সুবিধা পাবে এক কোটি মানুষ ॥ স্থায়ী সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ছে
![](https://somoyerkontha.com/wp-content/uploads/2024/10/FB_IMG_1727975776303.jpg)
- আপডেট টাইম : ০৬:৩১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
- / ৩০০ ৫০০০.০ বার পাঠক
- উন্নত দেশের রোল মডেল অনুসরণ করা হবে
- ২৫ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে ১৫০ কর্মসূচী
- আগামী বাজেটে বরাদ্দ থাকছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা
- এলডিসি উত্তরণ ও এসডিজি অর্জন সহজ হবে
- সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
দেশের প্রায় এক কোটি মানুষকে স্থায়ীভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উন্নত দেশের রোল মডেল অনুসরণ করে মানুষের স্থায়ী সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনমান উন্নয়নে সরকারের ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে ১৫০টি কর্মসূচী। এইসব কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীরা খাদ্য সহায়তা, নগদ ভাতা, চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা সরঞ্জামাদি, থাকার জন্য পাকা ঘর, গভীর নলকূপ, স্যানিটেশন পাবেন। গ্রামীণ প্রকল্প থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে লাখ লাখ মানুষের। এছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ এবং দারিদ্র্র্য নির্মূলে আরও কয়েক কোটি মানুষকে অস্থায়ীভাবে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আগামী বাজেটে শুধু সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। চলতি বাজেটে এই খাতের বরাদ্দ ৯৫ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের উত্তরণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে হলে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করার তাগিদ রয়েছে। কাউকেই আর পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। অর্থনীতির মূল ধারায় সাধারণ মানুষকেও নিয়ে আসার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণের টার্গেট রয়েছে সরকারের সামনে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বেগবান করতে উন্নত দেশের রোল মডেল অনুসরণ করবে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। মধ্যম আয়ের দেশে যেতে গত এক দশক ধরে দারিদ্র্য বিমোচনে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে। কমেছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। আগামী বাজেটেও ধারাবাহিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় কর্মসূচী ও বরাদ্দ বাড়ানো হবে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানে নজর বাড়াবে সরকার।