ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের বাছাইকৃত কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত কাশিমপুরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ‘হানিফ সরিষার তৈল পোস্ট মাস্টার শ্বশুর জালিয়াতি করে ১৫ বছর যাবৎ দুই পদের বেতন আত্মসাৎ ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা খুলনায় মাহিন্দ্রা ও লরির সংঘর্ষে নিহত ৩ মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ১৭ মে: বাংলাদেশের অনেক ‘প্রথমের’ একদিন নবীনগরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু ।

মোঃ জামাল উদ্দিন নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় এক যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । পরিবারের অভিযোগ পিটিয়ে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রতিপক্ষের দাবি মায়ের বকাবকিতে নিজ ঘরে ইঁদুরের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে পৌর শহরের কালিপুর নয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবত জনি মিয়া (১৯) ওই এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন প্রতিবেশী হারুণ মিয়ার ছেলে আল আমিনসহ তার আরও লোক আছে বলেই অভিযুক্তর মা যানান ।

স্থানীয়রা জানান, ২৩ এপ্রিল রাতে হারুণ মিয়ার ঘরের ৭টি হাঁস চুরি হয়। সকালে জনির মাধ্যমে হাঁস উদ্ধার হলেও। হাঁস চুরির ঘটনায় কয়েকজন যুবক জনিকে মারধর করে৷ পরে জনি বাড়িতে গিয়ে বমি করে। পরক্ষণে তার মা চিৎকার চেচামেচি করে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জনি মৃত্যু বরণ করে। জনি পরিবারে ১ মাত্র ছেলে। তার তিন বোন রয়েছে। জনি বাড়ির পাশে একটি বস্তার গুদামে কাজ করেন। জনি মাদকাসক্ত ছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, রাতে আমার ঘরের হাঁস চুরি হলে সকালে জানতে পারি জনি চুরির সাথে জড়িত আছে। সাথে বলাই নামের এক চোরও রয়েছে। জনির দেয়া তথ্য আমার চুরি হওয়া ৭টি হাঁস ২ হাজার টাকার বিনিময়ে উদ্ধার করে। এলাকার মানুষ জনিকে মারধর করলে আমার স্বামী হারুণ মিয়া তাকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সে তাদের বাড়ি চলে যায়। জনির মা তাকে গালমন্দ করলে জনি আত্মহত্যা করতে বুলেট ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। আমার পরিবারসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শুনি মারা গেছে।

জামিনা বেগম বলেন, হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিনের হুকুমে আমার ছেলেকে মারধর করে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। আমার ছেলে ঘরে এসে বমি করে অচেতন হয়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। আমার ছেলে হাঁস চুরি করেনি। আমার ছেলে চোর দেখেছিল বলে চুর ধরে দিয়েছে। এটাই আমার ১ মাত্র সন্তানের অপরাধ। আমার ছেলে দিন রাত বস্তার কাজ করতো। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে আমি তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, কালিপুর গ্রামে একটি অপমৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু ।

আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় এক যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । পরিবারের অভিযোগ পিটিয়ে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রতিপক্ষের দাবি মায়ের বকাবকিতে নিজ ঘরে ইঁদুরের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে পৌর শহরের কালিপুর নয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবত জনি মিয়া (১৯) ওই এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন প্রতিবেশী হারুণ মিয়ার ছেলে আল আমিনসহ তার আরও লোক আছে বলেই অভিযুক্তর মা যানান ।

স্থানীয়রা জানান, ২৩ এপ্রিল রাতে হারুণ মিয়ার ঘরের ৭টি হাঁস চুরি হয়। সকালে জনির মাধ্যমে হাঁস উদ্ধার হলেও। হাঁস চুরির ঘটনায় কয়েকজন যুবক জনিকে মারধর করে৷ পরে জনি বাড়িতে গিয়ে বমি করে। পরক্ষণে তার মা চিৎকার চেচামেচি করে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জনি মৃত্যু বরণ করে। জনি পরিবারে ১ মাত্র ছেলে। তার তিন বোন রয়েছে। জনি বাড়ির পাশে একটি বস্তার গুদামে কাজ করেন। জনি মাদকাসক্ত ছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, রাতে আমার ঘরের হাঁস চুরি হলে সকালে জানতে পারি জনি চুরির সাথে জড়িত আছে। সাথে বলাই নামের এক চোরও রয়েছে। জনির দেয়া তথ্য আমার চুরি হওয়া ৭টি হাঁস ২ হাজার টাকার বিনিময়ে উদ্ধার করে। এলাকার মানুষ জনিকে মারধর করলে আমার স্বামী হারুণ মিয়া তাকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সে তাদের বাড়ি চলে যায়। জনির মা তাকে গালমন্দ করলে জনি আত্মহত্যা করতে বুলেট ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। আমার পরিবারসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শুনি মারা গেছে।

জামিনা বেগম বলেন, হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিনের হুকুমে আমার ছেলেকে মারধর করে ইঁদুরের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। আমার ছেলে ঘরে এসে বমি করে অচেতন হয়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। আমার ছেলে হাঁস চুরি করেনি। আমার ছেলে চোর দেখেছিল বলে চুর ধরে দিয়েছে। এটাই আমার ১ মাত্র সন্তানের অপরাধ। আমার ছেলে দিন রাত বস্তার কাজ করতো। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে আমি তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, কালিপুর গ্রামে একটি অপমৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।