ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শিগগিরই রোডম্যাপ, দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বিদ্যমান, সংস্কারের দাবি নির্বাচনের আগে স্থানীয় ভোট চায় না বিএনপি মাসুদ মোল্লার টিস্টল ও বেকারি তে হামলা ভাংচুরে জড়িত মোস্তাফিজুর রহমান কালু ও রেনু খানম ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমান জনশক্তিদের নিয়ে লক্ষ্মীপুর জমায়াতের জেলা আমীর মাষ্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার মতবিনিময় ও প্রীতি সমাবেশ পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন চলছে, জানালেন ট্রাম্প উত্তরায় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ অনুসারী মাসুমের ডিগবাজি বিএনপি সেজে নিজেদের কুকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করছে লক্ষ্মীপুরে পিস্তলসহ একগৃহ বধূ আটক ঢাকা মহাসড়ক হাইওয়ে রোডে এম্বুলেন্স ও পরিবহনের অগ্নিকান্ড কুমিল্লা পেশাজীবী সাংবাদিক সোসাইটি’র নতুন কমিটি গঠন

ঋণের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতার গলায় ফাঁস

জহির হোসেন জেলা প্রতিনিধ ঃ-
  • আপডেট টাইম : ০২:০৬:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩
  • / ১৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঋণের দায়ে হতাশা গ্রস্থ সানাউল‌্যা (৬০) না‌মে এক আওয়ামীলীগ নেতা গলায় ফাঁস দি‌য়ে আত্মহত‌্যা ক‌রে।
গতকাল রোববার (২৭ আগস্ট) রাতেও দুজন এনজিও কর্মী কিস্তির টাকার জন্য তাঁর বাড়িতে বসে ছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঘুম থেকে উঠে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্বজনেরা। তিনি উপজেলার বামনী ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী গ্রামের মৃত আবদুল হক কাজীর ছেলে। সানা উল্লাহ ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বরত ছিলেন।

সানা উল্লাহ বাড়ির পাশে চা দোকান করে সংসার চালাতেন। তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমির ওপর ঘর করে স্ত্রী ও তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন।

সানা উল্লাহর বড় ভাই আনসার উল্যাহ ও তাঁর ছেলে হৃদয় জানান, চারটি সংস্থা থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সানা উল্লাহ। ব্যবসা ভালো না চলায়, অভাবের কারণে তিনি ঠিকমতো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এ নিয়ে প্রায় সময় এনজিওর মাঠকর্মীরা বাড়িতে এসে কিস্তির টাকার জন্য বসে থাকতেন। কোনো কোনো এনজিওকর্মী গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান নিতেন এবং অপমানজনক কথা বলতেন। গতকাল রোববার রাতেও ১২ পর্যন্ত দুজন কিস্তির টাকার জন্য বাড়িতে অবস্থান নেন। এতে অপমান বোধ করেন সানা উল্যাহ। সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এবং অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল আলম সুমন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা সানা উল্যাহ চা বিক্রি করে যা আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। দুই ছেলের লেখাপড়া এবং সংসারের ব্যয় মেটাতে তিনি কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নেন। এ ছাড়া কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকেও সাপ্তাহিক পরিশোধের শর্তে টাকা ধার নেন। ঋ‌ণের চাপে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা।’

এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঋণের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতার গলায় ফাঁস

আপডেট টাইম : ০২:০৬:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঋণের দায়ে হতাশা গ্রস্থ সানাউল‌্যা (৬০) না‌মে এক আওয়ামীলীগ নেতা গলায় ফাঁস দি‌য়ে আত্মহত‌্যা ক‌রে।
গতকাল রোববার (২৭ আগস্ট) রাতেও দুজন এনজিও কর্মী কিস্তির টাকার জন্য তাঁর বাড়িতে বসে ছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঘুম থেকে উঠে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্বজনেরা। তিনি উপজেলার বামনী ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী গ্রামের মৃত আবদুল হক কাজীর ছেলে। সানা উল্লাহ ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বরত ছিলেন।

সানা উল্লাহ বাড়ির পাশে চা দোকান করে সংসার চালাতেন। তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমির ওপর ঘর করে স্ত্রী ও তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন।

সানা উল্লাহর বড় ভাই আনসার উল্যাহ ও তাঁর ছেলে হৃদয় জানান, চারটি সংস্থা থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সানা উল্লাহ। ব্যবসা ভালো না চলায়, অভাবের কারণে তিনি ঠিকমতো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এ নিয়ে প্রায় সময় এনজিওর মাঠকর্মীরা বাড়িতে এসে কিস্তির টাকার জন্য বসে থাকতেন। কোনো কোনো এনজিওকর্মী গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান নিতেন এবং অপমানজনক কথা বলতেন। গতকাল রোববার রাতেও ১২ পর্যন্ত দুজন কিস্তির টাকার জন্য বাড়িতে অবস্থান নেন। এতে অপমান বোধ করেন সানা উল্যাহ। সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এবং অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল আলম সুমন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা সানা উল্যাহ চা বিক্রি করে যা আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। দুই ছেলের লেখাপড়া এবং সংসারের ব্যয় মেটাতে তিনি কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নেন। এ ছাড়া কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকেও সাপ্তাহিক পরিশোধের শর্তে টাকা ধার নেন। ঋ‌ণের চাপে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা।’

এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।