১০ হাজার টাকার গুজবে কম্পিউটারের দোকানে শিক্ষার্থীদের ভিড়
- আপডেট টাইম : ০৫:১৯:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
- / ২৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।।
আজ ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০ হাজার টাকার গুজবে কম্পিউটারের দোকানে শিক্ষার্থীদের ভিড়।
করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেয়ার গুজবে ৭মার্চ রবিবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছিলো পীরগঞ্জ শহরে। ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে ছিলো উপচে পড়া ভিড়। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রত্যয়ন নিতে শহরের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ছিলো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় ছিল উল্লেখ করার মতো। দূর-দূরান্ত থেকে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা আবেদনের জন্য শহরে আসেন। অতিরিক্ত মানুষের চাপে শহরে লেগে যায় যানজট। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয়ট ট্রাফিক পুলিশকে।কয়েকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, গত বছরের মতো এবছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। এতে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থী অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দু:স্থ, প্রতিবন্ধী, গরীব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। সংস্কার, আসবাবপত্র, খেলার সামগ্রী এবং পাঠাগার উন্নয়নের জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। আজ ৭ মার্চ আবেদনের সময়সীমা শেষ।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, করোনাকালীন স্টুডেন্ট ভাতা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করার কথা শুনে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে অনলাইনে আবেদনের জন্য ভিড় করছেন। কিন্তু নির্ধারিত ওয়েব সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছেনা। এছাড়া কোন কোন প্রতিষ্ঠান বিনামুল্যে প্রত্যয়ন দিলেও কোন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ১০ হাজার টাকা ভাতা দেয়ার কথা শুনে তার মাসহ এসেছেন। অভিভাবক আমিনা বেগম, সবার মুখে মুখে শুনে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন আবেদন করতে। কিন্তু সার্ভারে ঢোকা যাচ্ছেনা। পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ কতৃপক্ষ জানান এ ধরণের চিঠি গত বছরেও এসেছিলো এবং সীমিত সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুদান পেয়েছেন। কিন্তু গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে এবছর ধনী-দরিদ্র সকল শিক্ষার্থী প্রত্যয়ন নিয়ে আবেদন করার জন্য ভিড় করছেন। সুযোগ নেই। কিন্তু গুজবের কারণে সবাই প্রত্যয়নের জন্য ভিড় করছে।
অপরদিকে একই চিত্র দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ সামনে সেখানে ফটোকপি, অনলাইন সার্ভিস দোকান ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল নজর কারার মতো। কিন্তু ওই সার্ভারে কেউ কাজ করতে পারেনি বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। অনেকে বাধ্য হয়ে চুক্তি ভিত্তির্তে কাগজপত্র অনলাইন সার্ভিস সেন্টারে রেখে গেছেন। ঠাকুরগাঁও জেলা পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার রেজাউল করিম জানান, তাদের কাছে করোনার কোন অনুদানের চিঠি আসেনি। একটি মহল গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ হাছিল করতে চায় বলে তার মনে হয়।