ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ থেকে উদ্ধার: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মো. রেজাউল হক, পিপিএম মহোদয়ের দৃষ্টান্তমূলক অভিযান” আজমিরীগঞ্জে  নোয়াগড় পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাব কে কেন্দ্র করে দুই গুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত শতাধিক। উভয় পক্ষে দোকান লুটপাট ও ভাংচুর।  প্রবাস থেকে ‘নাগরিক টিভি’র নামে ডিজিটাল চাঁদাবাজি # টিটো-সাকিব সিন্ডিকেটের ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির শত কোটির তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ আগেই পদত্যাগের আবেদন করেছিলেন মোয়াজ্জেম: উপদেষ্টা আসিফ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই হবিগঞ্জে তুমুল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক ভারত পাকিস্তান কি যুদ্ধে জড়াবে? চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় শনিবার

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু ।

মোঃ জামাল উদ্দিন নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় এক যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । পরিবারের অভিযোগ পিটিয়ে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রতিপক্ষের দাবি মায়ের বকাবকিতে নিজ ঘরে ইঁদুরের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে পৌর শহরের কালিপুর নয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবত জনি মিয়া (১৯) ওই এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন প্রতিবেশী হারুণ মিয়ার ছেলে আল আমিনসহ তার আরও লোক আছে বলেই অভিযুক্তর মা যানান ।

স্থানীয়রা জানান, ২৩ এপ্রিল রাতে হারুণ মিয়ার ঘরের ৭টি হাঁস চুরি হয়। সকালে জনির মাধ্যমে হাঁস উদ্ধার হলেও। হাঁস চুরির ঘটনায় কয়েকজন যুবক জনিকে মারধর করে৷ পরে জনি বাড়িতে গিয়ে বমি করে। পরক্ষণে তার মা চিৎকার চেচামেচি করে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জনি মৃত্যু বরণ করে। জনি পরিবারে ১ মাত্র ছেলে। তার তিন বোন রয়েছে। জনি বাড়ির পাশে একটি বস্তার গুদামে কাজ করেন। জনি মাদকাসক্ত ছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, রাতে আমার ঘরের হাঁস চুরি হলে সকালে জানতে পারি জনি চুরির সাথে জড়িত আছে। সাথে বলাই নামের এক চোরও রয়েছে। জনির দেয়া তথ্য আমার চুরি হওয়া ৭টি হাঁস ২ হাজার টাকার বিনিময়ে উদ্ধার করে। এলাকার মানুষ জনিকে মারধর করলে আমার স্বামী হারুণ মিয়া তাকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সে তাদের বাড়ি চলে যায়। জনির মা তাকে গালমন্দ করলে জনি আত্মহত্যা করতে বুলেট ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। আমার পরিবারসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শুনি মারা গেছে।

জামিনা বেগম বলেন, হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিনের হুকুমে আমার ছেলেকে মারধর করে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। আমার ছেলে ঘরে এসে বমি করে অচেতন হয়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। আমার ছেলে হাঁস চুরি করেনি। আমার ছেলে চোর দেখেছিল বলে চুর ধরে দিয়েছে। এটাই আমার ১ মাত্র সন্তানের অপরাধ। আমার ছেলে দিন রাত বস্তার কাজ করতো। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে আমি তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, কালিপুর গ্রামে একটি অপমৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু ।

আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় এক যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । পরিবারের অভিযোগ পিটিয়ে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রতিপক্ষের দাবি মায়ের বকাবকিতে নিজ ঘরে ইঁদুরের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে পৌর শহরের কালিপুর নয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবত জনি মিয়া (১৯) ওই এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন প্রতিবেশী হারুণ মিয়ার ছেলে আল আমিনসহ তার আরও লোক আছে বলেই অভিযুক্তর মা যানান ।

স্থানীয়রা জানান, ২৩ এপ্রিল রাতে হারুণ মিয়ার ঘরের ৭টি হাঁস চুরি হয়। সকালে জনির মাধ্যমে হাঁস উদ্ধার হলেও। হাঁস চুরির ঘটনায় কয়েকজন যুবক জনিকে মারধর করে৷ পরে জনি বাড়িতে গিয়ে বমি করে। পরক্ষণে তার মা চিৎকার চেচামেচি করে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জনি মৃত্যু বরণ করে। জনি পরিবারে ১ মাত্র ছেলে। তার তিন বোন রয়েছে। জনি বাড়ির পাশে একটি বস্তার গুদামে কাজ করেন। জনি মাদকাসক্ত ছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, রাতে আমার ঘরের হাঁস চুরি হলে সকালে জানতে পারি জনি চুরির সাথে জড়িত আছে। সাথে বলাই নামের এক চোরও রয়েছে। জনির দেয়া তথ্য আমার চুরি হওয়া ৭টি হাঁস ২ হাজার টাকার বিনিময়ে উদ্ধার করে। এলাকার মানুষ জনিকে মারধর করলে আমার স্বামী হারুণ মিয়া তাকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সে তাদের বাড়ি চলে যায়। জনির মা তাকে গালমন্দ করলে জনি আত্মহত্যা করতে বুলেট ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। আমার পরিবারসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শুনি মারা গেছে।

জামিনা বেগম বলেন, হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিনের হুকুমে আমার ছেলেকে মারধর করে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। আমার ছেলে ঘরে এসে বমি করে অচেতন হয়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। আমার ছেলে হাঁস চুরি করেনি। আমার ছেলে চোর দেখেছিল বলে চুর ধরে দিয়েছে। এটাই আমার ১ মাত্র সন্তানের অপরাধ। আমার ছেলে দিন রাত বস্তার কাজ করতো। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে আমি তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, কালিপুর গ্রামে একটি অপমৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।