ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি কালিয়াকৈরে পালিত হলো প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত জামালপুরে কৃষককূল লাউ চাষে স্বাবম্বিতা অর্জন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও সম্প্রচার এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি

হোমনায় গরুর খামার দিয়ে স্বাবলম্বী বিদেশ ফেরত মো : রাজা তৌফিক, ৪ টি গরু নিয়ে শুরু

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়ন এর কৃপারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রাজা তৌফিক দীর্ঘ ১৬ বছর প্রবাস জীবন পারি দেন। ২০২১ সালের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ ফিরে আসেন নিজ দেশে। দেশে ফিরেই নিজেই খামারের উদ্যোক্তা হয়ে নিজ জায়গায় গরুর খামার করে সফলতা পেয়েছেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম তাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। সব বাধা পেরিয়ে জীবনযুদ্ধে সফল এক ব্যক্তি মোঃ রাজা তৌফিক । তার এমন সফলতায় এলাকার অনেক নারী, পুরুষ ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা আগ্রহী হচ্ছেন খামারের প্রতি। এলাকায় তিনি এখন অনেকের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

খামার ঘুরে দেখা গেছে, মোঃ রাজা তৌফিকের খামারের পরিবেশ অনেক ভালো। ভেতর-বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন সব সময়। এ ছাড়া মশা-মাছি আর পোকামাকড় প্রতিরোধেরও ব্যবস্থা আছে। আসন্ন কোরবানি উপলক্ষ্যে এই শেড টা খোলা হয়েছে। কোরবানির সময় বিক্রি করে দিবেন খামারে থাকা গরু গুলো। তবে সঠিক মুল্য পেলে বিক্রি করবেন কোরবানির আগেও। এই খামারে ১০ টি গরু আছে। গরু গুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাহামা, শাহিওয়াল,ও জার্সি জাতের গরু রয়েছে । সবগুলো ষাড় গরু। গরু গুলো বেশ মোটাতাজা হওয়ায় ভালো মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

খামারি মোঃ রাজা তৌফিক বললেন, আমি নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে আমার ছোট ভাই মোঃ আল মামুন এর সার্বিক সহযোগিতায় এবং এ, আই, টেকনেশিয়ান মোঃ বাছির উদ্দিনের পরামর্শে প্রথমে ৪ টি গরু দিয়ে এই খামারটি শুরু করেছি। খামারে এখন ১০ টি গরু রয়েছে। প্রতিটি গরুর বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা রয়েছে। গরু গুলোকে মোটাতাজাকরণে কোন ইনজেকশন করা হয়নি। গরুর খাবার নিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, খড়, ভূসি, ভুট্টা, সরিষার খৈল খাওয়াই। বড় একটি জমিতে উন্নতজাতের ঘাস নিজেই চাষ করি। ঘাস ও খড় কাটার জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি মেশিন ক্রয় করি। মেশিনের মাধ্যমে ঘাস ও খড় গুলো কেটে এক সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।তাই বাজার থেকে খাবার বেশি কিছু কিনতে হয় না। এ জন্য গরুগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি কম।

খামারী মোঃ রাজা তৌফিক এর সাথে খামার পরিচর্যাকারী তার ছোট বোন জোসনা আক্তার বলেন নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো অবস্থান থেকে সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করি। তিনি বলেন আমি খামারের গরু গুলোর খাবার দিয়ে সাহায্য করি। তিনি আরও বলেন শখের বশে একটি গরুর নাম রেখেছেন দুঃখ মিয়া। গরুর নাম দুঃখ মিয়া রাখার কারণ জানতে চাওয়া তিনি বলেন গরুটি যখন ছোট ছিলো তখন তাকে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই খানে আসার পর একা ছিলো সাথে মা না থাকার কারণে সে দুঃখ পেয়েছে তাই তার নাম দিয়েছি দুঃখ মিয়া।

এ,আই, টেকনেশিয়ান মোঃ বাছির উদ্দিন বলেন, আমি সবসময় মোঃ রাজা তৌফিক কে পরামর্শ দিয়ে আসছি। সে যখন বিদেশ থেকে চলে আসেন তখন আমি এই খামার দেওয়ার পরামর্শ দেই।আমার পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রথমে ৪ টি গরু নিয়ে এই খামার শুরু করেছেন। এখন তার খামারে ১০ টি গরু রয়েছে যা প্রতিটি গরুর বাজার মূল্য প্রায় ৪লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তিনি এখন একজন সফল খামারি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ হেলাল উদ্দিন বলেন বিদেশ ফেরত মোঃ রাজা তৌফিক বেশ সুনামের সাথে খামারটি করে আসছেন। আমাদের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাগন খামারটি দেখাশোনা করে আসছে। মাঝে মধ্যে আমরাও গিয়ে দেখাশোনা করি। আমাদের তত্বাবধানে খামারটি বেশ ভালো যাচ্ছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি

হোমনায় গরুর খামার দিয়ে স্বাবলম্বী বিদেশ ফেরত মো : রাজা তৌফিক, ৪ টি গরু নিয়ে শুরু

আপডেট টাইম : ০৩:০৫:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়ন এর কৃপারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রাজা তৌফিক দীর্ঘ ১৬ বছর প্রবাস জীবন পারি দেন। ২০২১ সালের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ ফিরে আসেন নিজ দেশে। দেশে ফিরেই নিজেই খামারের উদ্যোক্তা হয়ে নিজ জায়গায় গরুর খামার করে সফলতা পেয়েছেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম তাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। সব বাধা পেরিয়ে জীবনযুদ্ধে সফল এক ব্যক্তি মোঃ রাজা তৌফিক । তার এমন সফলতায় এলাকার অনেক নারী, পুরুষ ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা আগ্রহী হচ্ছেন খামারের প্রতি। এলাকায় তিনি এখন অনেকের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

খামার ঘুরে দেখা গেছে, মোঃ রাজা তৌফিকের খামারের পরিবেশ অনেক ভালো। ভেতর-বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন সব সময়। এ ছাড়া মশা-মাছি আর পোকামাকড় প্রতিরোধেরও ব্যবস্থা আছে। আসন্ন কোরবানি উপলক্ষ্যে এই শেড টা খোলা হয়েছে। কোরবানির সময় বিক্রি করে দিবেন খামারে থাকা গরু গুলো। তবে সঠিক মুল্য পেলে বিক্রি করবেন কোরবানির আগেও। এই খামারে ১০ টি গরু আছে। গরু গুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাহামা, শাহিওয়াল,ও জার্সি জাতের গরু রয়েছে । সবগুলো ষাড় গরু। গরু গুলো বেশ মোটাতাজা হওয়ায় ভালো মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

খামারি মোঃ রাজা তৌফিক বললেন, আমি নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে আমার ছোট ভাই মোঃ আল মামুন এর সার্বিক সহযোগিতায় এবং এ, আই, টেকনেশিয়ান মোঃ বাছির উদ্দিনের পরামর্শে প্রথমে ৪ টি গরু দিয়ে এই খামারটি শুরু করেছি। খামারে এখন ১০ টি গরু রয়েছে। প্রতিটি গরুর বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা রয়েছে। গরু গুলোকে মোটাতাজাকরণে কোন ইনজেকশন করা হয়নি। গরুর খাবার নিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, খড়, ভূসি, ভুট্টা, সরিষার খৈল খাওয়াই। বড় একটি জমিতে উন্নতজাতের ঘাস নিজেই চাষ করি। ঘাস ও খড় কাটার জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি মেশিন ক্রয় করি। মেশিনের মাধ্যমে ঘাস ও খড় গুলো কেটে এক সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।তাই বাজার থেকে খাবার বেশি কিছু কিনতে হয় না। এ জন্য গরুগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি কম।

খামারী মোঃ রাজা তৌফিক এর সাথে খামার পরিচর্যাকারী তার ছোট বোন জোসনা আক্তার বলেন নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো অবস্থান থেকে সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করি। তিনি বলেন আমি খামারের গরু গুলোর খাবার দিয়ে সাহায্য করি। তিনি আরও বলেন শখের বশে একটি গরুর নাম রেখেছেন দুঃখ মিয়া। গরুর নাম দুঃখ মিয়া রাখার কারণ জানতে চাওয়া তিনি বলেন গরুটি যখন ছোট ছিলো তখন তাকে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই খানে আসার পর একা ছিলো সাথে মা না থাকার কারণে সে দুঃখ পেয়েছে তাই তার নাম দিয়েছি দুঃখ মিয়া।

এ,আই, টেকনেশিয়ান মোঃ বাছির উদ্দিন বলেন, আমি সবসময় মোঃ রাজা তৌফিক কে পরামর্শ দিয়ে আসছি। সে যখন বিদেশ থেকে চলে আসেন তখন আমি এই খামার দেওয়ার পরামর্শ দেই।আমার পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রথমে ৪ টি গরু নিয়ে এই খামার শুরু করেছেন। এখন তার খামারে ১০ টি গরু রয়েছে যা প্রতিটি গরুর বাজার মূল্য প্রায় ৪লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তিনি এখন একজন সফল খামারি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ হেলাল উদ্দিন বলেন বিদেশ ফেরত মোঃ রাজা তৌফিক বেশ সুনামের সাথে খামারটি করে আসছেন। আমাদের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাগন খামারটি দেখাশোনা করে আসছে। মাঝে মধ্যে আমরাও গিয়ে দেখাশোনা করি। আমাদের তত্বাবধানে খামারটি বেশ ভালো যাচ্ছে।