ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোস্ট গার্ডের উদ্যোগে তারুন্যের উৎসব ২০২৫” শীর্ষক মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন এম.সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দুর্নীতি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার সাবেক সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধানসহ সাবেক ১০ জেনারেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান-তদন্ত করছে দুদক ভিআইপি ফ্লাইটের জন্য ১ ঘণ্টা অপারেশন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা বাতিল যারা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে তারা ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থাকতে চায়: নাহিদ ইশরাককে নিয়ে শিশির মনিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী ভৈরবে মিথ্যা মামলা ও ভূমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন১৮ জুন ইউনূস- তারেক ঐকমত্যের পরও ভাবাচ্ছে যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে আছে আ.লীগ নেতাদের কটাক্ষ করে দেওয়া পোস্টকেও ‘হুমকি’ হিসেবে দেখত হাসিনার সরকার

২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স’ অডিও ইস্যু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাসিনাকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ২৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’-এমন একটি অডিও বক্তব্যের ফরেনসিক বিশ্লেষণে এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কণ্ঠ বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই মন্তব্যের জেরে আদালত অবমাননার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রবিবার (২৫ মে) আদালত নির্দেশ দেয়—শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য দু’টি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এর আগেই, ৩০ এপ্রিল এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অডিওটির ফরেনসিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ। বক্তব্যটির প্রেক্ষিতে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্যে হস্তক্ষেপ ও হুমকি প্রদর্শনের ইঙ্গিত রয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল।

প্রসঙ্গত, অডিও ক্লিপে শোনা যায়—”আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই আমি ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি”—এই উক্তিটি সরাসরি আইনি প্রক্রিয়ার মর্যাদা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তদন্ত সংস্থা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তা দ্রুত ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে এবং ফলাফল ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে।

আদালতের পক্ষ থেকে এখন এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে—প্রভাবশালী নেতাদের বাক্য ও আচরণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স’ অডিও ইস্যু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাসিনাকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’-এমন একটি অডিও বক্তব্যের ফরেনসিক বিশ্লেষণে এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কণ্ঠ বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই মন্তব্যের জেরে আদালত অবমাননার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রবিবার (২৫ মে) আদালত নির্দেশ দেয়—শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য দু’টি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এর আগেই, ৩০ এপ্রিল এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, অডিওটির ফরেনসিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ। বক্তব্যটির প্রেক্ষিতে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্যে হস্তক্ষেপ ও হুমকি প্রদর্শনের ইঙ্গিত রয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল।

প্রসঙ্গত, অডিও ক্লিপে শোনা যায়—”আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই আমি ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি”—এই উক্তিটি সরাসরি আইনি প্রক্রিয়ার মর্যাদা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তদন্ত সংস্থা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তা দ্রুত ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে এবং ফলাফল ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে।

আদালতের পক্ষ থেকে এখন এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে—প্রভাবশালী নেতাদের বাক্য ও আচরণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা।