দুই লাখ টাকা বাঁচাতে পারে কিডনি বিকল হওয়া স্কুল ছাত্র আল আমিনের জীবন

- আপডেট টাইম : ০৭:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
- / ০ ১৫০.০০০ বার পাঠক
মাত্র দুই লাখ টাকা হলেই প্রাণে বেঁচে যেতে পারে কিডনী বিকল হওয়া আট বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থী আল আমিনের জীবন। যে বয়সে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করা, ছোটাছুটি করা, হৈহুলর করা কথা। কিন্তু সেই বয়সে কখনো বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছন, কখনো মলিন মুখে বই খাতা নিয়ে ধীরে ধীরে স্কুলের দিকে পা বাড়াচ্ছে। কারণ দুইটি কিডনীই তার অকোজে হওয়ার পথে। একটি কিডনি নষ্টের পর অপরটিও তিন ভাগের এক ভাগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন কথা বলছেন চিকিৎসক। বলছিলাম ময়দান দীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া আল আমিন কথা। তিনি পাবনার জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদীঘি এলাকার ময়দানদীঘি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা হৃতদরিদ্র আব্দুর রহিম ও চাঁদনী খাতুন দম্পতির ছেলে।
দুই কিডনী বিকল হওয়ার পথে আল আমিনের পিতা দিনমজুর হৃত দরিদ্র আব্দুর রহিম জানান, ময়দাদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট্ট আল আমিন গত কয়েক বছর ধরে তার পেটের ডান দিকে ব্যথ্যার কথা বলতেন। সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে ছেলেকে ভালো ডাক্তার দেখানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই গ্রাম্য চিকিৎসা দিয়েই শান্ত করে রাখার চেষ্টা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় মাস খানেক আগে আল আমিনের পেটের ব্যথা আরও তীব্রতর হলে ধার দেনা করে টাকা জোগাড় করে বগুড়ায় এক ডাক্তারের নিকট নিলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার রির্পোট দেখে ওই ডাক্তার বলেন যে, তার ডান পার্শ্বের কিডনী একেবারেই ড্যামেজ হয়েছে এবং বাম পাশের কিডনীর তিন ভাগের এক ভাগই নষ্ট হয়েছে। দ্রুত ঢাকার হাসপাতালে একটি অপারেশন প্রায় দুই লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু হৃত দরিদ্র রহিম- চাঁদনী দম্পতি এতে টাকা পাবে কোথা থেকে। তাই বাড়িতে ফিরে এসে অসুস্থ্য ছেলের দুশ্চিন্তায় ধূকে ধূকে দিন পার করছেন। এদিকে অসুস্থ্য ছেলে আল আমিন মাঝে মধ্যেই পেটের ব্যথায় কাতাচ্ছেন। বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে আর যায় না। মাঝে মধ্যে স্কুলে যায়। তবে মন মরা হযে বসে থাকেন। পড়া লেখা আর তার ভালো লাগে না। আর দরিদ্র পিতামাতার কয়েকখান টিনের ঝুঁপড়ি ঘরে শুয়ে কাতরায়ে দিন পার করেন। আব্দুর রহিম-চাঁদনী খাতুন দম্পতির শেষ ভরসা সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি । তারা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো একটি সফল অপারেশনের মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যেতে পারেন তাদের আদরের আল আমিন।
এ ব্যপারে ময়দানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, বেশ কিছুদিন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি দেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আল আমিনের পিতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার ছেলের কিডনী নষ্ট হয়েছে। তার পিতা মাতা হৃত দরিদ্র পরিবারের মানুষ। আল আমিনের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার স্বক্ষমতা তাদের নেই। সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে দাড়ানো আহব্বান করেন তিনি।