সমাবেশে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাদিজা রহমান, সহ-সভাপতি মিসেস সুইটি, সেলিনা হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, সংগঠক জোসনা বেগম, সালমা বেগম, রোকসানা, আমেনা, সোনিয়া প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন মুনাফা লোভী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অমানবিক নিপীড়ন শিকার শ্রমজীবী মানুষের সর্বোচ্চ ত্যাগ শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিকের ঐতিহাসিক বিজয় এই মে দিবস। যা যুগের পর যুগ সারা বিশ্বের শ্রমজীবী জনগণকে আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৪৯ ধারা অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর ন্যূনতম মজুরি হার সুপারিশের বিধান এবং ১৪০ (ক) ধারায় বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নতুনভাবে মজুরি কাঠামো ঘোষণার বিধান আছে। পাঁচ বছর পর পর মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও মজুরি কাঠামো গঠনের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। বিশ্ববাজারের দোহাই এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে”ক্রমাগত পণ্যমূল্য বাড়ছে এবং বাড়ি-ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এর ফলে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রকৃত মজুরি অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকরা অপুষ্টি আর কঠিনতম জীবনযাপন করছে।
এমতাবস্থায় গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকাসহ মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
অত্যাবশকীয় সেবা আইনের বিল প্রত্যাহার করে অত্যাবশকীয় সেবা নামে শ্রমিক ধর্মঘট আহ্বানের অধিকার হরণের প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতে এ আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবী আদায়ের যে কোনো আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেয়ার সুযোগের বিল অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী করছি।
সমাবেশে বক্তাগন নি¤েœাক্ত দাবীগুলো ধরেন:
ক্স ৭ম গ্রেডের শ্রমিকদের জন্য ৬৫ ভাগ মূল মজুরীসহ ২২০০০টাকা ন্যূনতম মজুরী ঘোষণা কর।
ক্স শ্রম আইনের সংশোধনী প্রক্রিয়ায় শ্রমিক সংগঠনের প্রস্তাবনা বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিক বান্ধব শ্রম আইন প্রণয়ন কর।
ক্স আইএলও কনভেনশন-১০২,১৮৯ ও ১৯০ অবিলম্বে অনুসমর্থন কর।
ক্স শ্রমজীবি মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্য রেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত কর।
ক্স শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বান্ধ্যকালীন সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন কর।
ক্স প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল সেক্টরে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসের আইন কর।
ক্স আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দাও।
ক্স বাংলাদেশ শ্রমবিধিমালায় সন্নিবেসিত শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী বিধি সমূহ বাতিল পূর্বক নতুন বিধিমালা প্রণয়ন কর।