্তাবে রাজি। পরিবর্তে তেহরান জানায়, তারা তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে বিজয় অর্জন করেছে।

সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেন, ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পাঠিয়েছিল।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানি জাতি প্রতিরোধের মাধ্যমে জায়নিস্ট সরকারের ওপর তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছে এবং শত্রুকে একতরফাভাবে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন মাধ্যমে ইরানকে বার্তা পাঠালেও তেহরান বলে দিয়েছিল, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ইরান জায়নিস্ট সরকারের সাথে এমন কোনো লিখিত চুক্তি করেনি, যাতে নির্দিষ্ট কিছু ধারা থাকতে পারে। যা ঘটেছে তা হলো জায়নবাদের আগ্রাসন বন্ধ করা। ইরান প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও হামলা চালাবে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ইরান, জাতিসংঘে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি

আপডেট টাইম : ০২:২৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
বোমা ফেলে ইরানের স্থাপনাগুলোর ক্ষতি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ আল মায়াদিন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক স্থাপনায় হওয়া ক্ষতিপূরণ ওয়াশিংটনকে দিতে হবে।

গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন অভিযান শুরু করে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইরান প্রতিশোধ নেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।

২২ জুন ভোরে মার্কিন বোমারু বিমানগুলো তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করে। পরের দিন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক বিমান ঘাঁটি আল উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

এরপর ২৪ জুন ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলও ঘোষণা করে, তারা মার্কিন প্রস্তাবে রাজি। পরিবর্তে তেহরান জানায়, তারা তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে বিজয় অর্জন করেছে।

সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেন, ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পাঠিয়েছিল।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানি জাতি প্রতিরোধের মাধ্যমে জায়নিস্ট সরকারের ওপর তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছে এবং শত্রুকে একতরফাভাবে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন মাধ্যমে ইরানকে বার্তা পাঠালেও তেহরান বলে দিয়েছিল, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ইরান জায়নিস্ট সরকারের সাথে এমন কোনো লিখিত চুক্তি করেনি, যাতে নির্দিষ্ট কিছু ধারা থাকতে পারে। যা ঘটেছে তা হলো জায়নবাদের আগ্রাসন বন্ধ করা। ইরান প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও হামলা চালাবে না।